পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেখিতে না পায়, তখন ঘোরতর কুপিত হইয়া সে আমার ঘরের দ্রব্যাদি ভাঙ্গিতে থাকে, পরিপূর্ণ করিয়া দেয়। সেজন্য যেখানে যাই না কেন, শিশিগুলি আমাকে সঙ্গে রাখিতে হয়। আর কোন উপায় নাই। এ যন্ত্রণা আর সহ্য হয় না। এখন মৃত্যু হইলেই আমি যেন বীচি।” রাধামাধব মাতুলের কথাগুলি শুনিলেন। মাতুলকে নানারূপ আশ্বাস প্ৰদান করা ব্যতীত তখন তিনি আর কিছু বলিলেন না। তাহার পর রাত্রিকালে শয়ন করিয়া তিনি ভাবিতে লাগিলেন, — “আমি যদি মামাকে এ দায় হইতে উদ্ধার করিতে পারি, তাহা হইলে, তাহার প্ৰাণদান করা হইবে। কন্যার বিবাহের জন্য তখন আর আমাকে ভাবিতে হইবে না। কিন্তু এ রোগের ঔষধ কি?” ভূত-প্ৰেত সম্বন্ধে রাধামাধব যে সমুদয় পুস্তক পাঠ করিয়াছিলেন, সে সমুদয় পুস্তকের বিষয়সকল তিনি চিন্তা করিতে লাগিলেন। তাঁহার স্মরণ হইল যে,- “একস্থানে আমি পাঠ করিয়াছি যে, মৃত্যুকালে লোকের মনে যদি কোনরূপ একটা একান্ত বাসনা থাকে, তাহা হইলে সে লোকের আত্মার মুক্তি হয় না। সেই বাসনা পরিতৃপ্ত করিবার নিমিত্ত অনেক দিন পৰ্যন্ত সে পৃথিবীতে ঘুরিয়া বেড়ায়। শ্ৰাদ্ধ, গয়াতে পিণ্ডদান অথবা দুঃখী দিগকে দান, এরূপ লোকের নামে করিলে সেই আবদ্ধ আত্মার উপকার হয়। কিন্তু এ সমুদয় কাজ মাতুল করিয়াছেন। তাঁহাতে কোন ফল হয় নাই।” রাধামাধবের পুনরায় স্মরণ হইল,- “আর একখানি পাঠ করিয়াছি যে, ভূতাদিগের দৃষ্টিপূক্ত প্রখর নহে, তাহাদের বুদ্ধিও তীক্ষ্ম নহে? অনায়াসে প্রতারণা করিতে পারা যায় ।” S్సర్ রাধামাধব স্থির করিলেন,- “এই ভূ ঠিকাইতে চেষ্টা করিব। পরদিন রাধামাধব মাতুলকে “এ ঘোর বিপদ হইতে আপনাকে উদ্ধার করিবার নিমিত্ত আমি একটা উপায় ভাবিয় অনুমতি করেন, তাহা হইলে কিছুদিন এই স্থানে থাকিয়া চেষ্টা করিয়া দেখি ।” মাতুল সে প্রস্তাবে সম্মত হইলেন। যাহারা কলিকাতার হাসপাতালে কাজ করেন, সেইরূপ ডাক্তারের সহিত রাধামাধব একসঙ্গে পড়িয়াছিলেন। তাহদের নিকট হইতে তিনি একটি মাড়ার হাত চাহিয়া লইলেন। হাতটি শিশিতে করিয়া মাতুলের অন্যান্য শিশির সহিত রাখিয়া দিলেন। কি হয়, তাহা দেখিবার নিমিত্ত সে রাত্রি পুনরায় সেই কোচের উপর তিনি শয়ন করিলেন। রাত্রি দুই প্রহর অতীত হইয়া গেল। কিছুক্ষণ পরে মাতুলের ঘরে তিনি ভূতের শব্দ পাইলেন। তাহার পর, চীনে ভূত যথারীতি সেই শিশির ঘরে আসিয়া উপস্থিত হইল। যথারীতি একে একে সমুদয় শিশিগুলি সে নিরীক্ষণ করিয়া দেখিতে লাগিল। যে শিশির ভিতর রাধামাধব সেই হাতটি রাখিয়াছিলেন, ভূত আসিয়া তাহার সম্মুখে দাঁড়াইল। শিশির ভিতর হাত দেখিয়া আনন্দে তাহার মুখ প্ৰফুল্প হইল। শিশিটি সে বামহাতে তুলিয়া মনোযোগপূৰ্ব্বক দেখিতে লাগিল। কিছুক্ষণ দেখিয়া রাগে তাহার মুখ রক্তবর্ণ হইল। রাগে সে শিশি দূরে ভূমির উপর নিক্ষেপ করিল। শিশিটি ভাঙ্গিয়া গেল। ভূত অদৃশ্য হইল। রাধামাধবের চেষ্টা বিফল হইল। ভূত প্রতারিত হইল না। কেন এরূপ হইল, রাধামাধব তাহা ভাবিতে লাগিলেন। ভাবিয়া-চিন্তিয়া অবশেষে তিনি স্থির করিলেন যে, বাঙ্গালী অথবা হিন্দুস্থানীর হস্ত দ্বারা ভূতকে ভুলাইতে পারা যাইবে না। আসল চীনেম্যানের হাত চাই। কিন্তু Goo fi:Ilă zi, o ga se - www.amarboi conf**