পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৩১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সূচনা প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলা মহাদেববাবু মজলিস করিয়া বসেন। সেই মজলিসে যাদব, মাধব, রাঘব, ত্ৰিলোচন, গদাধর, ঘনশ্যাম প্রভৃতি বন্ধুগণ নিয়মিতরূপে উপস্থিত থাকেন। সেই মজলিসে সকলে গাঁজার ধূম পান করেন। মহাদেববাবুর টাকায় সভার সমুদয় ব্যয় নিৰ্ব্বাহিত হয়। সুতরাং মহাদেববাবু আডার আডডাধারী, দলের দলপতি। সভায় সভ্যগণ সৰ্ব্বদা তাঁহার প্রিয়পাত্ৰ হইতে চেষ্টা করেন। ভলরপে আজগুবি গল্প করিতে পারিলেই মহাদেববাবুর সন্তোষভাজন হইতে পারা যায়। গাঁজার ধূম পান করিতে করিতে সভায় প্রতিদিন নানারূপ গল্প হয়। বর্ষাকাল, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হইয়া আছে। টিপ্‌-টপ্‌ করিয়া বৃষ্টি পড়িতেছে। পূৰ্ব্বদিক হইতে ফুর-ফুর করিয়া বায়ু প্ৰবাহিত হইতেছে। মহাদেববাবু বলিলেন,- “এই দুৰ্য্যোগের সময় মঞ্জর দুই-একটা গল্প না হইলে প্রাণ শিথিল হইয়া যায়। কাহারও তবিলে কি একটিও ఇy" যাদব বলিলেন— “কি গল্প শুনিতে ইচ্ছা! ? একটা ভূতের গল্প করিব?” মহাদেববাবু উত্তর করিলেন, — “নৃত্যুন র ভূতের গল্প হয়তো বল। পচা গল্প শুনিতে ইচ্ছা হয় না।” مج হলধর বলিলেন,- “ভূতের পর গল্প, বাঘের গল্প, চোর-ডাকাতের গল্প, রাজারাণীর গল্প, যুদ্ধের গল্প, এ সব অনেক হইয়া গিয়াছে। নূতন আর কিছু নাই।” মহাদেববাবু বলিলেন,- “সেকালের মতো একালে আশ্চৰ্য্য ঘটনাও ঘটে না। আরব্য উপন্যাসের লোকে কত জিন্ন দেখিতে পাইত। পঞ্চাশের উপর আমার বয়স হইয়া গেল। এ পৰ্যন্ত একটাও জিন কি একটাও পরী আমি দেখি নাই। সেজন্য আরব্য উপন্যাসের মত গল্পও আর একালে হয় না ।” রাঘব বলিলেন,- “একালে তেমন বাদশাও নাই, তেমন রাজাও নাই। বিক্রমাদিত্যর মত রাজা একালে থাকিলে, কত বত্রিশ-সিংহাসন, কত বেতাল-পঞ্চবিংশতি হইত।” ঘনশ্যাম বলিলেন, — “ভাল কথা বলিলে! একটি লোকের কথা আমার মনে পড়িয়া গেল। বৃত্তান্ত অতি অদ্ভুত। প্রতিদিন রাত্রিতে শয়ন করিয়া সেই গল্প তিনি আমাদের নিকট করিয়াছিলেন। তাহার অনেক কথা আমি একখানি খাতায় লিখিয়া লইয়াছিলাম। ঠিক যেন আরব্য উপন্যাস কি বেতাল-পঁচিশের গল্প। এ কলিকালে যে এরূপ ঘটনা হইতে পারে, তাহা বিশ্বাস হয় না।” ନ୍ଯୂ୫-୩rit R sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro