পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি উত্তর করিলাম,- “সেই উজিরগড়ের ঘটনা সম্বন্ধে আমি একখানি বই লিখিতেছি। সেই পুস্তকে এই নৃতন ব্ৰতের কথা লিখিব।” এই সময় উদ্ধব দা-ঠাকুর আমার নিকট আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তিনি বলিলেন, — “দিগম্বরী-ব্ৰতের ফলে কথাটা ভাল করিয়া লিখিবেন। যে কুলকামিনী এ ব্ৰত করেন, তাঁহার জীবন সার্থক হয়। এ জনমে পতি তাহার পদানত হইয়া থাকে। গলাভাঙ্গা দিগম্বরীর মত চিরকাল তাঁহার সিঁথিতে সিন্দুর থাকে। ফিরে জন্মে গলা-ভাঙ্গা দিগম্বরীর মত তাঁহার রূপ হয়, গুণ হয় ও পতিভক্তি হয়, আর ফোকলা দিগম্বরের মত রূপবান। গুণবান স্ত্রীপরায়ণ স্বামী তিনি লাভ করেন।” এই কথা বলিয়া যাত্রী লইয়া বিন্দীর সহিত উদ্ধব দা-ঠাকুর প্রস্থান করিলেন। কলিকাতা হইতে স্বগ্রামে আসিয়া আমি এই পুস্তকখানি লিখিলাম। পুস্তকখানি লিখিয়া ইহার নাম কি দিব, তাহা ভাবিতেছি, এমন সময় পশ্চাল্লিখিত পত্ৰখানি আমি পাইলাম । “পরম শ্ৰদ্ধাসম্পদ শ্ৰীযুক্ত বাবু যাদবচন্দ্র চক্ৰবৰ্ত্ত, ডাক্তার মহাশয় বরাবরেষু। মহাশয়! বিন্দীর মুখে শুনিলাম যে উজিরগড়ের ঘটনা সম্বন্ধে আপনি একখানি পুস্তক লিখিতেছেন। আমার নাম ইতিপূৰ্ব্বে কখনও ছাপা হয় নাই। আপনার পুস্তকে আমার নাম ছাপা হইলে, জগতে চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিব। সেজন্য আমি আনন্দিত হইয়াছি, আর সেজন্য তাহা হইলে আপনাকে আমি ভিজিট দিব । এই যে, আমার নাম লইয়া লোকের যাহাতে ভ্ৰম না হয়, সে বিষয়ে সাবধান ণ, এ অঞ্চলে অনেকগুলি দিগম্বর আছেন। একজন দীর্ঘ ও স্কুল, সেজন্য সকলে ধেড়ে দিগম্বর বলে। একজন খৰ্ব্ব ও কৃশ, সেজন্য সকলে তাঁহাকে মৰ্কট দিগম্বর বলে। একজনের সম্মুখের দন্ত কিছু উচ্চ, সেজন্য সকলে তাহাক দাতাল দিগম্বর বলে। আর উৰ্দ্ধকের ধাতুপ্রযুক্ত আমার এই যৌবনকালেই দাঁত পড়িয়া গিয়াছে, সেজন্য সকলে আমাকে দন্তহীন দিগম্বর বলে। কথাটি কিন্তু দন্তহীন নয়। প্রকাশ করিয়া না বলিলে লোকে আমাকে চিনিতে পরিবে না, লোকে মনে করিবে এ অন্য দিগম্বর। সেজন্য আপনি প্ৰকাশ করিয়া ছাপিবেন, তাহাতে আমি রাগ করিব না। আসল কথাটি কি, তাহা বোধ হয় আপনার মনে আছে?--সেই ফয়ে ওকার! ইতি-- আপনার বশংবদ শ্ৰীদিগম্বর শম্মা” এবার আমি আর ভিজিটের লোভ ছড়িতে পারিলাম না। সেজন্য পুস্তকখানির নাম এইরূপ झंख्न । wo দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.com%"oooooooR