পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জলার ভিতর আছি ভাই নাইকো আমার গতি । যতদিন না বঁধুর সঙ্গে মিলবে পুন সতী৷ যাও বঁধু সেই ক'নের কাছে গলায় ছবি যার। উলু উলু উলু উলু উলু পাঁচবার৷ উলু দিতে দিতে ভূতনী চাকার উপর হইতে লাফাইয়া পড়িল ও অন্ধকারের ভিতর অদৃশ্য হইয়া গেল। হৃষীকেশের চাকা আপনার বেগে বেগে কিছুদূর অগ্রসর হইয়া একপাশ হইয়া পড়িয়া গেল। সেই সঙ্গে চীৎকার করিয়া হৃষীকেশ অজ্ঞান হইয়া ভূমিতে পতিত হইলেন। নিকটে কয়েকঘর মুসলমানের বাস ছিল। হৃষীকেশের চীৎকার শুনিয়া তাহাদের চারিপাঁচজন লোক বাহিরে আসিল। মূচ্ছিত হৃষীকেশকে দেখিয়া তাহারা চিনিতে পারিল। মুখহাতে জল দিয়া বাতাস করিয়া তাহারা তাঁহাকে চেতন করিল। তাহার জ্ঞান হইল বটে, কিন্তু তিনি কোন কথা বলিতে পারিলেন না। কি হইয়াছিল, কেন তিনি চীৎকার করিয়াছিলেন, কেন তিনি পড়িয়া গিয়াছিলেন, সেসব প্রশ্নের উত্তরে তিনি কেবল বিজ-বিজ করিয়া বকিতে লাগিলেন। একজন মুসলমান বলিল,- “ঝিকি মিকি, ফিকি ফিকি কি বলিতেছেন, বুঝিতে পারা যায় না ।” সকলে বলিল,- “নিশ্চয় জলার পেতনী ইহাকে ধরিয়াছিল। চল, ইহাকে বাড়িতে রাখিয়া আসি ।” এই বলিয়া তাহারা হয়ীকেশকে বাড়ী লইয়া গেল। মাতা ছিলেন না । সংসারে ছিলেন কেবল পিতা, বড় ভ্রাতৃবধূ ও তাঁহার পুত্র। তাঁহার মাতার কিছুদিন পরে তাহার জ্যেষ্ঠ সহােদরও অল্পবয়সে পরলোক মূৰ করেন। যাহার মাতা নাই, সংসারে তাহার কেহ নাই । ஜூ হৃষীকেশের কেহ খোঁজখবর বড় । পিতা কেবল একবার জিজ্ঞাসা করিলেন, — “তোমার কি হইয়াছে?” క్లో হৃষীকেশ বিজ-বিজ করিয়া কি । তাহা শুনিয়া পিতা বলিলেন,- “ঝিকমিক ফিক ফিক আবার কি?” এই বলিয়া পিতা সে স্থান হইতে প্ৰস্থান করিলেন। রাত্রির শেষভাগে হৃষীকেশ শয্যা হইতে উঠিলেন। ছবিখানি বুকের উপর রাখিয়া যৎকিঞ্চিৎ অর্থ লইয়া তিনি গৃহ হইতে প্ৰস্থান করিলেন। পিতা লোক দ্বারা তাঁহার অনুসন্ধান করিলেন। কিন্তু হৃষীকেশের কোন সন্ধান হইল না। দ্বিতীয় অধ্যায়। হৃষীকেশের পিতা, – দর্পনারায়ণ রায় মহাশয় উগ্ৰস্বভাববিশিষ্ট লোক, সৰ্ব্বদাই তিনি রাগিয়া থাকেন। নিজে তিনি অনেক অর্থ উপাৰ্জন করিয়াছেন, সেই অহঙ্কারে তাঁহার মেজাজ। সৰ্ব্বদাই KoV. দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.comৰ্ম্মিািক্যনাথ রচনাসংগ্ৰহ