পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই কথা লিখিলেন,-“আমি স্ত্রীলোক। কি করিয়া আমি পাত্রের অনুসন্ধান করিব? ঘটক কোথায় থাকে, তাহাও আমি জানি না। তুমি নিজে যাহা হয় করিবে। এতদিন যখন গিয়াছে, তখন আর কিছুদিন বিলম্ব হইলে বিশেষ কোন ক্ষতি নাই।” এই পত্ৰ পাইয়া রসময়বাবু পুনরায় ছুটির জন্য আবেদন করিলেন, কিন্তু তিনি ছুটি পাইলেন না। ইহার কিছুদিন পূৰ্ব্বে পঞ্জাবেই দিগম্বরবাবুর সহিত তাঁহার আলাপ হইয়াছিল। তাঁহার স্ত্রী কোম্পানীর কাগজ আছে, সে সমুদয় কাগজ তিনি নূতন বধূর নামে লিখিয়া দিবেন, দেশে তাহার অনেক সম্পত্তি আছে, এইরূপ কথা সকলের নিকট তিনি সৰ্ব্বদাই প্ৰকাশ করিতেন। শালী পাত্রের অনুসন্ধান করিতে পারিলেন না। তাঁহাকে নিজে গিয়া সে কাজ করিতে হইলে অধিক দিনের ছুটি আবশ্যক, সে ছুটি তিনি পাইলেন না। সাহেব কেবল পািনর দিনের নিমিত্ত তাঁহাকে ছাড়িয়া দিতে সম্মত হইলেন। পথে তাঁহার সাত আট দিন কাটিয়া যাইবে, অবশিষ্ট কয়দিনে পাত্র অনুসন্ধান ও বিবাহ শেষ হইতে পারে না। তিনি হিসাব করিয়া দেখিলেন যে, কন্যার বয়স ষোল বৎসর হইয়াছে। রসময়বাবু ভাবিলেন যে,- “কন্যার বিবাহ আমাকে দিতেই হইবে। আর আমি তাহাকে অবিবাহিতা রাখিতে পারি না।" কথা যখন রসময়বাবু আমাকে প্রথম বলিয়াছিলেন, তাহার। পূৰ্ব্ব-আচার-ব্যবহার স্মরণ করিয়া তিনি শালীকে পত্র লিখিলেন– রসূলুল্লুবাবু লিখিলেন—“আমি কুসুমের জন্য এ স্থানে একুটি পুত্র স্থির করিয়াছি। তিনি দেশূের্তাি আনিয়া বিবাহ দিতে হইবে। তুমি গ্রুঞ্জর্ম ঠিক থাকিবে। পনরু দিনের ছুটি লইয়া আমি দেশে যাইতেছি। শীঘ্রই দেশে গিয়া দিগকে এইস্থানে লইয়া আসিব ।” এই পত্ৰ পাইয়া কুসুমের মাসীর মাথায় যেন বজ্ৰাঘাত হইল। তিনি ভাবিলেন,- “আমি মনে করিয়াছিলাম যে, যখন সে পাত্ৰ অনুসন্ধান করিতে দেশে আসিবে, তখন আমি সকল কথা তাহাকে খুলিয়া বলিব। খোট্টার দেশে যে আবার পাত্র মিলিবে, তাহা আমি কেমন করিয়া জানিব? এখন আমি করি কি? পাত্র ঠিক করিয়া মেয়ে লইতে সে দেশে আসিতেছে। এখন আমি তাহাকে কি করিয়া বলি যে, তোমার মেয়ের বিবাহ হইয়া গিয়াছে, তোমার মেয়ে বিধবা হইয়াছে!” কুসুমের মাসী অতিশয় চিন্তিত হইলেন। এই সময় তাহদের গ্রামে এক দো-পড়া মেয়ে লইয়া দলাদলি হইয়াছিল। সে কন্যাটির পিতামাতা প্রথম একস্থানে মেয়েটিকে বিক্রয় করে, অর্থাৎ টাকা লইয়া একজনকে কন্যাটি লোকের নিকট বিক্রয় করে। সেই বিষয় লইয়া এখন মোকৰ্দমা, মামলা ও দলাদলি চলিতেছিল। কন্যার দুই পতিতে মোকৰ্দমা, শ্বশুর-জামাতায় মোকৰ্দমা, আর গ্রামের দুইপক্ষে দলাদলি। কুসুমের মাসী বাল্যকাল হইতে যতগুলি দো-পড়া মেয়ের কথা শুনিয়াছেলন, তাহা স্মরণ করিয়া দেখিলেন। মনে মনে তিনি বলিলেন, — “ঐ দেখ রঘুর মা। ওর দুইবার বিবাহ হইয়াছিল। এখন কত ছেলেপিলে হইয়াছে, সুখে-স্বচ্ছন্দে ঘরকন্না করিতেছে। তারপর, আমার Sbrዩን află cios (gs se - www.amarboi conf**