পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম অধ্যায়। শিশির ঔষধ ভানুমতীর খড়ের শরীর দপ্‌ করিয়া জুলিয়া উঠিল। সেই আগুন নিবাইতে সকলে ব্যস্ত হইল। সেই অবসরে রুস্তম সেস্থান হইতে পলায়ন করিলেন। তাড়াতাড়ি সকলে জল আনিয়া আগুন নিবাইল। ভানমতীর প্রাণ বঁচিল। কিন্তু তাহার নাক, কান ও জিহবা পুড়িয়া গেল। আশ্চৰ্য্য কথা এই যে, তাহার খড়ের হাত-পা একেবারে পুড়িয়া গেল না; কিন্তু রুক্ত-মাংসের নাক, কান ও জিহ্বা পুড়িয়া গেল। রাজা অতিশয় ক্রুদ্ধ হইলেন। তিনি বলিলেন যে, “রাজ্য ও রাজকন্যার লোভে কোথা হইতে একটা জুয়াচোর আসিয়াছিল। শীঘ তাহাকে ধরিয়া আন। এক্ষণেই আমি তাহাকে শূলে প্ৰদান করিব, অথবা তাহার মাথা কাটিয়া ফেলিব।” কিন্তু রুস্তমকে কেহ খুঁজিয়া পাইল না। রাজবাটী হইতে বাহির হইয়া রুস্তম রুদ্ধশ্বাসে দৌড়িতে লাগিলেন। সহর হইতে বাহির হইয়াও তিনি অতি দ্রুতবেগে পথ চলিতে লাগিলেন। অবশেষে সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে তিনি সেই প্ৰান্তরে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। সন্ধ্যা হইলে সেই নরমুণ্ড ও কাক অৰ্থাৎ সাদি ও তারা পুনরায় নরদেহ প্ৰাপ্ত হইল। রুস্তম তাহাদিগের নিকট গিয়া রাজবাটীর দুর্ঘটনার কথা সমুদয় বর্ণনা করিলেন। তাহা শুনিয়া তারা বলিল,- “তোমাকে গুরু ফাঁকি দিয়াছে। ভাল করিবার নিমিত্ত প্ৰকৃত উপায় তোমাকে বলিয়া দেয় নাই। যে আঙটি দিলে গায়ে/অণ্ডন লাগিয়া যায়, সেই আঙটি তোমাকে দিয়াছিল। সে মনে করিয়াছিল যে, ভ আগুন লাগিয়া গেলে, রাজা, রাগে তোমাকে কাটিয়া ফেলিবেন । তখন র তলোয়ার দেখাইয়া তাহাকে জ্বালাতন করিতে পরিবে না। যাহা হউক, র তোমার কাছে আছে তো?” শমশের রুস্তমের কোমরে বাধা ছিল। তাহার উপর হাত দিয়া রুস্তম উত্তর করিলেন, — “হাঁ শমশের আমার কাছেই আছে।” তারা বলিলেন,- “বেশ! তুমি পুনরায় সেই জাদুগর গুরুর নিকট গমন কর। তাহাকে এখন বধ করা হইবে না। ভানুমতী ভাল না হইলে তাহাকে বধ করিও না। আপাততঃ ভয় দেখাইয়া তাহার নিকট হইতে ভানুমতীর ঔষধ গ্ৰহণ কর।” পরদিন প্ৰাতঃকাল হইবার পূৰ্ব্বে, সাদি ও তারার নিকট হইতে বিদায় হইয়া রুস্তম চলিতে আরম্ভ করিলেন। যথা সময়ে তিনি গুরুর বনে গিয়া উপস্থিত হইলেন; বনের ভিতর পূৰ্ব্বের ন্যায় ভয়ানক শব্দ হইতে লাগিল। কিন্তু রুস্তম সে শব্দে ভয় পাইলেন না। দুর্গের দ্বারের নিকট উপস্থিত হইয়া পূর্বের ন্যায় ভয়ানক শমশের তলোয়ার দ্বারা তিনি তাঁহাতে ঘা মারিলেন। দ্বার খুলিয়া গেল। দুর্গের ভিতর প্রবেশ করিয়া রুস্তম গুরুর অনুসন্ধান করিতে লাগিলেন। কিন্তু কোন স্থানে তাহাকে দেখিতে পাইলেন না। অনেক খুঁজিতে খুঁজিতে অবশেষে তিনি এক অন্ধকারময় ঘরের ভিতর প্রবেশ করিলেন। ঘরটি নানারূপ শিশি, নানারূপ শুষ্ক জীবজন্তুর দেহ, নানারূপ গাছের ছাল ও মূলে পরিপূর্ণ ছিল। তাহার মাঝখানে বসিয়া হাপরে আগুন জ্বালাইয়া গুরু মন্ত্রবলে ঔষধ প্ৰস্তুত করিতেছিল। রুস্তম গিয়া একেবারে গুরুর কুঁটি ধরিলেন। কুঁটি টানিয়া তাহার মুণ্ড কাটিবার নিমিত্ত শমশের তলোয়ার উত্তোলন করিলেন। ভয়ে বিহবল হইয়া গুরু রুস্তমের পায়ে পড়িল । মজার গল্প y sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro