পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভানুমতীকে বিবাহ করিতে তাঁহার সাধ হইল। তিনি ভাবিলেন যে,- “আমার গায়ের রঙ কিছু ময়লা, ফুটফুটে গীেরবর্ণ নয় বটে, দাড়িটি সাত হাত লম্বা,-আর শণের ন্যায় পাকাও বটে। আর পিঠের মাঝখানে বড় একটি বিলাতী কুমড়ার ন্যায়৷ কুঁজও আছে বটে,-কিন্তু তা হইলে কি হয়, ভানুমতীকে আমি অনেক গহনা দিব। গহনা পাইলে ভানুমতীর পিতামাতা ভুলিয়া যাইবে, ভানুমতীও আমাকে ভালবাসিবে। সংসারের নিয়ম এই।” এইরূপ মনে করিয়া ভানুমতীর পিতার নিকট তিনি দূত পঠাইলেন। যেমন ভানুমতীর রূপগুণের সুখ্যাতি দেশ-বিদেশে প্রচারিত হইয়াছিল, সেইরূপ নিশাপুরের কুজো রাজার সুখ্যাতিও দেশ-বিদেশে প্রচার হইয়াছিল। ইরাণ রাজ-সভায় যখন তাহার দূত আসিয়া উপস্থিত হইল, তখন ভানুমতীর পিতার প্রথম অতিশয় রাগ হইল। তিনি ভাবিলেন, — “বেটার একবার আস্পৰ্দ্ধা দেখ! বামন হইয়া চাঁদে হাত! বেটার রূপ দেখিলে আমাদের ভয় হয়। কোন সাহসে সে ভানুমতীকে বিবাহ করিতে ইচ্ছা করিল?” প্ৰথমে রাজা এইরূপ ভাবিলেন বটে; কিন্তু পরীক্ষণেই তাঁহার বড় ভয় হইল। কুঁজে রাজা কিরূপ তন্ত্ৰ-মন্ত্র জানিত, ভানুমতীর পিতা তাহা জানিতেন। পাছে রাগিয়া সে ভানুমতীর কোন মন্দ করে, তাহার সেই ভয় হইল। কিন্তু এরূপ কুৎসিত-কদাকার দুষ্টলোকের সহিত ভানুমতী হেন কন্যার তিনি কি করিয়া বিবাহ দিবেন? সে প্রস্তাবে তিনি কিছুতেই সম্মত হইতে পারিলেন না। অন্যান্য রাজদূতকে তিনি, যে কথা বলিয়াছিলেন, নিশাপুরের দূতকেও তিনি সেই কথা বললেন। তাহা ছাড়া তাহাকে অনেক বহুস্থ উপঢৌকন দিয়া মধুৰ বচনে বিদায় করিলেন। (O) ಙ್ಕ್ತ್ಯ: তখন ক্রোধে তিনি জুলিয়া উঠিলেন। তিনি বলিলেন, “আমি এমন সুপাত্র, তথাপি আমার সহিত ভানুমতীর বিবাহ দিবে না? আচ্ছা, খুব জব্দ করিব।” এইরূপ ভাবিয়া কুঁজে রাজা আঞ্চস্ট্রির গুরুর নিকট গমন করিলেন। নিবিড় বনের ভিতর মন্ত্রবলে বৃহৎ একটি কেল্লা নিৰ্ম্মাণ গুরু, তাহার ভিতর বাস করেন। গুরুর নিকট উপস্থিত হইয়া কুঁজে রাজা বলিলেন, — “মহাশয়! ইরাণের রাজা আমার বড় অপমান করিয়াছে। ভানুমতী নামে তাহার এক কন্যা আছে। তাহাকে আমি বিবাহ করিতে চাহিয়াছিলাম। কিন্তু আমার পিঠে কুঁজ ও মুখে সাত হাত পাকা দাড়ি আছে বলিয়া সে আমার কথায় সম্মত হয় নাই। ইরাণের রাজাকে দণ্ড দিতে হইবে। কিন্তু ভানুমতীকে আমি বধ করিতে ইচ্ছা করি না, যেমন করিয়া পারি, তাহাকে আমি বিবাহ করিব। এক্ষণে কি উপায়ে তাহাদিগকে আমি জব্দ করিতে পারি, তাহা আমাকে বলিয়া দিন।” গুরু হাসিয়া বলিলেন,- “তাহার ভাবনা কি! এই তুমি অঙ্গুরীটি লইয়া যাও। কোনরূপে ভানুমতীকে এই আঙটিটি দিবে। ভানুমতী নিজের অঙ্গুলিতে এই অঙ্গুরী পরিধান করিলে প্ৰাণে মরিবে না; কিন্তু বিলক্ষণ তামাসা হইবে! তাহাতে রাজা-রাণী সকলেই দুঃখে অভিভূত হইয়া পড়িবে। তখন ভানুমতীকে ভাল করিবার নিমিত্ত তাহার বাপ-মা পায়ে ধরিয়া তোমার সহিত বিবাহ দিবে।” আঙটি লইয়া কুঁজে রাজা নগরে প্রত্যাগমন করিলেন। সে স্থানে আসিয়া তিনি সহরের প্রধান জহুরীকে ডাকিতে পাঠাইলেন। জহুৱী আসিয়া উপস্থিত হইলে তিনি তাহাকে বলিলেন,- “রাজ্যভাণ্ডার হইতে তোমাকে আমি অনেক মণিমুক্তা ও বহুমূল্য আভরণ প্রদান মজার গল্প sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro (?8○