পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উঠিল; এক ঝাপটে নীেকাখানি উল্টাইয়া পড়িল। আমি অতিকষ্টে তাহার ভিতর হইতে বাহির হইলাম। একজন আমাকে জড়াইয়া ধরিল। তাহার হাত হইতে আপনাকে ছাড়াইবার নিমিত্ত আমি চেষ্টা করিতে লাগিলাম। সেই সময় নীেকার বঁাশ হউক কি কিছু হউক, আমার মাথায় লাগিয়া গেল। এই দেখুন, এখনও আমার মাথায় তাহার দাগ রহিয়াছে। অনেক কষ্টে আমি সে লোকের হাত হইতে আপনাকে ছাড়াইলাম। তাহার পর অনেক কষ্টে কিনারায় আসিয়া উঠিলাম। সে অন্ধকারে কে কোথায় গেল, তাহার কিছুই আমি জানিতে পারিলাম না। কিনারায় উঠিয়া একটি মাঠ পার হইয়া একখানি গ্রামে গিয়া উপস্থিত হইলাম। সেই গ্রামে একজনের বাড়ীতে আশ্রয় লইলাম। রাত্রির শেষভাগে আমার ভয়ানক জুর হইল।” আমি একখানি চেয়ারে বসিয়াছিলাম। আমার পশ্চাতে দাঁড়াইয়া আমার বামস্কন্ধের উপর তাহার বামহাত রাখিয়া কুসী একমনে নৌকা ডুবির বিবরণ শুনিতেছিল। এই পৰ্যন্ত শুনিয়া সে কাদিয়া ফেলিল, তাহার চক্ষু দিয়া টপ টপ্‌ করিয়া জল পড়িতে লাগিল। এই সময় হীরালালের দৃষ্টি কুসীর উপর পড়ল। হীরালাল বলিল,- “কুসী! তুমি কাঁদিতেছ। এখন আবার কান্না কিসের? ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করিয়াছেন, তাই আমি বঁচিয়াছি! চুপ কর।” আমিও কুসীর দিকে ফিরিয়া দেখিলাম। আমিও তাঁহাকে বলিলাম,- “কুসী। এ আহাদের সময়, কান্নার সময় নয়। কাদিয়া পুনরায় কি রোগ করিবে? চুপ কর।” शैद्भाव्नान श्रृंनद्धांश दनिल.- ‘जाDनिन एवाभि অভিভূত হইয়া পড়িয়া রহিলাম। পুরুষে তাহারা আমার সেবা-শুশ্ৰষা করিয়াছে। বুড়ী অনেকগুলি টাকা দিয়াছিলেন । নোটগুলি মগ্নিীয়ে বাধিয়া য়াখিতাম। টাকাগুলি সেইজন্য বেঁর্ষ “আটদিনের পর আমার জুর ছাড়িয়া গেল। ক্রমে আমি আরোগ্য লাভ করিলাম। শরীরে যখন একটু বল হইল, তখন আমি গোয়ালন্দ আসিলাম । কলিকাতায় আসিবার নিমিত্ত রেলগাড়ীতে চড়িলাম। গাড়ীতে এক ব্যক্তির নিকট একখানি বাঙ্গালা খবরের কাগজ ছিল। পড়িবার নিমিত্ত সেই খবরের কাগজখানি আমি চাহিয়া লইলাম। সেই খবরের কাগজে আমি আমার মৃত্যুসংবাদ দেখিলাম, তাহা দেখিয়া আমি আশ্চৰ্য্যান্বিত হইলাম না। নৌকা যেভাবে উলটিয়া পড়িয়াছিল, তাহাতে জনপ্রাণীর বাঁচিবার সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু সেই সংবাদপত্র পাঠ করিয়া আমি অবগত হইলাম যে, দুইজন মাঝির প্রাণরক্ষা হইয়াছে। “আমী মৃত্যুর সংবাদ খবরের কাগজে প্রকাশিত হইয়াছে দেখিয়া আমি ভাবিতে লাগিলাম। ভাবিয়া চিন্তিয়া আমি স্থির করিলাম যে, কিছু দিনের নিমিত্ত আমি এ সংবাদের প্রতিবাদ করিব। না। পিতা কর্তৃক সেই ঘোরতর অপমানের কথা তখনও আমার মনে জাগরিত ছিল। আমি ভাবিলাম যে, আমাকে যেরূপ তিনি দুঃখ দিয়াছেন, সেইরূপ তিনিও দিনকত পুত্ৰশোক ভোগ করুন । “তাহার পর কুসীর ভাবনা মনে উদয় হইল। আমি যে জীবিত আছি, একথা কুসীকে জানাইবা কি না, অনেকক্ষণ ধরিয়া সেই চিন্তা করিতে লাগিলাম। আমি ভাবিলাম যে, যদি কুসীকে বলি যে, জীবিত আছি, তাহা হইলে কলিকাতায় আমার বন্ধু-বান্ধবও সে কথা জানিতে ফোকুলা দিগম্বর sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro Sss