পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৩৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের মোহর প্ৰথম অধ্যায় বালিকা কলিকাতা সহৱ । গলির পথ। সন্ধ্যার সময়। ঘোর অন্ধকার। বর্ষাকাল। টিপা-টিপ করিয়া জল পড়িতেছে। গিরিশচন্দ্ৰ বন্দ্যোপাধ্যায় হন-হন করিয়া যাইতেছেন। গিরিশচন্দ্র একজন নব্য যুবক। শান্ত সুশীল সভ্যভব্য নব্য যুবক। গিরিশচন্দ্রের বয়ঃক্রম প্রায় কুড়ি বৎসর হইবে। শ্যামবর্ণ মুখে দুই-চারিটা ব্ৰণের দাগ আছে। গোপ-দাড়ির রেখা দিয়াছে। গিরিশচন্দ্র মাঝারি গোচের মানুষ; দীর্ঘ ও নহেন, খৰ্ব্বও নহেন, স্কুলও নহেন, কৃশও নহেন। তাঁহাকে দেখিলে বলবান ব্যক্তি বলিয়া বোধ হয় না, বিশেষতঃ বক্ষঃস্থলের সঙ্কুচিত গঠনটি দেখিলে ভবিষ্যতের লক্ষণ ভাল বলিয়া বোধ হয় না। ༦༽ গিরিশচন্দ্রের গায়ে কামিজ আছে। কুঞ্চিত পাকানো চাদর লম্ববান রহিয়াছে। সেই অন্ধকারে ছাতি মাথায় 给f守ü একজন শুভ্ৰবস্ত্ৰ-পরিধায়ী মানুষ বিপৰ্ব ਜਜ একপার্শ্বে কতকগুলি খোয়া জমা কৰু সহসা সেই খোয়ার উপর সেই মানুষ পতিত হইল। গিরিশ তাড়াতাড়ি গিয়া তাহাকে হাত ধরিয়া তুলিলেন। কিছুদূরে অবস্থিত রাস্তার লন্ঠনের ঈষৎ আলোকে দেখিলেন যে, লোকটি এক বালিকা। বালিকার বয়স দ্বাদশ কি ত্রয়োদশ বৎসর হইবে। মুখশ্ৰী ও ভাবভঙ্গী দেখিয়া তাহাকে ভদ্রলোকের কন্যা বলিয়া বোধ হইল। গিরিশ তাহার হাত ধরিয়া তুলিলেন ও জিজ্ঞাসা করিলেন,- “তোমাকে কি বড় আঘাত বালিকা অধোমুখে উত্তর করিল,— “আজ্ঞা না, আমাকে অধিক লাগে নাই।” গিরিশ পুনরায় জিজ্ঞাসা করিলেন,- “দেখিতেছি, তুমি ভদ্রলোকের কন্যা। এ অন্ধকার বালিকা ছল-ছল চক্ষে মৃদুস্বরে উত্তর করিল,—“আমার পিতা সহসা অতিশয় পীড়িত হইয়াছেন। আমাদের কেহ নাই। সে নিমিত্ত আমি ডাক্তার ডাকিতে দৌড়িয়া যাইতেছি। আমার পিতা ডাক্তারখানায় কৰ্ম্ম করেন। সেই ডাক্তারখানায় যাইতেছি। সে ডাক্তারখানা। এ স্থান হইতে কিছুদূরে।” বালিকার মৃদু-মধুর স্বর গিরিশের মন হরণ করিল। এরূপ ভাব,---কখন কাহাকেও দেখিয়া কি কাহারও কথা শুনিয়া তাঁহার মনে উদয় হয় নাই। গিরিশ মনে মনে ভাবিলেন যে, এই বালিকার জন্য আমি প্ৰাণ পৰ্যন্ত বিসর্জন করিতে পারি। vՉԳ3 ?idteriidბJaffულ ჯშpიfi>i&gg sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro