পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিতেছি। সে সকল লইয়া তুমি ইরাণ দেশে গমন কর। ইরাণ রাজার বাড়ীতে গিয়া সেই সকল দ্রব্য তুমি অতি অল্প মূল্যে বিক্রয় করিবে। কিন্তু আর যাহা বিক্রয় কর আর নাই কর, রাজকন্যা যাহাতে এই আঙটিটি নিজের হাতে পরিধান করে, তুমি সেই উপায় করিবে । রাজকন্যাকে যদি তুমি আঙটি পরাইতে না পাের, তাহা হইলে আমি তোমার পরিবারবর্গের মাথা কাটিয়া ফেলিব।” এই কথা বলিয়া কুজো রাজা তাহাকে সেই অঙ্গুরী ও রাজ ভাণ্ডার হইতে অনেক মুণি-মুক্তা ও নানারূপ অলঙ্কার প্রদান করিলেন। সেই সমুদয় লইয়া ভয়ে ভয়ে জহুরী ইরাণ দেশে গিয়া উপস্থিত হইল। ইরাণ নগরে উপস্থিত হইয়া প্ৰথম সে সাধারণ লোককে সেই সমুদয় বহুমূল্য প্রস্তর ও গহনা অতি অল্প মূল্যে বিক্রয় করিতে লাগিল। তাঁহাতে ক্ৰমে চারিদিকে জনরব হইল। যে, কোন দেশ হইতে এক জহুরী আসিয়া অতি অল্প মূল্যে বহুমূল্য দ্রব্যাদি বিক্রয় করিতেছে। সেই কথা ক্রমে রাজমন্ত্রিগণের কানে উঠিল। য়াজমন্ত্রিগণ তাহার নিকট হইতে অনেক দ্রব্য ক্রিয় করিল। রাজাও ক্রমে তাহার কথা শুনিলেন। জহুরীকে রাজা ডাকিতে পাঠাইলেন। এইবার জহুরী সৰ্ব্বাপেক্ষা উত্তম উত্তম হীরা মাণিক মুক্তা বাহির করিয়া রাজাকে দেখাইল । রাজা তাহা দেখিয়া আশ্চৰ্য্য হইলেন। এরূপ উৎকৃষ্ট প্রস্তরাদি রাজভাণ্ডারে ছিল না। তিনি নিজে অনেক দ্রব্য ক্রয় করিয়া জহুরীকে অন্তঃপুরে রাণী ও ভানুমতীর নিকটে পাঠাইয়া দিলেন। রাণী ও ভানুমতী তাহার নিকট হইতে অনেক অলঙ্কার ক্রয় করিলেন। সকলের শেষে জহুরী সেই আঙটি বাহির করিল। বহুমূল্য হীরক-সম্বলিত সেই র গঠন ও চাকচিক্য দর্শন করিয়া FA প্ৰশংসা করিয়া তাহার মূল্য 钴 মূল্য নাই। জহুরী উত্তর করিল,— এ পরদিন প্ৰাতঃকালে রাজবাড়ীতে কোলাহল পড়িয়া গেল। রাজা ও রাণী ঘোর শোকে অভিভূত হইয়া পড়িলেন। নগরে চারিদিকে হাহাকার পড়িয়া গেল। তাহার কারণ এই যে, সকালবেলা উঠিয়া সকলে দেখিল যে, রাজকন্যা ভানুমতীর কেবল মুখখানি ব্যতীত সৰ্ব্বশরীর খড়ের হইয়া গিয়াছে। ঠাকুর গড়িবার সময় লোকে যেরূপ প্রথম খড় দিয়া ঠাকুরের কাঠামো করিয়া লয়, ভানুমতীর হাত-পা বক্ষঃস্থল প্রভৃতি সমুদয় শরীর সেইরূপ খড়ের হইয়া গিয়াছে। ভানুমতীর মুখখানি কেবল রক্তমাংসের ছিল। সেই মুখ দিয়া ভানুমতী কথা কহিত ও খাইতে পারিত। খড়ের-হাত-পা দিয়াও সে বিছানার উপর উঠিতে-বসিতে পারিত; কিন্তু চলিতে-ফিরিতে পারিত না। 688 frig -ibs gas se - www.amarboicon:"