পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাকে বলিয়া দিল। নোটখনি বাহির করিয়া আমি পুলিশের হাতে দিলাম। ইহার কিছুদিন পরে নম্বর দেখিয়া প্ৰমাণ হইল যে, ইহা বেণীর পিতার প্রেরিত সেই নোট বটে। পুলিশ বেচুকে থানায় লইয়া যাইতে ইচ্ছা করিল। আমি ও বেচু দুই জনেই আপত্তি করিলাম। কিন্তু পুলিশ সেকথা শুনিল না। পালকি করিয়া বেচুকে তাহারা লইয়া চলিল। দুধ, জল, ঔষধ প্রভৃতি লইয়া, আমিও সঙ্গে চলিলাম। থানা হইতে পুলিশ তাহাকে আদালতে লইয়া গেল। সাহেবের নিকট পুনরায় তাহাকে সমুদয় বৃত্তান্ত প্ৰদান করিতে হইল। সাহেব তাহাকে জেলখানার হাসপাতালে পাঠাইতে আদেশ করিলেন । নিজের খরচে আমি উকীল দিয়া জামিনের প্রার্থনা করিলাম; কিন্তু সে খুনী আসামী; জামিন হইল না। এক স্থান হইতে অন্য স্থানে নাড়া-চাড়া, তাহার উপর ঘোরতর মনের আবেগ, এই সমুদয় কারণে আমি দেখিলাম যে, বেচুর অবস্থা ক্রমশই মন্দ হইয়া আসিতেছে। অপরাহে নিশ্বাসপ্ৰশ্বাসের বৈলক্ষণ্য ঘটিল। এ অবস্থায় জেলখানায় তাহাকে গাড়ী করিয়া লইয়া যাইতে পুলিশ সাহস করিল না। পান্ধিতে আস্তে আস্তে তাহাকে লইয়া চলিল। দুইজন পুলিশ-কৰ্ম্মচারী সঙ্গে চলিল। পাল্কির উপর হাত রাখিয়া, পার্শ্বে দাঁড়াইয়া রোগীর মুখের দিকে সতত দৃষ্টি রাখিয়া, আমিও সঙ্গে সঙ্গে চলিলাম। গড়ের মাঠে গিয়া রোগীর চক্ষুর ভাব দেখিয়া আমার বড় ভয় হইল। এক নিভৃত বৃক্ষতলে আমি পান্ধি নামাইতে বলিলাম। তাহার পর ভাল করিয়া দেখিয়া বুঝিতে পারিলাম যে, বেচুর আসন্নকাল উপস্থিত হইয়াছে। আমি তােহর মুখে বিন্দু বিন্দু জল দিয়া ধীরে ধীরে ভগবানের নাম করিতে লাগিলাম । এবার আমার পানে চাহিয়া অতি মৃদুস্বরে বেচু। য়টি কথা বলিল,— “মদনবাবু! আমি চলিলাম। রাধারাণীকে আপনি বিবাহ করিবেন। অঁপিন সংসারী হইবেন। সেদিন ধৰ্ম্মবিষয়ে ਜ মহানিৰ্ব্বাণতন্ত্র ক্রয় করিবেন! বৰ্ত্তমান মানবজাতির অবস্থা বুঝিয়া চরাচরের গুরু শ্ৰীশ্ৰীসদাশিব মনুষ্যজাতিকে এই প্ৰদান করিয়াছেন। ব্ৰহ্মপরায়ণ ব্ৰাহ্মণের নিকট এই তন্ত্র অনুসারে উপদেশ গ্ৰহণ করিবেন। তাহার পর, এই তন্ত্র অবলম্বন করিয়া সংসারযাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিবেন। তাহা করিলে আপনার ইহকালে সুখ ও পরকালে সদগতি হইবে। আর বিশেষ কথা এই যে, এই তন্ত্রের প্রভাবে অকালমৃত্যুজনিত মহা শোকে আপনার হৃদয় সন্তাপ্ত হইবে না। সেই সদাশিব এক্ষণে আমার কণ্ঠে আসীন হইয়াছেন। তাহার আদেশে আপনাকে আমি এই কথাগুলি বলিলাম।” আহা! এই কথাগুলি বলিবার নিমিত্ত বেচু যেন এতক্ষণ জীবিত ছিল। যাই এই কথাগুলি শেষ হইল, আর দেহ হইতে তাহার প্রাণবায়ু অন্তৰ্হিত হইল। আমি কাঁদিতে লাগিলাম। বেহারগণ তাহার মৃতদেহ জেলখানায় লইয়া গেল। আমিও সঙ্গে সঙ্গে যাইলাম। আমি মনে করিলাম যে, মৃতদেহ দিবার অনুমতি হইলে, আমি লোক ডাকিয়া আনিব। এইরূপ মনে করিয়া বাহিরে আমি অপেক্ষা করিতে লাগিলাম । কিছুক্ষণ পর নিয়োগী মহাশয় সেই স্থানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। বাসায় পৌঁছিয়া তিনি সমুদয় ঘটনা শুনিয়াছিলেন। তাহার পর তিনি থানায়, ও থানা হইতে আদালতে গিয়াছিলেন। আদালত হইতে এইস্থানে উপস্থিত হইলেন। ভাব পরিবৰ্ত্তিত হইতে আরম্ভ হইয়াছিল। তাহার পর মুমূৰ্য বেচুর নিকট বসিয়া, তাহার ব্যথাবার্তা ՀIՓ)–ՀՈՊ sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro BWA