পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিনামোটাে কুলপতি রাইকো পাত্ৰমিত্ৰ-সেনাপতিগণের দ্বারা পরিবেষ্টিত হইয়া, একদিন সম্রাট সভায় বসিয়া আছেন। এমন সময় দূত আসিয়া সংবাদ দিল যে, পূৰ্ব্বদিন দুৰ্ব্বত্ত নিশাচরগণ প্রায় একশত গ্রাম অগ্নি দ্বারা দগ্ধ করিয়া, তাহদের অধিবাসিগণকে বন্দী করিয়া ৱাক্ষস-দুর্গে লইয়া গিয়াছে। এই নিদারুণ সংবাদ শ্রবণ করিয়া রাজা কাঁদিতে লাগিলেন; খেদ করিয়া আপনাকে ভৎসনা করিতে লাগিলেন ও কাতর বচনে মনের বেদনা ব্যক্ত করিতে লাগিলেন। গণ্ডদেশে বামহস্ত রাখিয়া চক্ষের জল ফেলিতে ফেলিতে রাজা বলিতে লাগিলেন,- “ধিক আমাকে! পুত্ৰসম প্ৰজাপুঞ্জকে রক্ষা করিবার সামৰ্থ্য আমার নাই। হায় হায়! এই বিপুল জাপান সাম্রাজ্যের ভিতর এমন কি কোন বীর নাই যে, রাক্ষসকে বধ করিয়া স্বদেশ ও স্বজাতিকে রক্ষা করে।” রাজার খেদোক্তি সভাসদগণ সকলেই শ্রবণ করিল। বড় বড় বীরগণ,-বড় বড় সেনাপতিগণ, সকলেই মস্তক অবনত করিয়া নীরব হইল। মায়াবিদ্যাবিশারদ রাক্ষসের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্ৰা করিতে কাহারও সাহসী হইল না। মিনামোটাে নামক ক্ষত্রিয়কুলের কুলপতি যোরিমিৎসু নামক যুবক আজ সভায় উপস্থিত ছিলেন। সম্রাটু-পদে প্ৰণিপাত করিবার নিমিত্ত কোন দূর-প্রদেশ হইতে তিনি আগমন করিয়াছিলেন। ইহার প্রকৃত নাম যোরিমিৎসু ছিল বটে; কিন্তু কালক্রমে ইনি রাইকো অর্থাৎ মহাবীর নামে সাধারণের নিকট পরিচিত হইয়াছিলেন। সুতরাং এখন হইতে এই বিবরণে রাইকো নামেই ইন্ত্রিতম হইবেন। রাইকো এখন যুবক ছিলেন; তাহার বয়ঃক্রম সপ্তদশ কি অষ্ট ধুমুহূর্ত হয় নাই। দেখিতে তিনি অতি সুপুরুষ কেশ ঘোর কৃষ্ণবর্ণের ছিল। জনক রেঞ্জাঁর গৃহে ধনুৰ্ভঙ্গের পূৰ্ব্বে শ্ৰীরামচন্দ্রের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের যেরূপ কোমলতা সকলে নিরীক্ষণ কঁরিয়াছিল, রাইকোর শরীরেও সেইরূপ কোমলতা ছিল। পুষ্পদলাচ্ছাদিত বজের যেরূপ কোমলতা, রাইকোর দেহে সেইরূপ কোমলতা ছিল। সম্রাজের খেদোক্তি শুনিয়া, রাইকো দণ্ডায়মান হইয়া, যোড়হস্তে নিবেদন করিতে লাগিলেন, — “মহারাজ ! আমাকে অনুমতি প্ৰদান করুন। রক্ষঃকুলের সহিত সংগ্ৰাম করিয়া, আমি তাহাদিগকে নিহত করিব।” উত্তর করিলেন,— “পুত্র! তুমি ধন্য! এরূপ দুঃসাধ্য কাৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইতে তুমি যে সাহস করিতেছ, সেজন্য তোমাকে ধন্যবাদ করি। কিন্তু তুমি বালক। যে কাৰ্যে মহামহাবীরগণ প্ৰবৃত্ত হইতে সাহস করিতেছে না, সে কাৰ্য্যে তোমাকে আমি পাঠাইতে পারি না।” অতি বিনীতভাবে রাইকো পুনরায় নিবেদন করিলেন,- “মহারাজ। মিনামোটাে কুলোদ্ভূত ক্ষত্ৰিয়গণ স্বদেশের হিতসাধনে জীবনবিসৰ্জ্জনে কখন পরাজমুখ হয় না। রাক্ষসের সহিত সংগ্রামে। যদি বিজয়ী হইতে পারি, তাহা হইলে স্বদেশকে বিষম বিপদ হইতে উদ্ধার করিতে পারিব; আর যদি রণস্থলে একান্তই আমি পতিত হই, তাহা হইলে মানবের প্রার্থনীয় স্বৰ্গ আমার তৎক্ষণাৎ লাভ হইবে।” ଅyଔପ୍ୟ ମୁଖ లి sNAls viði (SS BS! ro www.amarboicom ro