পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পিঠে তোমার বৃহৎ কুঁজ আছে। তোমার কেবল এক দাড়ির গৌরব ছিল! সেই সাত হাত পাকা দাড়ি আজ কাটা যাইবে।” কুজো রাজা রুস্তমের পায়ে পড়িয়া বলিল,- “তুমি আমাকে বধ করা, তুমি আমার গলা কাটিয়া ফেল, কিন্তু তুমি আমার দাড়ি কাটিও না। আহা! কত তরিবৎ করিয়া আমি আমার দাড়ি প্রস্তুত করিয়াছিলাম। আর এই দাড়ির গুণেই আমার যত জাদুবিদ্যা। হায়! হায়! সে সাধের দাড়ি আজ আমার কাটা গেল।” এই বলিয়া কুজো রাজা কাঁদিতে লাগিল; কিন্তু তাহার ক্ৰন্দনে রুস্তম কৰ্ণপাত করিলেন না। নাপিত ডাকাইয়া তিনি তাহার দাড়ি কাটিয়া । তাহার পর সেই দাড়ি পোড়াইয়া তাহারা ভস্ম সাদি ও তারার গায়ে লেপন করিয়া । সাদি ও তারা তৎক্ষণাৎ মানুষের আকৃতি প্রাপ্ত হইল। রুস্তম সাদিকে নিশাপুরেরঞ্জংহাসনে বসাইলেন। সাদি পুত্র-নির্বিশেষে সেই দেশের প্রজাদিগকে পালন করিতে । গ্নিৰ্দ্ধেনী সাদি আপনার পিতৃব্যকে বধ করিলেন না। গুরু ও তাহাকে তিনি কারাবদ্ধ করিয়া রুঞ্জিলে । কিছুদিন পরে রুস্তম ইরাণ নগরে প্রত্যাগমন করিলেন। রাজার সহিত সাক্ষাৎ কল্পিী। তিনি বলিলেন,— “মহারাজ! ভানুমতীকে আমি প্ৰাণদান করিয়াছি। ভানুমতীকে আমি বিবাহ করিতে ইচ্ছা করি না। নিশাপুরের রাজা—আমার বন্ধু সাদির সহিত যদি তাহার বিবাহ দেন, তাহা হইলে আমি পরম অনুগৃহীত হইব।” রাজা সে কথায় সম্মত হইলেন। অতি সমারোহে ভানুমতীর সহিত সাদির বিবাহ হইল। তারার রূপে রুস্তম মোহিত হইয়াছিলেন। ভানুমতী অপেক্ষা তারাকে তিনি অধিক ভালবাসিতেন। সেইজন্য তিনি ভানুমতীকে বিবাহ করিতে ইচ্ছা করেন নাই। কিছুদিন পরে তারার সহিত রুস্তমের বিবাহ হইল। ইরাণের অৰ্দ্ধেক ও নিশাপুরের কিয়দংশ লইয়া সমরখণ্ড নামক নূতন একটি রাজ্য সংস্থাপিত হইল। রুস্তম তাহার রাজা হইলেন। বৃদ্ধা মাতা ও তারাকে লইয়া রুস্তম, আর ভানুমতীকে লইয়া সাদি সুখে-স্বচ্ছন্দে কালাতিপাত করিতে লাগিলেন। sNAls viði (SS BS! ro www.amarboicom ro