পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৩৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আদুরী ও আরাসী প্ৰথম পরিচ্ছেদ পাচ কম পাচ কুড়ি “আব্দুৱী! আদুৱী! প্রাচীরের গায়ে গোবরলেদি দিতে দিতে আব্দুরীর মা চীৎকার করিয়া কন্যাকে ডাকিতে লাগিলেন । “ও আব্দুৱী! আব্দুরী! ও আভাগি!”— আদুরীর মা পুনরায় চীৎকার করিয়া ডাকিলেন। ঘরের ভিতর হইতে আব্দুরী সাড়া দিল। সামান্য একখানি মেটে ঘর; তাহার পাশে একটু রান্নার চালা; অপরদিকে গরু থাকিবার নিমিত্ত আর একটি ছোট চালা;— এই হইল আব্দুরী ও ཁ་རྒྱུན་མང་མཐཅ༠་ ཨའི་ལཙམ་༢ ཀ་ཁ་ག་ལྟ་སྐུ་མམིག་གིས་འཐག་ཅ་བང་ལ་ সম্পত্তি । ܠܢ "বেলা হইয়া গেল যে কখন হাটে যাইবিগুড়পুরবেলা হাটে গেলে কি আর দই বিক্ৰী হবে?”—আদুরীর মা পুনরায়ু চীৎকার করিয়ুমেয়েকে বকিতে লাগিলেন। গাভী দুইটির দুগ্ধ ও দধি বিক্রয় রীর মা দিনপাত করেন। যখন দুগ্ধ না থাকে, তখন ধান কিনিয়া চাউল প্রস্তুত করি করেন। সেই পরিশ্রমে যাহা লাভ হয়, তাহাতে একপ্রকার চলিয়া যায়;—তবে কষ্টে একবার আব্দুরীর মায়ের সৌভাগ্য-সূর্য্যের উদয় হইয়াছিল। সে আজ প্রায় দশ বৎসরের কথা। তখন আদবীর মাতামহী অর্থাৎ আদুরীর আয়ী বা দিদিমা জীবিতা ছিলেন। একদিন গরু হারাইয়া গিয়াছিল। বনে-বাদাড়ে আব্দুরীর দিদিমা খুঁজিয়া বেড়াইতেছিলেন। সেদিন নিকটস্থ একখানি গ্রামে এক শৃগাল ক্ষেপিয়াছিল। সে গ্রামে অনেকগুলি লোককে দংশন করিয়াছিল। ঠেঙা হাতে করিয়া গরু খুঁজিতেছিলেন। যাইতে যাইতে দেখিলেন যে, সামান্য একটি মাঠান পথের ধারে একজন সাহেব বসিয়া আছেন। সাহেব পাখী মারিতে আসিয়াছিলেন। শ্ৰান্ত হইয়া, বন্দুকটি পাশে রাখিয়া, গাছতলায় একপাশ দিয়া চলিয়া গেলেন। দুই-চারি হাত গিয়া, সাহেব কি করিতেছেন, তাহা দেখিবার নিমিত্ত একবার মুখ ফিরাইলেন। সৰ্ব্বনাশ! দেখিলেন যে, সাহেবের পিঠের জামার উপর আগের দুই পা রাখিয়া তাঁহার ঘাড়ের উপর একটা শৃগাল উঠিতেছে! অন্য স্ত্রীলোক হইলে ভয়ে পলায়ন করিত। কিন্তু আদুরীর আয়ী ডাকা-বুকো সাহসী স্ত্রীলোক ছিলেন। মুক্তা-মালা లి? sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro