পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৫৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিদ্যাধরীর অরুচি প্ৰথম অধ্যায় গোলাপীর হিংসা গোলাপী ঝি বলিল,- “দেখ বিদ্যাধরী! বাবুর মুখে তুমি আর চুণকালি দিও না। আমাদের বাবু একজন বড় উকীল। নীলাম্বর ঘোষের নাম কে না জানে? তাঁর বাড়ীর ঝি হইয়া তুমি মুদ্দীর দোকানে একটু গুড়, উড়ের দোকানো একটি ফুলুরী, ময়রার দোকানে একটু চিনির রস, রায়বামনীর কাছে একটু মোচার ঘণ্ট, যার-তার কাছে যা-তা জিনিস মাগিয়া বেড়াইলে বাবুর অপমান হয়। বাবুর কথা দূরে থােক, আমাদের পর্য্যন্ত ঘাড় হেঁট হয়। তোমার মাগার জ্বালায় লোকের কাছে আমরা মুখ তুলিয়া কথা কহিতে পারি না।” বিদ্যাধরী ফোস করিয়া বলিল,— “তোমরা সকল আমার ছিল ধর । মা আমাকে একটু ভালবাসেন, তাই সকলে তোমরা ফাটিয়া মর র অরুচি, মুখে কিছু ভাল লাগে না। চড়াই পাখীর আহার। না খাইয়া যেন দড়ি ৷৷ গতির না থাকিলে পরের বাড়ী কাজ করিব কি করিয়া? তাই তেঁতুল দিয়া গুড় দিয়া, যা দিয়া পারি একমুঠ ভাত খাইতে চেষ্টা করি। আমি গরীব মানুষ। পাইব যে, সন্দেশ, রসগোল্লা কিনিব? মুদী আমাকে ভালবাসে, তাই সেদিন সেয়ে একটু গুড় দিয়াছিল। ময়রা আমাকে ভালবাসে, তাই সেদিন আমাকে শালপাতের ঠোঙা করিয়া রসগোল্লার খানিক রস দিয়াছিল। তাতে তোমরা হিংসায় ফাটিয়া মর কেন বল দেখি?” পিতেম বলিল,— “তোমার অরুচি। পাথরটি টাইটুম্বর করিয়া বামুনঠাকুর তোমাকে ভাত দেয়, তারপর দুইবার-তিনবার তুমি ভাত চাহিয়া লও। এই ত’ তোমার অরুচি; এর উপর যদি রুচি থাকিত, তাহা হইলে ঘোড়ােশালের ঘোড়া, হাতীশালের হাতী খাইতে। অনেক বাবুর বাড়ী চাকুরী করিয়াছি, অনেক ঝি দেখিয়াছি, কিন্তু তোমার মতো মাগন্তড়ে বেহায়া ঝি কখনও দেখি নাই। বামুনঠাকুর! তুমি বল দেখি, এ মাগী তিনজনের খোরাক একেলা খায় কি না।” ছিদেম বলিল,- “দেখ বিদ্যাধরি! লোকের কাছে গিয়া যা-তা মাগা ভাল নয়, তাতে মনিবের অপমান হয়। আমি রসুই করি, নিজে আমি তোমাকে ভাত দিই। সকলের চেয়ে তোমাকে আমি বেশি তরকারী দিই। তোমার বাছা, আবার অরুচি কোথায়?” গোলাপী বলিল,- “নোলা যদি সামলাইতে না পার, সন্দেশ-রসগোল্লা যদি খাইতে সাধ হয়, তাহা হইলে পয়সা দিয়া কিনিয়া খাও না কেন? তুমি গরীব, তোমার পয়সা নাই? তোমার গলায় আমন মোটা সোনার দানা, হাতে আমন মোটা তাজা! আর কতবার তুমি আমাকে বলিয়াছ যে, তোমার খোলার ঘরে তত্তোপোষের খুরোর নীচে তুমি ছয়শ টাকা হাঁড়ি করিয়া ○ WSig Fig sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro