পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। আয় না ভাই বাড়ী আসিয়া তাড়াতাড়ি আমি বিলাসীর ঘরে যাইলাম। দিদিমণিকে সে-স্থানে দেখিতে পাইলাম না। বিলাসী বলিল,- “বোধ হয় অলক ঠাকুরুণের ঘরে আছে।” রুদ্ধশ্বাসে সে ঘরে আমি দৌড়িয়া যাইলাম। অলক ঠাকুরুণ ও সহচরী দুইজনেই তখন সে ঘরে ছিল। দিদিমণিকে দেখিতে না পাইয়া সহচরীকে আমি জিজ্ঞাসা করিলাম। সহচরী উত্তর করিলেন, — “কৈ! সীতা ত’ এ-ঘরে আসে নাই!” এই কথা শুনিয়া প্ৰাণ আমার উড়িয়া গেল। পুনরায় আমি বিলাসীর ঘরে যাইলাম। কাঁদিতে কাঁদিতে আমি বিলাসীকে তিরস্কার করিতে লাগিলাম। বিলাসী কাঁদিতে লাগিল। সে বলিল,- “এইমাত্র আমার ঘরের বারাণ্ডায় সে খেলা করিতেছিল। ঘরের ভিতর আমি কাজ করিতেছিলাম। বোধ হয়, অন্য কোন ঘরে সে খেলা করিতেছে।” এমন সময় পিতেম আসিয়া উপস্থিত হইল। আমার কান্না ও বিলাসীকে ভৎসনার শব্দ শুনিয়া সহচরীও সেই স্থানে উপস্থিত হইলেন। প্ৰদীপ হাতে লইয়া সকলে মিলিয়া আমরা বাড়ী আতিপাতি করিয়া খুঁজতে লাগিলাম। ভিতরবাড়ী খুঁজিম্মুণ্ডমাঝের বাড়ী, তাহার পর সদরবাড়ীর সকল ঘর তন্ন তন্ন করিয়া খুঁজলাম; কিন্তু কোন স্থার্জেদিদিমণিকে দেখিতে পাইলাম না। মাথা খুঁড়িয়া বুক চাপড়াইয়া আমি উচ্চৈঃস্বরে কঁ । আমি ভাবিলাম যে, হয় গহনার জন্য দিদিমণিকে কেহ মারিয়া ফেলিয়াছে, কিংবা পুষ্করিণীতে পড়িয়া সে ডুবিয়া গিয়াছে। সমস্ত বাড়ী ওলট-পালট করিয়া বাগান ও পুকুরের ধারগুলি মনোযোগের সহিত দেখিলাম। কিন্তু কোন স্থানে দেখিতে পাইলাম না। শেষে পিতেম আমাকে বলিল,- “তোমাকে দেখিতে না পাইয়া তাহার মন কেমন করিয়াছিল, তোমাক খুঁজিবার নিমিত্ত নিশ্চয় সে পূজা-বাড়ীর দিকে গিয়াছে। আমি এখনই তাঁহাকে আনিতেছি।” এই কথা বলিয়া পিন্তেম গ্রামের দিকে চলিয়া গেল । কিন্তু তা বলিয়া আমরা নিশ্চিন্ত থাকিতে পারিলাম না। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি যে, আমাদের বাড়ী ও বাগানের উত্তরদিকে দূর পর্যন্ত মাঠ ছিল। দিদিমণিকে খুঁজিবার নিমিত্ত বিলাসী ও আমি সেই মাঠের দিকে যাইলাম। মেঘ করিয়াছিল, খুব অন্ধকার হইয়াছিল। তাহার উপর এখন আবার বৃষ্টি পড়িতে আরম্ভ হইল। কিছুক্ষণ পরে সম্মুখে আমরা একপ্রকার সাদা কি দেখিতে পাইলাম। বিলাসীর বড় ভয় হইল। সে বলিল,— “দিদি, ঐ দেখ এক শাকচুণী আসিতেছে। এখনি আমাদের খাইয়া ফেলিবে। আর গিয়া কাজ নাই। এস, বাড়ী ফিরিয়া যাই। এতক্ষণে দিদিমণি বাড়ী আসিয়া থাকিবে।” কোন উত্তর না দিয়া বিলাসীর আমি হাত ধরিলাম, আর সেই সাদা জিনিসের দিকে তাহাকে টানিয়া লইয়া যাইতে লাগিলাম। সেও অন্যদিক হইতে আমাদের দিকে আসিতে লাগিল। অল্পবৃক্ষণ পরে তাহার সহিত আমাদের সাক্ষাৎ হইল। বিলাসী তাহাকে চিনতে পারিল । সে আমাদের প্রতিবাসী একজন কৃষক! কাপড় ঢাকা তাহার বুকের উপর কি ছিল। আমরা কোন কথা তাহাকে জিজ্ঞাসা করিতে না করিতে সে বলিল,- “তোমাদের মেয়েটি মাঠের মাঝখানে A figlig airž3. g3 ze! A www.amarboi.comf:37*"*"**********