পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাই। আমি চোর নই, আমি ভদ্রলোক। কি জন্য তুমি এই গভীর রাত্রিতে এই নিৰ্জ্জন স্থানে একাকী আসিয়াছিলে?” বালিকা ভয়ে কাঁপিতে লাগিল, কোন কথা কহিল না। কতক সাধ্যসাধনা করিয়া, কতক ভয় প্রদর্শন করিয়া, আস্তে আস্তে পশ্চাৎ লিখিত বিবরণটি নটবর সেই বালিকার মুখ হইতে বাহির করিলেন। — “বালিকার বাড়ী কলিকাতা, পিতার নাম পীতাম্বর বসু। পিতা ব্ৰহ্মদেশে কৰ্ম্ম করেন। কৰ্ম্ম ছাড়িয়া পিতা দেশে আসিতে পারেন নাই, সেজন্যও বটে, টাকার অভাবের জন্যও বটে, বালিকার আজ পৰ্যন্ত তিনি বিবাহ দিতে পারেন নাই। সম্প্রতি তিনি দেশে আসিয়াছেন। বালিকার মাতা জীবিত নাই। এক ভগিনী ছিলেন। বালিকা ভগিনীপতির বাটীতে সেই ভগিনীর নিকট থাকিতেন। আজ দেড়বৎসর সেই ভগিনী মারা পড়িয়াছেন। বালিকা বলিল যে, সে ভগিনীপতি অতি মন্দ লোক। কিন্তু পিতা তাহার সহিত বিবাহ স্থির করিয়াছেন। বালিকা এখন পিসীর নিকট থাকে। যাহাতে এই ভগিনীপতির সহিত বিবাহ না হয়, পিসী চেষ্টা করিতেছেন; কিন্তু পিতা সে কথা শুনিতেছেন না। মাঝের-গী নামক কোন এক স্থান হইতে সম্প্রতি তাঁহাদের বাটীতে একটি স্ত্রীলোক আসিয়াছিল। তাহার মাথায় একটি ভূত অধিষ্ঠান হয়। পিসীর চেষ্টায় সেই স্ত্রীলোক তাহার ভূতকে আহবান করে। ভূত আসিয়া বলিল যে, রাত্রি দুই প্ৰহরের সময় একাকী আসিয়া বালিকা যদি এই স্থানে সিন্নি প্ৰদান করে, তাহা হইলে ভগিনীপতির হাত হইতে অব্যাহতি পাইবে, ভাল বর তুলাপনি আসিয়া যাইবে। সেইজন্য সে আজ সিন্নি দিতে আসিয়াছিল। চাকর ও পিসী সঙ্গে । কিছুদূরে গাড়ী থামাইয়া তাহারা সেই গাড়ীতে বসিয়া আছেন। বালিকার রূপ দেখিয়া ও সুমিষ্ট কথা শুদ্ভিক্টোবরের মন মজিয়া গেল। নটাবর মনে মনে প্ৰতিজ্ঞা করিলেন যে, যদি ইহাকে হইলে এ প্রাণ রাখিব, না পাইলে এ প্রাণ বিসৰ্জ্জন দিব । আরও সবিশেষ পরিচয় জিজ্ঞাসা করি এমন সময় ফটকের ধারে একটি স্ত্রীলোক আসিয়া বলিল,— “স্বর্ণ, স্বর্ণ! এখনও হয় নাই?” “পিসীমা ডাকিতেছেন,” এই কথা বলিয়া বালিকা দ্রুতবেগে পলায়ন করিল। কি করিবেন। স্থির করিতে না পারিয়া, নটাবর কিছুক্ষণের নিমিত্ত স্তব্ধভাবে দাড়াইয়া রহিলেন। অবশেষে বলিয়া উঠিলেন,- “ঐ যা! বালিকার ঠিকানা জিজ্ঞাসা করিতে ভুলিয়া গিয়াছি।” নটবর দৌড়িয়া বাগান হইতে বাহির হইলেন। গাড়ী তখন ছাড়িয়া দিয়াছে। দ্রুতবেগে গাড়ীর পশ্চাৎ পশ্চাৎ দৌড়িলেন। কিন্তু অবিলম্বেই শ্ৰান্ত হইয়া বসিয়া পড়িলেন। গাড়ী চলিয়া গেল । বালিকার পিতার নাম নটবরের মনে ছিল— পীতাম্বর বসু। কিছুদিন ধরিয়া কলিকাতায় অনেক সন্ধান করিলেন; কিন্তু তাঁহার সকল অনুসন্ধান বিফল হইল। পীতাম্বর বসুকে তিনি খুঁজিয়া পাইলেন না। ଝୁଞ୍ଜ-୩ଣୀ sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro By