পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিনয়ের মাতা ভাবিলেন যে,- “আমার পিতার অবস্থা ভাল নহে। এস্থলে বিনয় থাকিলে, তাহার লেখাপড়া হইবে না। পিতামহের নিকট থাকিলে, বিনয়ের প্রতি তাঁহার স্নেহ হইবে। তাহা হইলে হাড়দিগকে তিনি সমুদয় বিষয় দিয়া যাইবেন না, বিনয়কে হয়তো কিছু দিবেন।” এইরূপ ভাবিয়া পুত্রের হিতার্থে তিনি বিনয়কে পিতামহের নিকট পাঠাইয়া দিলেন। বিনয়কে পাইয়া রায় মহাশয়ের মন অনেকটা শান্তিলাভ করিল। বিনয়ের সহিত গল্প করিয়া, বিনয়কে অঙ্ক প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষা প্ৰদান করিয়া তিনি যেরূপ আনন্দ পাইলেন, এরূপ আনন্দ জীবনে তিনি কখন উপভোগ করেন নাই। হােড়বংশের হৃদয় হিংসায় ফাটিয়া যাইতে লাগিল । বিনয়কে বাড়ীতে আনিবার অতি অল্প দিন পরে রায় মহাশয় ঘোরতর পীড়িত হইলেন। প্রথম অবস্থায় তাহার পীড়া কঠিন হয় নাই। কিন্তু বড় হড় ছােট হাড় প্রভৃতির কৃত্রিম আদরে তিনি অতিশয় বিরক্ত হইয়া উঠিলেন। তঁহাকে আশ্বাস প্ৰদান করিয়া হাড়গণ সৰ্ব্বদা, বলিত— “কোন ভয় নাই। সেবা করিয়া আমরা তোমাকে ভাল করিব।” রায়মহাশয় এই সকল আশ্বাসবােক্য একবার, দুইবার, তিনবার চুপ করিয়া শুনিলেন। তাহার পর তিনি বলিয়া উঠিলেন। তিনি বলিলেন,- “ভয় নাই! ভয় কে করিয়াছে? মৃত্যুভয়ে কবে তোমাদিগের নিকট আমি কাদিয়াছি?” হাড় মহাশয় উত্তর করিলেন, — “না না, আমরা এমন কোন কথা বলি নাই। তবে কথা এই যে, পীড়া কঠিন নহে, শীঘই তুমি আরোগ্যলাভ করিবে।” সকলে যাহা বলে, রায় মহাশয় কখন তাহা করেন স্নায়। সকলে যেরূপ ইচ্ছা করে, তাহার ঠিক বিপরীত কাজ করা তাহার স্বভাব। হাড় মহাশয়ম্বষ্টনী বলিলেন যে, তুমি শীঘ্ৰ ভাল হইবে, তখন রায় মহাশয় মনে মনে প্ৰতিজ্ঞা করিলেন তেবে আমি শীঘ্ৰ ভাল হইব না। শীঘ্ৰ ভাল হইব! বটে। দেখি কে আমাকে শীর্ঘ ভাল পারে । এইরূপ করিয়া তিনি নানারূপ কুপথ্য করিতে লাগিলেন। দুই-চারিদিনের মধ্যে তাহার পীড়া কঠিন হইয়া উঠিল। তাহার জীবনের আশা ছাড়িয়া দিলেন। অজ্ঞান অভিভূত হইয়া তিনি পড়িয়া । তিন দিন পরে সামান্যভাবে তাঁহার একটু চৈতন্য হইল। চক্ষু চাহিয়া কিছুক্ষণের নিমিত্ত তিনি এদিক-ওদিক ফ্যাল-ফ্যাল দৃষ্টিতে চাহিয়া রহিলেন। তাহার পর মৃদুস্বরে তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন,- “বিনয়! বিনয় কোথা?” হড়নী তখন তাহার নিকট বসিয়াছিলেন। তিনি উত্তর করিলেন,- “বিনয় বালক! পাছে গোলমাল করে, সেইজন্য তোমার নিকট তাহাকে আমরা আসিতে দিই না।” রায় মহাশয় পুনরায় মৃদুস্বরে বলিলেন,— “তুমি এ-ঘর হইতে এখন যাও; বিনয়কে अॉर्टादशा प्रो७ ।" অনেক বুঝাইলেন। “ভগবানের কৃপায় আজ যদি তুমি একটু ভাল আছ, তাহা হইলে আর অত্যাচার করা উচিত নহে। বিনয় আসিলে তাহার সহিত তুমি কথা কহিবে। এই দুৰ্ব্বল অবস্থায় কথা কহিলে পীড়া পুনরায় বৃদ্ধি হইবে।” রায় মহাশয় কিছুতেই শুনিলেন না। অগত্যা হাড় মহাশয় বিনয়কে তাঁহার নিকট পাঠাইয়া দিলেন। ঘরে প্রবেশ করিয়া বিনয় পিতামহের শয্যার নিকট বসিল । তাহার পর কাদা-কাদ মুখে সে বলিল,— “ঠাকুরদাদা! তোমার কাছে ইহারা আমাকে আসিতে দেয় না। একবার ysig 7 Vod sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro