পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলিল,- “উপরে গিনীর ঘরে গিয়া টপ করিয়া বিদ্যাধরীর মুখে এই থলিটি পরাইয়া দিবে। তাহার পর দুই হাতে পাঁজা করিয়া তাহাকে ধরিবে। কিন্তু সাবধান! মুখ হইতে থালি যেন সে খুলিতে না পারে। তাহার পর জোর করিয়া তাহাকে নীচে নামাইয়া আনিবে। তাহাকে যদি আমাদের কাছে আনিতে পার, তখন আমরা তাহাকে বুঝাইয়া ঠাণ্ডা করিব।” থলিটি হাতে লইয়া আর কোন কথা না বলিয়া পুরুষোত্তম তড়িতড় করিয়া সিঁড়ি দিয়া উপরে উঠিল। তাহার পর দ্রুতবেগে গিনীর ঘরে গিয়া প্ৰবেশ করিল। তখন অন্ধকার হইয়াছে, তখনও সে আলো জ্বালা হয় নাই। গিনীর খাটের উপর যে শুইয়াছিল, পুরুষোত্তম নিকটে গিয়া সহসা তাহার মুখে থলিটি পরাইয়া দিল। মস্তকে, বক্ষঃস্থলে, পৃষ্ঠদেশে, দুই হাতে, কোমর পর্য্যন্ত তাড়াতাড়ি থলিটি টানিয়া দিল। তাহার পর তাহাকে পাজা করিয়া ধরিয়া হিচড়াইতে হিচড়াইতে ঘরের ভিতর হইতে বাহির করিল। সে চীৎকার করিতে চেষ্টা করিল। কিন্তু থলির ভিতর হইতে কোন শব্দ বাহির হইল না, থলির ভিতর হইতে ঘড়ঘড় আর গো-গো শব্দ হইতে লাগিল। তাহার হাত দুইটি আবদ্ধ ছিল। যথাসাধ্য পা দিয়া সে পুরুষোত্তমকে লাথি মারিতে লাগিল, আর ছটফট করিয়া যথাসাধ্য আপনাকে ছাড়াইতে চেষ্টা করিতে লাগিল। কিন্তু উড়ে বামুন নাছোড়বান্দা। কতক টানিয়া কতক হিচড়াইয়া পুরুষোত্তম তাহাকে সিঁড়ির নিকট পৰ্যন্ত আনিল। এমন সময় সে থলির ভিতর হইতে আপনার দুই হাতের কতকটা বাহির করিয়া ফেলিল । সেই দুই হাতে পুরুষোত্তমকে প্ৰাণপণে খি র থলি ভেদ করিয়া ভিতর হইতে পুরুষোত্তমকে কামড়াইতে লাগিল, আর দুই লাথি মারিতে লাগিল। সিঁড়ির উপরে যেন গজকচ্ছপের যুদ্ধ বাধিয়া গেল। পুরুষাত্তম বড়ই বিব্রত ষ্টসিঁড়িতে নামাইতে পারিল না। দুই পা আগে যায়, আর এক পা পশ্চাতে গিয়া ফ্রাষ্ট্র। সিঁড়ির ঠিক উপরে তাহাকে লইয়া পুরুষোত্তম এইরূপ টানাটানি করিতেছে, এমন সময় সিঁড়ির একটু নিম্নে বাড়ীর কৰ্ত্তবাবু আসিয়া উপস্থিত হইলেন। একে উড়ে ব্ৰাহ্মণের সেই অদ্ভুত মূৰ্ত্তি। সেই মূৰ্ত্তি গুণমোড়া আর একটা মূৰ্ত্তিকে লইয়া টানাহেঁচড়া করিতেছে। এই অদ্ভুত ব্যাপার দেখিয়া বাবু ভাবিলেন, এ ভূত, না প্ৰেত, না পাগল, এ কি? ঘোরতর বিস্মিত হইয়া বলিলেন,- “ এ কি! এ কি?” চমকিত হইয়া পুরুষোত্তম বাবুর দিকে চাহিয়া দেখিল, সে দেখিল যে, দুইটা পৈঠার নীচে সিঁড়িতে স্বয়ং বাবু দাঁড়াইয়া আছেন, আর তাহার ঠিক পশ্চাতে আলো হাতে করিয়া স্বয়ং বিদ্যাধরী ঝি দাড়াইয়া আছে। বাবুর পশ্চাতে সিঁড়ির উপর বিদ্যাধরীকে দেখিয়া পুরুষোত্তমের প্রাণ উড়িয়া গেল । তৎক্ষণাৎ সে চটমোড়া সেই স্ত্রীলোককে সেই স্থানে ফেলিয়া দ্রুতবেগে বাবুর পাশ দিয়া সিঁড়ি হইতে নামিল। নীচে নামিয়া তৎক্ষণাৎ সে বাটী হইতে পলায়ন করিল। আপনার মাহিনা কি কাপড়-চোপড় লইতে। আর সে ফিরিয়া আসিল না। সে পৰ্যন্ত পুরুষোত্তম ব্ৰাহ্মণের আর কোন সন্ধান কেহ পায় নাই। পুরুষোত্তম যখন চলিয়া গেল, তখন বিদ্যাধরী। ঝি, গোলাপী ঝি ও পিতেম চাকর সকলেই হাবা সাজিল। তাহারা বলিল,— “ব্ৰাহ্মণ কেন এরূপ কাজ করিয়াছ, তাহার বিন্দুবিসর্গ কিছুই আমরা জানি না।” সেজন্য এ ব্যাপার কেন সুজার গল্প sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro Voy