পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গৃহিণী কঁদিয়া উঠিলেন। আমি চুপ করিয়া দাঁড়াইয়া রহিলাম। একজন পুলিশের লোক আমার মুখ হইতে সেই ৱাক্ষসের মুখস খুলিতে উদ্যত হইল। কিন্তু তাহদের মধ্যে যিনি কৰ্ত্তা, তিনি তাহাকে নিষেধ করিয়া বলিলেন, “উ হু! মুখস খুলিও না। এই অবস্থাতেই ইহাকে সাহেবের मिकाँ, व्लक्ष्ट्र शांक्षेत्र ॥" আমার ভয় হইয়াছিল যে, মুখস খুলিলে পাছে কেহ আমাকে চিনিতে পারে! রাধারণীর সমুদয় আয়ােজন তাহা হইলে বৃথা হইত। নিয়ােগী তখন সে স্থানে উপস্থিত ছিলেন না বটে; কিন্তু পুলিশের লোক যখন আমাকে থানায় লইয়া যায়, সেই সময় বাহির-বাটীর যত বাসাড়ে তামাসা দেখিবার নিমিত্ত আপন আপনি ঘর হইতে বাহির হইয়াছিল। নীচের বাসাড়েগণ নীচে ও দোতলার বাসাড়েগণ উপরের বারেণ্ডার রেল ধরিয়া দাঁড়াইয়াছিল। সকলের সম্মুখ দিয়া পুলিশের লোক আমাকে লইয়া গেল। মুখস খুলিলে তাহারা আমাকে চিনিতে পারিত। মুখসের চক্ষু-কোেটর দিয়া আমি সকলকে দেখিলাম। নিয়োগীকে কোন স্থানে দেখিতে পাইলাম না। নিয়োগী জানিতেন না যে, তাহার পুত্ৰ পাল মহাশয়কে গোপনে সংবাদ দিয়া, তাহার পরিশ্রম বিফল করিয়াছে। যেন এ ব্যাপারে কিছু জানেন না, পরদিন পাল মহাশয়কে তাহাই বলিবার নিমিত্ত তিনি বোধ হয়, আপনার দ্বার বন্ধ করিয়া ঘরের ভিতর বসিয়াছিলেন। দালালকেও কোন স্থানে দেখিতে পাইলাম না। আমি থানায় গিয়া উপস্থিত হইলাম। সাহেবের সম্মুখে আমার মুখস খোলা হইল। কিন্তু পরচুলের দাড়ি-গোফ যেমন তেমনি রহিল। থানার সাহেব আমাকে দুই-এক কথা জিজ্ঞাসা করিলেন, কিন্তু আমি কােন উত্তর করলামৃত্যু আমাকে গারদে কয়েদ করিয়া রাখা হইল । ○ গারদে আমি বসিয়া আছি, এমন সময় বুইয়ের নিয়োগীর গলার শব্দ পাইলাম। নিয়োগীর সহিত পুলিশের যে কথাবাৰ্ত্ত হইল, ত বুঝিলাম যে, মিহিরকে ধরিয়া দিবার নিমিত্ত পাঁচশত টাকা পুরস্কার দিবার ঘোয়ুগ্ৰীষ্টছিল। নিয়োগী সেই পুরস্কারের প্রার্থনা করিলেন। পুলিশের লোক বলিল যে,- “রও! আগে ইহার মোকদ্দমা হউক, তাহার পর তুমি সে পুরস্কার পাইবে।” সেই কথা শুনিয়া নিয়োগী মহাশয় প্ৰস্থান করিলেন। পুলিশের লোক পরদিন আমাকে আর একজন সাহেবের নিকট লইয়া গেল। সে সাহেবও আমাকে দুই-চারি কথা জিজ্ঞাসা করিলেন। আমি কিন্তু একটি কথাও মুখ দিয়া বাহির করিলাম না । হুগলীতে সেই খুন হইয়াছিল। আমাকে হুগলীতে লইয়া গিয়া সে স্থানের পুলিশের হাতে সমৰ্পণ করিবার নিমিত্ত সাহেব আজ্ঞা করিলেন। দুই জন পুলিশের লোক আমাকে হুগলীতে লইয়া চলিল। আমরা তিন জনে রেলগাড়ীতে গিয়া বসিলাম। আমার হাতে হাতকড়ি ছিল। কিন্তু পথে যাইতে যাইতে কৌশল করিয়া, আমি সেই পারচুলের দাড়ি-গোফ খুলিয়া চুপি-চুপি হইল। সে যে পরচুল, তা বোধ হয়, তাহারা জানিত না। তাহারা বলিল,— “তুই একজন পাকা বদমায়েস!” যথাসময়ে আমরা হুগলীর থানায় গিয়া উপস্থিত হইলাম। কলিকাতা পুলিশের লোক হুগলী পুলিশের হাতে আমাকে সমৰ্পণ করিয়া চলিয়া গেল। হুগলী থানার একজন কৰ্ম্মচারী মিহিরকে জানিত। সে তখন থানায় উপস্থিত ছিল না। কিছুক্ষণ পরে সে আসিয়া আমাকে দেখিয়া ऊ-कारांना sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro 8way