পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভানুমতী ও রুস্তম প্ৰথম অধ্যায় কুজো ।বর সেকালে ইরাণ দেশে এক রাজা ছিলেন। সেই রাজার ভানুমতী নামক এক কন্যা ব্যতীত অন্য সন্তান-সন্ততি ছিল না। রাজা ও রাণী ভানুমতীকে আপনাদিগের প্রাণ অপেক্ষা ভালবাসিতেন। কেবল পিতামাতা নহে, ভানুমতীর রূপে-গুণে সকলেই মুগ্ধ হইয়াছিল। দেশের সকল লোকেই ভানুমতীকে প্ৰাণ অপেক্ষা ভালবাসিত। ভানুমতী দিন দিন বাড়িতে লাগিল। পদ্মের মুকুল প্ৰস্ফুটিত হইলে তাহার শোভায় সমুদয় সরোবর যেমন আলোকিত হয় ও তাহার সীেরাভে যেমন চারিদিক আমোদিত হয়, ভানুমতীর রূপে সেইরূপ সমুদয় ইরাণ রাজ্য যেন আলোকিত হইল এবং গুণের যশ সেইরূপ দেশ-বিদেশে বিস্তৃত হইল। কিন্তু তাহার বিবাহ দিতে রাজা বিলম্ব, লাগিলেন। একদিন রাজা, রাণীকে নূয়ন্সের পুতলি। প্রাণ অপেক্ষ তুহাকে আমরা লুণ্ঠন্তরাল করিতে পারি না। বিবাহ দিলেই তাহাকে শ্বশুরালয়ে পাঠাইতে হইবে। তাহাকে দেখিয়া কি করিয়া আমরা বঁচিব? ভানুমতী এখনও তেমন বড় হয় নাই। আরও কিছুদিন য়উর্ক তখন তাহার বিবাহের চেষ্টা করিব।” কিন্তু দেশ-বিদেশের রাজা ও রাজপুত্ৰগণ সে কথা জানিত না। ভানুমতীর রূপ-গুণের কথা তাহারা সকলেই শুনিয়াছিল। ভানুমতীকে বিবাহ করিবার নিমিত্ত সকলেই লালায়িত হইল। সেইরূপ প্রার্থনা করিয়া অনেক রাজা ও অনেক রাজপুত্র ভানুমতীর পিতার নিকট দূত পাঠাইল। কিন্তু ভানুমতীর পিতা কাহারও প্রস্তাবে সম্মত হইলেন না। দূতাদিগকে তিনি বলিলেন যে,- “আমার মেয়ের এখনও বয়স হয় নাই। আরও বড় না হইলে আমি কন্যার বিবাহ দিব না।” এই কথা বলিয়া তিনি দূতাদিগকে বিদায় করিলেন। এই সময়ে নিশাপুর নামক দেশে একজন প্ৰবলপরাক্রান্ত রাজা ছিলেন; কিন্তু তিনি দেখিতে সুপুরুষ ছিলেন না। বয়সে তিনি বৃদ্ধ ছিলেন, তাহার মুখে সাত হাত লম্বা পাকা দাড়ি ছিল। আর তাঁহার পিঠে বৃহৎ একটি কুঁজ ছিল। রূপ ছিল না বটে; কিন্তু তাঁহার গুণ অনেক ছিল। যাহাকে গুণী অর্থাৎ জাদুগর বলে, তিনি তাই ছিলেন। তিনি নানারূপ মন্ত্র-তন্ত্র জানিতেন। সেই মন্ত্রবলে তিনি দিনকে রাত ও রাতকে দিন করিতে পারিতেন। মনুষ্যকে জন্তু করিতে পারিতেন ও জন্তুকে মানুষ করিতে পারিতেন। ভূত, প্ৰেত, দানা, দৈত্য, জিন, পরি সকলকে তিনি বশীভূত করিয়াছিলেন। তাঁহার ভয়ে ভূত প্ৰেত জিন পরিা সৰ্ব্বদাই সশঙ্কিত থাকিত । G8S ত্ৰৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্ৰহ sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro