পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেবতাও নয়, সে ভুতও নয়, সে একজাতীয় ইফ্রিট । মাথনতোষ, অর্থাৎ ম্যাকিন্টিস নামে একজন ইংরেজের কানে একথা উঠিলে, তিনি সিদ্ধান্ত করিলেন যে, আংটিাবীর একপ্রকার জীব, পিরিনি-পৰ্ব্বতে একবার এইরূপ জীবের কঙ্কাল বাহির হইয়াছিল। যাহা হউক, বিমলার রূপ, গুণ ও নম্র প্রকৃতি দেখিয়া সকলেই মুগ্ধ হইলেন। হারাধনের তো কথাই নাই! যে রত্ন লাভ করিবার নিমিত্ত তিনি এত যন্ত্রণা সহ্য করিয়াছেন, যাহার জন্য তাঁহার প্ৰাণ পৰ্যন্ত যাইতে বসিয়াছিল, আজ তাঁহাকে পাইয়া তিনি যে অপাের সুখসাগরে নিমগ্ন হইবেন, সে আর বিচিত্র কি? বিমলার মনের ভাবও সেইরূপ। স্বপ্নে সে স্বইচ্ছায় হারাধনকে বরণ করিয়াছিল। এক্ষণে প্রকৃত অবস্থায় তাঁহাকে দর্শন করিয়া সে আপনার জীবন সার্থক জ্ঞান করিল। এই সময় হারাধনের এক ধনবান বন্ধু কমলার রূপে মুগ্ধ হইলেন। দুই ভগিনীর একদিনে বিবাহ হইবে, তাহার আয়োজন হইতে লাগিল। মনের সুখে, স্নেহের ভরে, যখন দুই ভগিনী-গলা-জড়ােজড়ি করিয়া কথাবাৰ্ত্ত কহিত, তখন এই পাপময় সংসারে এক অপূৰ্ব্ব শোভার আবির্ভাব হইত। শুভদিনে, শুভক্ষণে, শুভকাৰ্য সুসম্পন্ন হইল। বিমলার পিতার অধিক খরচ হইল না, অথচ একদিনে তিনি দুইটি কন্যার দায় হইতে মুক্ত হইলেন। মনের মত দুইটি জামাতা পাইয়া বিমলা ও কমলার মাতা পরমসুখে তাহাদিগকে বরণ করিলেন। বিমলা ও কমলার শরীরে যেখানে যাহা ধরিল, বহুমূল্য অলঙ্কারে সমুদয় শরীর বিভূষিত হইল। তাঁহাদের ঐশ্বৰ্যের সীমা রহিল না। পরমসুখে তাহারা দিনযাপন করিতে লাগিল। মুণ্ড মহাশয়! আমি শুনিয়াছি যে, এই গল্পটির আছে। কারণ, ইহা সন্ন্যাসিপ্রদত্ত ভীেতিক গল্প। ইহা পাঠ করিলে কি শ্ৰব্ৰুণ৯াির্করিলে, কন্যাদায়গ্ৰস্ত ব্যক্তিগণ কন্যাদায় §§§နှီဇို့စ္သိန္နီဖါးနှီးနှီး অবিবাহিতা কন্যাগণ মনের মত পতি প্রােষ্ট্ৰী, নানা ভূষণে ভূষিত হইয়া কাজ করা সাটিনের জ্যাকেট পরিয়া, গরবে গরীবণী হাইড্ৰ'গ্লুটাের মত বসিয়া নাটক-নবেল পড়িয়া কালযাপন করিতে থাকেন। মুণ্ড মহাশয়। ইহা হইতে আর একটি উপদেশ লাভ করিতে পারা যায়। লোকের মৃত্যু হইলে তৎক্ষণাৎ দাহ করা উচিত নহে। শ্বাসরোধ ও হৃৎপিণ্ডের কাৰ্য বন্ধ হইলেই যে, লোকের মৃত্যু হইয়াছে, একথা নিশ্চয় করিয়া বলিতে পারা যায় না। হারাধনের মত কখন কখন লোক মৃত্যুবৎ হইয়া পড়িয়া থাকে। পরে তাহাদিগের পুনরায় চেতন হয়। দেহের কঠিনতা ও পচনচিহ্নের আরম্ভ, এই দুইটি মৃত্যুর নিশ্চিত লক্ষণ। আমাদের দেশে দেহ ভক্ষ্মীভূত হইয়া যায়। হারাধনের মত ঘটনা ঘটিলে তাহা আর ধরিবার উপায় থাকে না। ভ্ৰমক্ৰমে কখন কখন মৃত্যুবৎ জীবন্ত মানুষকে যে ভূমিসাৎ করা হয়, বিলাতের লোক তাহার ভূরি ভুরি প্রমাণ পাইয়াছেন। সে স্থানে তবু একদিন দুই দিন পরে কবর দিবার রীতি প্ৰচলিত আছে। আমাদের এ উষ্ণপ্ৰধান দেশ। এ স্থানে তত বিলম্ব করিতে পারা যায় না। কিন্তু দ্বাদশ দণ্ড অপেক্ষা করিয়া সৎকার করিলে বােধ হয় কোন ক্ষতি হয় না । 8So দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboicon Sier