পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাহার পরদিন পুনরায় যখন তিনি ঐ রূপ চৰ্ম্মেত্তোলন-কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত ছিলেন, সেই সময় পুলিসের লোকে তাঁহাকে ধরিয়া ফেলিয়াছিল। ইতিপূৰ্ব্বে এই কাজের নিমিত্ত তাঁহার আরও তিনবার জরিমানা হইয়াছিল। সেজন্য এবার তাহার কিছু অধিক অর্থদণ্ড হইল। ক্ষতিগ্ৰস্ত হইয়া ব্যবসায় পরিত্যাগ করিয়া কিছুদিন পরে গুরুদেব দেশে প্রত্যাগমন করিলেন। দেশে আসিয়া তিনি সকলের নিকট বলিয়া বেড়াইতে লাগিলেন যে, জীবন্ত ছাগলের চৰ্ম্ম উত্তোলন বিষয়ে আমিই কলিকাতার পুলিসের নিকট সংবাদ দিয়াছিলাম, আমা হইতেই তাহার। সৰ্ব্বনাশ হইয়াছে। লোকের নিকট এইরূপ বলিয়া তিনি আমাকে অভিশাপ প্ৰদান করিতে লাগিলেন। বলা বহুল্য যে, এ সম্বন্ধে আমি সম্পূর্ণ নিরপরাধ ছিলাম। কিন্তু কেহই আমার কথা বিশ্বাস করিল না। সকলেই আমাকে ছিছি করিতে লাগিল। সকলেই বলিল যে, যে লোক গুরুর সর্বনাশ করিতে পারে, তাহার মত পাষণ্ড আর জগতে নাই। এই পৰ্যন্ত বলিয়া ঘনশ্যাম সে রাত্রি গল্প বন্ধ করিলেন। পরদিন পুনরায় তিনি সেই গল্প আরম্ভ করিলেন । তৃতীয় রজনী পায়ে SNర్ (C) গড়গড়ি মহাশয় বলিতেছেন- 3) টাকার জন্য ভ্রাতা আমাকে বার লিখিতে লাগিল। আমি দেখিলাম যে, ভ্রাতাকে কলিকাতায় থাকিতে দিলে তাহারাষ্ট্রইকাল-পরকাল নষ্ট হইবে। সে নিমিত্ত আমি তাহার খরচের টাকা বন্ধ করিয়া দিলাম। ভ্ৰাতা প্ৰথম প্ৰথম আমাকে মান-সন্ত্রমের সহিত পত্ৰ লিখিত; তাহার পর ক্রমে ক্রমে তাহার পত্র তীব্ৰ ভাব ধারণ করিল। “এক্ষণে সে বয়ঃপ্ৰাপ্ত হইয়াছে, পৈতৃক টাকা লইয়া সে যাহা ইচ্ছা তাহা করিবে, পৈতৃক টাকার হিসােব না দিলে সে আমার নামে নালিশ করিবে”-অবশেষে সে আমাকে এইভাবে পত্র লিখিতে লাগিল । এরূপ পত্রের আমি কোন উত্তর দিলাম না, তাহার নিকট টাকাও পাঠাইলাম না। মনে করিলাম যে, অর্থাভাবে নিশ্চয় তাহাকে দেশে আসিতে হইবে। তখন তাহার বিবাহ দিয়া তাহাকে আমি সংসাৱী করিব। এইরূপ ভাবিয়া আমি একটি সুপাত্রী স্থির করিয়া রাখিলাম। কিছুদিন পরে কনিষ্ঠ দেশে প্রত্যাগমন করিল। বিবাহ করিবার নিমিত্ত আমি তাহাকে বারবার অনুরোধ করিলাম। কিন্তু আমার কথা সে কিছুতেই শুনিল না। টাকাকড়ি সম্বন্ধে ক্ৰমাগত সে আমার সহিত কলহ করিতে লাগিল। সে বালক থাকিতে পৈতৃক সম্পত্তির কিরূপ আয় ছিল, সে টাকা কিরূপে ব্যয় হইয়াছিল, সেই হিসাবের নিমিত্ত সে আমাকে ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিল! এই সময় পৈতৃক সম্পত্তির আয় হইতে তাহার অংশের কিছু নগদ টাকা আমার নিকট জমা ছিল। আমি দেখিলাম যে, সে টাকা তাহার হাতে পড়িলে আর রক্ষা থাকিবে না। বিশেষতঃ দেশে আসিয়াই যত দুষ্ট লোকের সহিত তাহার সৌহৃদ্য হইয়াছিল। বলা বাহুল্য যে, আমাদের গুরুদেবের প্রতি তাহার প্রগাঢ় ভক্তি ছিল। একদিন ভ্রাতাকে আমি বলিলাম,- wტა8 află cios (gs se - www.amarboi conf**