পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দৌড়ি ঠেলা-ঠেলি হুড়া-হুড়ি করিয়া সেই শ্লেষ্মা চাটিয়া খায়! পেটের জ্বালায় মানুষের যে জ্ঞান বুদ্ধি সব লোপ হয়, মানুষ যে অতি ঘৃণিত কাজ করিতে পারে, আজ তাহা চক্ষে দেখিলাম।” বামা কাওরাণীকে সঙ্গে লইয়া চুপি চুপি তিনি বাটী প্রত্যাগমন করিলেন। বাটী উপস্থিত হইয়া তিনি বলিলেন,- “বামা! আমার একটী কথা তোকে রাখিতে হইবে। আমার মাথার দিব্য। একথা যেন প্রকাশ না হয়। অধরের মা পুনরায় যাহাতে এরূপ কাজ না করেন, তাহার উপায় আমি করিব। কিন্তু তুই আমার কাছে তিন সত্য করা যে,- “মাশ্চটকনীর এ কথা আমি আর কাহাকেও বলিব না।” বামা সেইরূপ অঙ্গীকার করিয়া প্ৰস্থান করিল। গোপালের-মা তৎক্ষণাৎ পুনরায় রন্ধন করিতে আরম্ভ করিলেন। দুইটী উনান জ্বালাইয়া একটীতে ভাত ও অপরটীিতে দাল চড়াইয়া দিলেন। আলু-ভাতের নিমিত্ত চাউলের সহিত আলু ছাড়িয়া দিলেন। রাঁধিতে রাধিতে তিনি ভাবিলেন যে,- “অধরের মা যাহাতে সত্ত্বর গৃহে প্ৰত্যাগমন করেন, সেইরূপ উপায় করা উচিত। তাহা না করিলে অন্য কেহ তাঁহার এই ঘূণিত কাজ দেখিয়া ফেলিবে ।” এইরূপ ভাবিয়া তিনি পুনরায় পুষ্করিণীর নিকট গমন করিলেন। কিন্তু তখন ঘাটে কাহাকেও দেখিতে পাইলেন না। পুষ্করিণীর ধারে ধারে গমন করিয়া মাশ্চন্টক মহাশয়ের খিড়কি দ্বারে গিয়া তিনি উপস্থিত হইলেন। দ্বার ঠেলিলেন, দ্বার খুলিয়া গেল। বাটীর ভিতর প্রবেশ করিলেন। বরাবর তাহদের শয়ন-ঘরের নিকট গিয়া দেখিলেন যে, মাশ্চন্টক মহাশয় তক্তপোষের উপর বসিয়া আছেন, তাহার স্ত্রী নিম্নে বসিয়া আছেন। দুইজনের সম্মুখে এক এক রাশি তেঁতুল পাতা রহিয়াছে, দুই জনে তুহঁ”খাইতেছেন। গােপালের মাতাকে দেখিবা মাত্র মাশ্চৰ্টক মহাশয় চীৎকার করিয়া উঠিলেন,— “ময়না কোথা গেল। ময়না কোথা গেল!” ぐ。 অধরের মাতা কোন কথা বলিল্লেনটনী, ঘাড় হেঁট করিয়া রহিলেন, চক্ষু দিয়া তাঁহার জল পড়িতে লাগিল। মাশ্চটক-গৃহিণী চিরকাল ক্ষীণাঙ্গী ছিলেন। তাঁহার শরীর কৃশ ও চওড়া ছিল, তিনি উজ্জ্বল শ্যামবর্ণা ছিলেন। কিন্তু এক্ষণে তাঁহার বর্ণ কালো হইয়া গিয়াছিল। তাহার শরীর অস্থিচৰ্ম্মসার হইয়াছিল। কৃশ ও ময়লা হইয়া তাঁহার শরীরটী এক্ষণে কৃষ্ণবর্ণের একখানি তক্তার ন্যায় দেখাইতেছিল। মাশ্চন্টক মহাশয়ও কৃশ ও দুৰ্ব্বল হইয়া গিয়াছিলেন। গোপালের মা বুঝিতে পারিলেন যে, অনাহারে ইহাদের এইরূপ দুৰ্দশা হইয়াছে। অধকের মা মৃদুস্বরে বলিলেন,- “বীে-মা আমাকে লুকাইয়া চুপি চুপি তেঁতুল-পাতা খাইত। তাহার নিকট আমি শিখিয়াছি। টক টক বেশ লাগে!” গোপালের-মা বলিলেন,- “তোমার বোধ হয় অসুখ হইয়াছে। সেজন্য তুমি বোধ হয়। রাধিতে পার নাই। দাল ও ভাত আমি চড়াইয়া দিয়াছি। এখনি তোমাদের জন্য আনিব। আমি অতি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করিয়া রাধিতেছি। কোন অবিচার হইবে না। তোমাকে দিদি, খাইতে হইবে । আমার মাথা খাও। না” বলিতে পরিবে না।” মাশ্চটক-গৃহিণী কোন উত্তর করিলেন না। গোপালের-মা বাটী ফিরিয়া আসিলেন। ভাত, দাল, তরকারি রন্ধন করিয়া বড় একখানি থালা ও বড় একটী বাটীতে পূৰ্ণ করিয়া, তাঁহাদের বাটীতে লইয়া গেলেন। ভাত দেখিয়া মাশ্চন্টক মহাশয় দুরন্ত উন্মত্তের ন্যায় হইলেন। খাদ্য প্ৰস্তুত হইলে কুকুর। যেমন ছটুফটু করিতে থাকে, তিনিও সেইরূপ করিতে লাগিলেন। তাহার SR află cios (gs se - www.amarboi conf**