পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আসিয়া উপস্থিত হইলেন। গত রাত্রিতে যে সমুদায় ঘটনা ঘটিয়াছিল, মালীর নিকট তাহা বৰ্ণন করিলেন। মালী ঈষৎ হাসিয়া বলিল,— “আমি যখন শুনিলাম যে, আপনি এই বাটী ভাড়া লইয়াছিলেন, তখন আপনাকে পাগল মনে করিােয়ছিলাম। পূৰ্ব্বে এই স্থানে আমি শয়ন করিতাম। যাহা দেখিয়াছি, যাহা শুনিয়াছি, সে সব কথা আপনাকে আর কি বলিব! সেই কারণে আমি একরূপ পাগল হইয়া গিয়াছি। ‘কেন এত নিদয় হইলে,” সৰ্ব্বদাই আমার মনে এই কথাগুলি জাগিতেছে। আর কেহ শুনিতে পায় না, অনেক সময়ে দিনের বেলাও কাজ করিতে করিতে আমি তাঁহার কণ্ঠস্বর শুনিতে পাই, কখন কখন সম্মুখে তাঁহাকে দেখিতে পাই, দুই-একটি কথাও তিনি আমাকে বলেন। এখন সেই বেটার গলায় আমি ছুরি দিতে পারি, তবে আমার মনের খেদ যায় ।” নটবর জিজ্ঞাসা করিলেন,- “কাহার কণ্ঠস্বর? কে ঐ গীতের আধখানি গান করিয়া নিস্তব্ধ रुश? cवाँॉक्षे दी ८दक?” মালী বলিল,— “আপনি জানেন না? এ বাড়ীতে যে সমুদয় ঘটনা ঘটিয়াছিল, সে কথা আপনি শুনেন নাই?” নটবর উত্তর করিলেন,- “সকল কথা দূরে থাকুক, কিছুই আমি শুনি নাই।” মালী বলিল,— “তবে শুনুন। আমি এ স্থানে আজ প্রায় দশ বৎসর কৰ্ম্ম করিতেছি। যখন প্রথম আমি কাজে নিযুক্ত হই, তখন এই বাড়ীতে বাবু সপরিবারে বাস করিতেন। তাহার নিকট একজন হিন্দুস্থানী চাকর ছিল ও ত চাকরাণী ছিল। বাবুর পাঁচ বৎসর বয়স্ক ছেলের গায়ে অনেকগুলি গহনা ছিল। ঔ চাকরাণীতে পরামর্শ করিয়া ছেলেটিকে প্ৰাণ বাঁচিয়া গিয়াছিল। তাহার পর রক হয়। ভয়ে চাকর ও চাকরাণী, স্ত্রী-পুরুষে, একসঙ্গে আস্তাবলে গলায় দড়ি দিয়া মন্ত্রর। সেই পৰ্যন্ত তাহারা ভূত হইয়া আছে। গত রাত্রে আপনি যে কৃষ্ণকায় দুইটি মূৰ্ত্তি দেখিয়াছিলেন, সে সেই দুই জনের ভূত। আমিও ঐ দুই ভূতকে কতবার দেখিয়াছি। এই দুই ভূতের উপদ্রবে। সেই বাবুকেও বাড়ী ছাড়িয়া পলাইতে হইল। তাহার পর এ বাড়ীতে আর কেহ বাস করিতে পারে না। অবশেষে আমার মনিব, গোকুলবাবু, বাড়ীটি ভাঙ্গিয়া ফেলিবার উদ্যোগ করেন। কিন্তু তাঁহার পুত্র নবীনবাবু ভাঙ্গিতে দিলেন না। তিনি যেমন সাহসী ও ডানপিটে, তেমনি মন্দ লোক। কিরূপ মন্দ লোক, সে কথা আর আপনাকে কি বলিব। তিনি বলিলেন,- “দেখি কেমন ভূত! আমি নিজে এই বাড়ীতে বাস করিব।” বাপ অনেক নিষেধ করিলেন, কিন্তু তিনি শুনিলেন না। সপরিবারে তিনি এই বাড়ীতে আসিলেন। তাঁহার স্ত্রী, একটি ছোট শালী,একজন চাকর ও একজন ঝি । স্ত্রী সাক্ষাৎ লক্ষ্মী, যেমন রূপ, তেমনি গুণ। আমি তাঁহাকে মা-লক্ষ্মী বলিয়া ডাকিতাম। আমাকে কত যে তিনি স্নেহ করিতেন, সে কথা মহাশয়কে আর কি বলিব। স্বামী মন্দ, তথাপি তাঁহার প্রতি মালক্ষ্মীর প্রগাঢ় ভক্তি ছিল। উপদেবতার নানারূপ উপদ্রব দেখিয়া দুই-চারি দিন পরেই চাকরচাকরাণী পলাইয়া গেল। এই বাড়ী পরিত্যাগ করিয়া পুনরায় কলিকাতা যাইতে মা-লক্ষ্মী নবীনবাবুর নিকট কত মিনতি করিলেন, কিন্তু তিনি কিছুতেই শুনিলেন না। বাবুর আর ভয় কি? কলিকাতায় কোনও স্থানে তিনি রাত্রিযাপন করিতেন, কোনদিন এই বাড়ীতে আসিতেন, কোনদিন আসিতেন না। যেদিন আসিতেন, সেদিন রাত্রি প্রায় অবসান করিয়া আসিতেন। বাড়ী

        • "***"*"*"%fitRig sniž3. g3 ze - www.amarboi.com و 8