পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৪৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু পৃথিবীতে কাহারও মনে যে কু-অভিসন্ধি থাকিতে পারে, মুস্তফি তাহা জানিতেন না। যে যাহা বলে, তাহাই তিনি সত্য বলিয়া বিশ্বাস করিতেন। “তোমার সহিত কুটুম্বিতা করিয়া আরও পাকাপাকি বন্ধুতা করিব।” এখন সেই কথার প্রতি মুস্তাফির মনে একবার একটু সন্দেহ হইল। কিন্তু সে সন্দেহ তিনি তৎক্ষণাৎ মন হইতে ঝাড়িয়া ফেলিলেন। মুস্তাফি বলিলেন,- “চাকরির বাজার বড় মন্দ। বি, এ, —এম, এ পাস করিয়া কত লোক ফ্যা ফ্যা করিয়া বেড়াইতেছে। তাঁহাতে তোমার বয়স হইয়াছে। পূৰ্ব্বে চাকরি কখনও কর নাই। চাকরি পাওয়া বড়ই কঠিন হইবে।” আফিসের সাহেব মুস্তাফিকে খুব ভাল বাসিতেন। অনেক বলিয়া কহিয়া তিনি নিজের আফিসে৷ বৈবাহিক মহাশয়কে একটি চাকরি করিয়া দিলেন। অল্প খরচে সংসার চলিবে, সে জন্য মাশ্চন্টক মহাশয় কলিকাতার অপর পারে গিয়া বাসা করিলেন। অতি মনোযোগের সহিত মাশ্চন্টক মহাশয় আফিসের কাজ কৰ্ম্ম করিতে লাগিলেন। আফিস দশটা হইতে পাঁচটা কিন্তু তিনি নয়টার সময় আসিফে যাইতেন ও সন্ধ্যা সাতটার সময় আফিস হইতে আসিতেন। তাহার বুদ্ধির প্রখরতা ও কাৰ্য্যদক্ষতার গুণে সাহেব দিন দিন তাহার বশ হইতে লাগিলেন। সাহেবের জামায় ধূলা না থাকিলেও তিনি আগ্রহ সহকারে তাহা ঝাড়িয়া দিতেন। পরিশ্রম, কাৰ্য্যদক্ষতা ও খোসামোদ, এই তিন গুণে দেবতারা বিশ হইয়া পড়েন, মানুষ কোন ছাঁর! মাশ্চন্টক মহাশয়ের ক্রমেই উন্নতি হইতে লাগিল। কিছুদিন পরে মুস্তফি ঘোরতর পীড়িত হইয়া পড়িল্লেন। তাঁহাকে ছুটি লাইতে হইল। দুই :::::::* গেলেন। তাহার পুরাতন সাহেব কিছুদিন পূৰ্ব্বে বিলাত চলিয়া গিয়াছিলেন। সেই ঔদে নূতন যে সাহেব নিযুক্ত হইয়াছিলেন, যাদবকে তিনি বলিলেন,- “এ আফিসে ত্যুেমার আর কাজ করিতে হইবে না। অন্য স্থানে তুমি চাকরির অনুসন্ধান কর।” এই কথা বলিয়া, এক মাসের আফিসে সাহেবেরা যাহা ইচ্ছা! दनिले श्ल! বিরস বদনে মুস্তাফি বাড়ী ফিরিয়া আসিলেন। কিন্তু কি দোষে তাহার যে চাকরি গেল, তাহা তিনি বুঝিতে পারিলেন না। আফিসের অন্যান্য লোক কিন্তু বুঝিতে পারিয়াছিল। মুস্তাফির অনুপস্থিতিকালে মাশ্চন্টক মহাশয় তাহার কাজের নানারূপ দোষ বাহির করিয়া সাহেবের মনে বিষ ঢালিয়া দিয়াছিলেন। কোনও কোনও লোকের নিকট মাশ্চন্টক এ কথা স্বীকারও করিয়াছিলেন। তিনি বলিয়াছিলেন যে, “মনিবের যাহাতে মঙ্গল হয়, তাহা আমার করা উচিত। তাহা না করিলে বিশ্বাসঘাতকতা অপরাধ হইলে কি হয়, বেহাই নরকে যাইতে হইব। বন্ধু হইলে কি হয়, বাবার কাজেও আমি যদি দোষ দেখিতাম, তাহা হইলেও আমি সাহেবকে জানাইতাম।” ক্রমে ক্রমে এ কথা মুস্তাফির কাণে উঠিল। সকলে বলিল,- “তোমার বেহাই তোমার অন্ন মারিয়াছেন।” মুস্তাফি কিন্তু সে কথা বিশ্বাস করিলেন না। তিনি বলিলেন,- “নরোত্তম! না না, নরোত্তম কখনও এরূপ কাজ করিবে না। এতটুকু বেলা হইতে তাহাকে আমি জানি।” মুস্তফি সওদাগরি আফিসের হিসাব রাখিতে ভাল জানিতেন। সে জন্য তাঁহাকে অধিক দিন বসিয়া থাকিতে হইল না। তত বেতনে না হউক, আর একটী আফিসে তাহার চাকরি হইল। দুই আফিসে দুই বন্ধুর এইরূপে কাল কাটিতে লাগিল। {ଷ୍ কুঞ্জ’ দিয়া, সাহেব তাঁহাকে বিদায় করলেন। সওদাগর করিতে পারেন। “তোমাকে আর চাই না,”— এই কথা Wgii (ącjęły 8byእ» sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro