পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চীনে ভূত— থালা ও অনেকগুলি যাটি হইতে কি সব আহার করিতেছে। মাতুলানী তখন হাসিয়া বলিলেন, — “আজ পৌষ মাসের সংক্রান্তি আজ আমি নানারূপ পিষ্টক প্রস্তুত করিয়াছিলাম। তাই মনে করিলাম যে,- “আহা! এই চীনে ভূতটি প্রতিদিন আমাদের বাটীতে আসে; তাহাকে কিছু দিব না! তাই থালা ও বাটিতে নানারূপ পিঠে ও পরমান্ন তাহার জন্য সাজাইয়া রাখিয়াছিলাম। মনের আনন্দে বসিয়া বসিয়া সে তাই খাইতেছে।” পিষ্টকাদি আহার করিয়া চীনে ভূত পরম পরিতোষ লাভ করিল। তাহার পর সে চলিয়া গেল । সেইদিন হইতে মাতুলের বাটীতে আর সে চীনে ভূতের উপদ্রব হয় নাই। মাতুল ও মাতুলানীর শরীর ও মন সুস্থ হইল। সেইদিন হইতে পরম সুখে তাহারা দিনযাপন করিতে লাগিলেন। মাতুল এখন মাথায় চুল রাখিয়াছেন। ব্লাৰ্ধক্স “তোমার বুদ্ধিবলে আমরা এই নিদারুণ যন্ত্রণা হইতে নিকৃতিষ্ঠাভ করিয়াছি। তুমি আমাদের প্রাণরক্ষা করিয়াছ। আর তােমার ডাক্তারি করিতে হইবুেন্তীর্ণ সপরিবারে তুমি আমার বাটীতে আসিয়া বাস করা। আমি যথেষ্ট অর্থসঞ্চয় করি ছুক্কুৰ র জন্য তোমাকে আর ভাবিতে হইবে না।” রাধামাধব এখন মাতুলের গৃহেঙুল্লার্স করিতেছেন। মাতুল ও তিনি বিজ্ঞানশাস্ত্র আলোচনাজনিত স্বৰ্গসুখ উপভোগ কঁরিয়া, পরমসুখে দিনযাপন করিতেছেন। যাহাতে স্বজাতি ও স্বদেশের হিত সাধিত হয়, সেইরূপ নানাপ্রকার পরীক্ষায় দুইজনে ব্যস্ত আছেন। সেদিন অতি ধুমধামের সহিত রাধামাধব সুপাত্র-হস্তে জ্যেষ্ঠা কন্যাকে সম্প্রদান করিয়াছেন। তাহার পর এই পোষড়া পাৰ্ব্বণের সময় নানারূপ পিষ্টক প্রস্তুত করিয়া বন্ধুবান্ধবকে ভোজন করাইবেন, সেজন্য মাতুল, মাতুলানী ও তিনি আয়োজন করিতেছেন। এই পোষড়ার সময় রাধামাধবের মাতুল যেরূপ ঘোর বিপদ হইতে মুক্ত হইয়াছিলেন, আর পুনরায় এই পোষড়ার সময় যেমন তাহারা মনের আনন্দে পিষ্টক প্ৰস্তুত করিতেছেন, সেইরূপ শত্ৰু-মিত্ৰ সকলেই বিপদ হইতে উদ্ধার হউক, সকলেই সেইরূপ আনন্দমনে বন্ধুবান্ধবকে পিষ্টক পরমান্ন প্রভৃতি সুখাদ্য প্রদান করিয়া পরিতোষ করুন, ইহাই প্রার্থনা। আর তাহদের এই পিষ্টকাব্যাপারে গল্প-লেখককে তাহারা বঞ্চিত না করেন, ইহাও একান্ত প্রার্থনা। sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro