পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৩৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাই। এইবার আমার আসন্নকাল উপস্থিত হইয়াছে। প্রাণপণ যত্নে আমি গাছটি নাড়া দিতে লাগিলাম, কিন্তু তাঁহাতে ব্যাঘের কিছুমাত্র ক্ষতি হইল না। ব্যাঘ্ৰ ক্ৰমাগত বৃক্ষের উপর আরোহণ করিতে লাগিল । আমার নিকট হইতে ব্যাঘ আর পাঁচ হাত আছে, আমার নিকট হইতে আর চারি হাত আছে, আমার নিকট হইতে আর তিন হাত আছে, আমার নিকট হইতে আর দুই হাত আছে। ব্যাঘ আমার একহাত নিম্নে আসিয়া উপস্থিত হইল। আমাকে ধরিবার নিমিত্ত সে হাত বাড়াইল। যদিও ইহার পর শাখা-প্ৰশাখা অতিশয় সরু ও ভঙ্গপ্রবণ ছিল, তথাপি প্ৰাণের দায়ে আমি আরও একটু উচ্চে গিয়া উঠিলাম। আশ্চৰ্য্য! সেই সময় আমার মাথার উপর খিলখিল শব্দে কি হাসিয়া উঠিল! চকিত হইয়া আমি উপরে দৃষ্টি করিলাম। দেখিলাম যে, ঠিক আমার মস্তকের উপর সরু এক শাখাতে এক নরমুণ্ড বুলিতেছে। দেহ হইতে মুণ্ডটি নূতন কৰ্ত্তিত হইয়াছে; কারণ, তাহার গলদেশ হইতে তখনও ফোঁটায় ফোঁটায় রক্ত পড়িতেছিল। মস্তকটি মুণ্ডিত, কেবল মধ্যস্থলে একগুচ্ছ কেশ ছিল। টিকিটি গাছের ডালে বাধা ছিল। টিকি দ্বারা লম্বিত হইয়া মুগুটি নারিকেলের ন্যায় বৃক্ষ-শাখায় বুলিতেছিল। মুগুটি খিলখিল করিয়া হাসিতেছিল, আর আমাকে ভক্ষণ করিবার নিমিত্ত মুখব্যাদান করিয়াছিল। কি ভয়ানক তাহার দন্ত দুই পতি! উপরে অদ্ভুত ভয়াবহ মুণ্ড, নিম্নে দুরন্ত ব্যাঘ, আমি বড়ই বিপদে পড়িলাম। কিন্তু তখন অন্য সমুদয় চিন্তা আমার মন হইতে দূর হইল। মনে যে,- “মুণ্ড! তুমি ভূত হও, আর রক্ষুস হও! তােমার দ্বারা আমি ব্যায়ুর মুখ হৰ্ভুত রক্ষা পাইব ।" এইরূপ ভাবিয়া আমি মুণ্ডটিকে ধরিয়া টান মারিলাম। তাহার শিখারুকেশগুচ্ছ চড়াচড় করিয়া ছিড়িয়া গেল। একটানে মুগুটিকে বৃক্ষশাখা হইতে ছিড়িয়া লন্বিত করিয়া আমি ব্যাঘের মুখের নিকট ধরিলাম। সম্মুখে টাটুকা নরমুণ্ড র মুখে একটু হাসি দেখা দিল। যথালাভ মনে করিয়া সে হাত দিয়া মুগুটি ধরিল Y পরীক্ষণেই এক লম্ফ প্রদান করিয়া বৃক্ষের নীচে গিয়া পড়িল। তাহার পর নরমুণ্ডটিকে মুখে লইয়া ব্যাঘ-দ্রুতবেগে বনের ভিতর প্রবেশ করিল। ষষ্ঠ রাজনী ডাকিনীর বাড়ী নয়নগোচর হইল। জন্তু নহে, মনুষ্য নহে, কিরূপ নূতন একপ্রকার জীব এই সময় বৃক্ষতলে আসিয়া উপস্থিত হইল। মানুষের ন্যায় তাহার আকৃতি, কিন্তু প্ৰায় ছয় হাত লম্বা। মূৰ্ত্তিািট ঘোর কৃষ্ণবর্ণ। দীর্ঘ কৃষ্ণবর্ণের নর-দেহ, অনেকদিন রৌদ্রে শুষ্ক করিলে যেরূপ হয়, মূৰ্ত্তিটি সেইরূপ শীর্ণ ও শুষ্ক ছিল। তাহার শরীরে মাংস একেবারেই ছিল না, শুষ্ক চৰ্ম্ম দ্বারা কেবল হাড়গুলি আবৃত ছিল। তাহার মুখ কৃষ্ণবর্ণের বৃহৎ একটি ঝুনা নারিকেলের মত ছিল। মস্তকের চুল ঠিক VJSbr fizis -25 g5 Fe! „www.amarboicom“