পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গিয়াছেন। আমার স্ত্রী অত বুঝিতে পারে নাই। সে মনে করিল, বিবাহের কি কাজের জন্য টাকার প্রয়োজন হইয়াছে। তাহার পর, কোন স্থানে তাহাকে দেখিতে না পাইয়া, সে ও চাকরাণী তন্ন তন্ন করিয়া সকল স্থান অন্বেষণ করিয়াছে। আমিও সকল স্থানে খুঁজিয়া দেখিলাম কোন স্থানে তাঁহাকে দেখিতে পাইলাম না। কি কুক্ষণে আজ রাত্রি প্রভাত হইয়াছিল, তাহা বলিতে পারি না। চাকরীর স্থানে আমার অপমানের আর সীমা রহিল না!” আমি বলিলাম,- “কুসুমের মূৰ্ছা হইলে, তিনি তাহাকে পাখার বাতাস করিতেছিলেন। যখন সন্ন্যাসীঠাকুর আসিয়া আমাকে ঠেলিয়া ফেলিয়া কুসুমকে আমার নিকট হইতে কাড়িয়া লাইলেন, সেই সময় হইতে আর আমি তাঁহাকে দেখি নাই।” রসময়বাবু উত্তর করিলেন,- “হাঁ! সেই সময় তিনি বাটীর ভিতর গমন করেন। ছোটঘর বাহিরের ছোটঘরে প্রত্যাগমন করিল, আমার শালী বাটীর ভিতর রহিলেন। তাহার পর, আর কেহ তাঁহাকে দেখে নাই। কিছুক্ষণ পরে আমার স্ত্রী বাটীর ভিতর আসিয়া, তাঁহাকে দেখিতে না পাইয়া, চারিদিকে অন্বেষণ করিতে লাগিল; তাঁহাকে দেখিতে পাই না। তিনি বাটীতে নাই; তিনি কোথায় চলিয়া গিয়াছেন। কেন, তা বলিতে পারি না।” আমি বলিলাম,- “তবে কি তিনি বাগানের দ্বার দিয়া গিয়াছেন?” রসময় উত্তর করিলেন,- “হী! তাঁহাই বোধ হয়।” আমি বলিলাম,- “আমি তাহার অনুসন্ধান করিতে যাইতেছি। অন্য কোন বাঙ্গালীর বাটীতে বোধ হয় থাকিবেন। আপনি কুসীর নিকট । সন্ন্যাসী মহাশয় বড়ই উপকার আমি খিড়কি-দ্বার অভিমুখে যাইলাম; রসময়বাবু বৈঠকখানা-ঘরে প্রত্যাগমন করিলেন। খিড়কি-দ্বার দিয়া আমি বাগানে গিয়া উপস্থিত হইলাম। সে স্থানে অনেকগুলি ঐ দেশী স্ত্রী ও পুরুষ দাড়াইয়া বিবাহের তামাসা দেখিতেছিল। মাসীর কথা আমি তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিতে লাগিলাম। একজন স্ত্রীলোক আমাকে বলিল যে, কিছুক্ষণ পূৰ্ব্বে সে যখন এই বাটীতে আসিতেছিল, তখন পথে তাহার সহিত তাহার সাক্ষাৎ হইয়াছিল। সেই পথ দিয়া তিনি দ্রুতবেগে যাইতেছিলেন। সে কোন পথ, তাহা আমি জানিয়া লইলাম। সে রাস্তার নাম “ষ্টেশন—রোড়” রেল-ষ্টেশন অভিমুখে তাহা গিয়াছে। সেই রাস্তার উপর হারাণবাবুর বাড়ী । Stro দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboicom 26: