পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৩৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি বলিলাম,- “এইমাত্র একটি গল্প করিলাম, কিন্তু তাহাতে কোন ফল হইল না। গল্পটি শুনিয়া আমাকে ফাঁকি দিয়া মায়ের হাতে উনি রক্ত-মুক্তার আকার ধারণ করিলেন।” মালার মুণ্ড বলিল,- “তবে ডাকিনীকে গিয়া বিবাহ কর।” ইহার শেষ পৰ্যন্ত দেখিতে হইবে, মনে মনে আমি এইরূপ স্থির করিয়াছিলাম। সেজন্য অধিক বাক্যব্যয় না করিয়া আমি আর একটি গল্প বলিতে আরম্ভ করিলাম । আমি বলিলাম,- “মুণ্ড মহাশয়! এবার আমি আপনার নিকট এক ভূতের গল্প করিব। এ বিলাতী ভূত, দেশী ভূত নহে, এ ঘটনাটি বিলাতে ঘটিয়াছিল।” মুণ্ড বলিল,- “তবে শীঘ্ৰ আরম্ভ কর, ভূতের গল্প শুনিতে আমি বড় ভালবাসি।” আমি বলিলাম,- “এ গল্পটি টমৃ সাহেবের কথা, আমার নিজের কথা নহে। মনে করুন, যেন টমৃ সাহেব এ গল্পটি করিতেছেন।” আমাকে বলিলেন, — “দেখ টম, এ লণ্ডন আমি উত্তর করিলাম,- “বটে! সত্যু ভূতে তোমার বিশ্বাস নাই।” আমার বন্ধু বলিলেন,- “না, ভাই, না, তামাসা নয়। সেই বাটী আমি ভাড়া লইয়াছিলাম। তিন দিনের অধিক তাহাতে বাস করিতে পারি নাই। বিশেষ কিছু যে ভয়ানক দেখিয়াছি, তাহা নহে! তবে কিরূপ শব্দ হয়, মনের ভিতর সর্বদাই কেমন একটা আতঙ্ক হয়। কিন্তু সেই বাটীতে একজন বৃদ্ধ বাস করে। কি করিয়া সে থাকে, তা জানি না। বৃদ্ধা বলিল,— “কোন ভাড়াটিয়াই সে বাড়ীতে দুই দিনের অধিক বাস করিতে পারে না।” বন্ধুর কথা শুনিয়া আমি ভাবিতে লাগিলাম। ভূতের বাড়ী! এতদিনের পর বুঝি আমার সাধ মিটিল। ভূত কিরূপ, দেখিতে চিরকাল আমার মনে একান্ত বাসনা। সেই সাধ মিটাইবার জন্য আমি শ্মশানে বনে-জঙ্গলে ঘোর নিশীথে কত যে ঘুরিয়াছি, তাহা বলিতে পারি না। কিন্তু ভূত দেখা আমার কপালে কখন ঘটে নাই। আজাকি ভগবান আমরা মনোবাঞ্ছা পূর্ণকরবেন? দেখা যাউক, কি হয়। বন্ধুর নিকট হইতে সে বাটীর ঠিকানা জানিয়া লইলাম। বাটীর নিকট গিয়া দেখিলাম— তালা বন্ধ! প্রতিবাসিগণের নিকট শুনিলাম যে, সে বাটীতে যে বৃদ্ধ বাস করিত, সম্প্রতি তাহার মৃত্যু হইয়াছে। রাত্রিকালে ভুতে ঘাড় ভাঙ্গিয়া তাহাকে মারিয়া ফেলিয়াছে। সেই পৰ্যন্ত সে বাড়ীর ভিতর মনুষ্য দূরে থাকুক, কাকপক্ষী কেহ প্রবেশ করে না। সে বাড়ীতে নেঙটি ইন্দুর কি বড় ইন্দুর, কোন ইন্দুর বাস করে না। আমার আরও কৌতুহল জন্মিল। প্রতিবাসীদিগের নিকট হইতে গৃহস্বামীর ঠিকানা জানিয়া তাঁহার নিকট উপস্থিত হইলাম। তিনি ধনবান লোক। মুক্তা-মালা sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro V8S