পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুতিয়া রাখিয়াছ। সৰ্ব্বশুদ্ধ তোমার সেই যায় নাম-হাজার টাকা আছে। বিধবা হইয়া পৰ্যন্ত আমি চাকরাণীগিরি করিতেছি। আমার হাজারটা কড়াকড়ি নাই। এই পিতেম। ছেলেবেলা হইতে খানসামগিরি করিতেছে। কত টাকা সে করিয়াছে? ছিদেম বামুনঠাকুর দেশে জমি বঁধা দিয়া বে করিয়াছে। এখনও সে, সে দেনা শোধ করিতে পারে নাই। তবে তার মেয়েটি বড় হইয়া উঠিয়াছে, সেই মেয়েটিকে বেচিয়া যদি সে কিছু সমস্থান করিতে পারে।” বিদ্যাধরী বলিল,- “আমার পৃথিবীতে কে আছে? একদিন একমুঠ ভাত দেয়, এমন আর কেহ নাই। কাজেই মাহিনীটি যাহা পাই, সেটি আমাকে রাখিতে হয়; ধারধোর দিয়া সেটিকে আমাকে বাড়াইতে হয়। তোমার ভাবনা কি বাছা! তোমার ভাই আছে, ভাইপো আছে। অসময়ে তারা তোমার খোঁজখবর লইবে।” ছিদেম বলিল,— “সকলের কাছে তুমি বল যে, তুমি না খাইয়া খাইয়া রোগা হইয়া যাইতেছ। কিন্তু রোজ রোজ তুমি মোটা হইতেছ। তোমার গায়ে মাছি বসিলে, মাছি পিছলাইয়া পড়ে।” বিদ্যাধরী বলিল,— “তুমি আমায় খুঁড়িলে। তোমার মা’গ মরুক, তোমার মেয়ে মরুক। মেয়ে বেচিয়া টাকা করিবার অহঙ্কার তোমার ঘুচুক।” ছিদেম ব্ৰাহ্মণ বলিল,- “দেখলে পিতেম! দেখলে গোলাপী! আমি এমন কি বলিয়াছি যে, মাগী আমাকে এমন শক্ত গালি দিল। গিনী-মায়ের মাগিশো বি, ভাই জন্য এত অহঙ্কার! গিনীমা বলেন যে, আমার মাথা ঘোরে, আমার বুক ধড় ধড় করে, আমার তিনশ ষাটখানা ব্যায়রাম। বিদ্যাধরী সেই কথায় বাতাস দেয়। —ম ইহাকে এত ভালবাসেন। কিন্তু সকল কথা যদি বলিয়া দিই, তাহা হইলে দুই খানে থাকিতে পারে না। হা রে মাগী ! সেদিন গিনী-মায়ের জন্য চা করিবার সময় চিনি কে মুখে দিয়াছিল? কড়ার একপাশে সরের উপর একটু ছেদ করিয়া দুধ জন্য সকলে আমরা এক একটি নল করিয়াছি। সেই নল দিয়া সকলে আমরা এক-দুঃটোক দুধ খাই-ই। কিন্তু সেদিন সমুদয় কড়া হইতে দুধের সরটুকু কে তুলিয়া খাইয়াছিল? সেদিন মাছ কুটিতে কুটিতে কে কইমাছের পেট থেকে গোলাপী বলিল,- “পূৰ্ব্বে চাইল, ডাল, তেল যাহা কিছু আমরা বঁাচাইতাম, সকলে ভাগ করিয়া লইতাম। এখন তুমি সেগুলি সব নিজে লও। এ কি ভাল? আমরা কি চাকরী করিতে আসি নাই? সেদিন মোচার ঘন্টের জন্য উপর হইতে ভিজে ছোলা আর নারিকেল-কোেরা আসিয়াছিল। তাহার অৰ্দ্ধেকগুলি তুমি নিজে খাইলে। তারপর, একদিন সকালবেলা গিনীর জন্য টাটকা গরম গরম জিলাপি আসিয়াছিল। তাহার পাশ হইতে পাপড়ি ভাঙ্গিয়া তুমি এতগুলি জমা করিলে। সবগুলি তুমি নিজে খাইলে। কোনু বলিলে যে, গোলাপী! তুইও দুইএকটা পাপড়ি খা। কেন বাছা, আমাদের কি মুখ নাই? না-ভাল-মন্দ জিনিষ খাইতে আমাদের সাধ হয় না?” নীলাম্বর ঘোষের রান্নাঘরে চারিজনে এইরূপ তুমুল বাকযুদ্ধ বাধিয়া গেল। একদিকে ছিদেম ব্ৰাহ্মণ, পিতেম। চাকর ও গোলাপী ঝি। একদিকে তিনজন, অন্যদিকে বিদ্যাধরী ঝি একা! সপ্তরথিবেষ্টিত অভিমনু্য কতক্ষণ বিপক্ষের সহিত সংগ্ৰাম করিতে পারে? বিদ্যাধরীকে শীঘ্রই পরাভব মানিয়া, সে স্থান হইতে প্ৰস্থান করিতে হইল। Ghእs8 fi:Ilă zi, o ga se - www.amarboi conf**