পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ অধ্যায় মদনের প্রতিজ্ঞা বারেণ্ডায় দাড়াইয়া রাধারাণী মিহিরকে আমার ঘর দেখাইয়া দিল। ভিতর-বাটী হইতে বাহিরবাটীতে গমন করিয়া, মিহির প্রথম বারেণ্ডার দ্বারে শিকল দিল। তাহার পর, আমার ঘরে প্রবেশ করিয়া সে ঘরেরও দ্বার বন্ধ করিয়া দিল । অবশেষে সে আমার বিছানায় শয়ন করিল। দ্বার খুলিয়া দিবার নিমিত্ত পাল মহাশয় এখনও নীচে গমন করেন নাই। রাধারাণী সেজন্য পুনরায় তাহাকে বলিল, “বাবা! তুমি নীচে গিয়া পুলিশের লোককে দ্বার খুলিয়া দাও। দ্বার খুলিতে কিন্তু একটু নলপিত করিও। উপরে কেবল তোমার ঘরের দ্বার খোলা থাকুক। প্ৰদীপ নিবাইয়া মা ও আমি অন্য ঘরে দ্বার বন্ধ করিয়া শয়ন করি।” পাল মহাশয় প্রথম বারেণ্ডায় দাড়াইয়া উচ্চৈঃস্বরে পুলিশের লোককে বলিলেন,- “আপনাদের আর কষ্ট করিতে হইবে না। এখনি নীচে গিয়া আমি দ্বার খুলিয়া দিতেছি।” এই বলিয়া সিঁড়ি দিয়া আস্তে আস্তে তিনি নীচে নামিতে লাগিলেন। পরচুল ও মুখস পরিয়া অবাক হইয়া এতক্ষণ আমি চুপ করিয়া বসিয়াছিলাম। রাধারাণী স্বহস্তে আমার এই সাজ করিয়া দিয়াছিল। তাহার কোমল হস্তস্পর্শে শরীর আমার রোমাঞ্চ হইয়াছিল। সেই সুখে মুগ্ধ হইয়া, চিন্তা করিতে এতক্ষণ আমি সময় পাই নাই। কিন্তু এখন আমার বড় ভয় হইল। আমি ভাবিলাম,- “এ মন্দৰ্যন্ধগু নয়! রাক্ষসের হাত হইতে কত কষ্টে পরিত্ৰাণ পাইলাম। এখন দেখিতেছি, র যোগাড় হইতেছে। নিয়োগী মহাশয় পুলিশকে নিশ্চয় বলিয়াছেন যে, কৃষ্ঠাির্সর সাজ সাজিয়া খুনী আসামী বাটীতে আগমন করে। সুতরাং পুলিশ আসিয়াইড্‌ষ্ট ক ধরিয়া ফেলিবে। তাহার পর, আমাকে ভূর্ক্সর নামে মােকদ্দমা করবে। তাহার পর, আমাকে আপনাকে ধিক্কার দিয়া আমি মনে মনে বলিতে লাগিলাম,- “ছি, মদন৷ তুমি না। এইমাত্র প্ৰতিজ্ঞা করিয়াছ যে, আজ হইতে আর পাগলামি করিবে না? আর কখন কাপুরুষের ন্যায় ব্যবহার করিবে না? আজ হইতে তুমি তোমার স্বভাব পরিবর্তন করিবে? ছি, মদন! তোমার কি লজ্জা নাই?” একদিনে সামান্য কথায় মানুষের চক্ষু ফুটিয়া যে চৈতন্য হয়, তাহা আপনারা অসম্ভব বিবেচনা করিবেন না। লালাবাবু তাহার দৃষ্টান্ত। কথিত আছে যে, একদিন লালাবাবু বিষয়কৰ্ম্মে সাতিশয় ব্যস্ত ছিলেন। বেলা দুই প্রহর অতীত হইয়া গেল, তথাপি স্নান-আহার করিতে তিনি যাইলেন না। বাটীর ভিতর হইতে কয়বার লোক তাঁহাকে ডাকিতে আসিল, তবুও তিনি উঠিলেন না। অবশেষে তাহার কন্যা আসিয়া বলিল,— “বাবা! বেলা গেল যে!” “বেলা গেল,” এই দুইটি কথায় লালাবাবুর হৃদয়-তন্ত্রী বাজিয়া উঠিল। সেই মুহূৰ্ত্ত হইতে সংসারের প্রতি তাহার বৈরাগ্য জনিল । মিহিরের কাহিনী শুনিয়া আমারও আজ সেইরূপ হইল। আমার স্বভাবে যে সমুদয় দোষ আছে, এতদিন তাহা আমি দেখি নাই। সে সমুদয় দোষ এখন আমার প্রত্যক্ষ হইল। তাহার _Հյթ]] 86አእs মুক্তা sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro