পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি বলিলাম,- “তা কি হয়! তাহা হইলে লোক সব ভয় পাইবে, কাজকৰ্ম্ম সব বন্ধ হইয়া যাইবে।” ভূত বলিল,— “তবে এক কৰ্ম্ম কর। তোমার ঘাড়ে যে মুণ্ডটি রহিয়াছে, ঐটি আমাকে দাও, ও পুরাতন ভূত, কি করিয়া পুনরায় হাওয়া হইতে হয়, ও আমাকে বলিয়া দিবে।” আমি বলিলাম,- “আমার নিজের মুণ্ড ফিরিয়া না পাইলে এ মুণ্ড কি করিয়া দিব?” ভূত বলিল,- “কেন, কন্ধকাটা হইয়া থাকিবে। সাধু ভাষায় যাহাকে কবন্ধ বলে।” আমি বলিলাম,- “জীয়ন্ত শরীরে তাহা হয় না।” ভূত বলিল,- “তোমার মুণ্ড খিড়কীর বাগানে চালতে তলায় পোতা আছে। সাবল লইয়া আমার সঙ্গে চল; আমি দেখাইয়া দিব।” সাবল লইয়া আমি ভূতের সঙ্গে চলিলাম। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছিলাম যে, আমার শ্বশুরবাড়ীর চারিদিকে বাগান ছিল, আর সেই উচ্চ বাগান প্রাচীর দ্বারা বেষ্টিত ছিল। পূৰ্ব্বদিকে প্রাচীরের ধারে একটি চালাতেগাছ ছিল। সেই গাছের অনেকগুলি ডাল প্রাচীরের উপর পড়িয়াছিল। চালতে তলার এক স্থান ভূত আমাকে দেখাইয়া দিল। সাবল দিয়া সেই স্থান আমি খুঁড়িতে লাগিলাম। অল্প খুঁড়িতে সারা ঢাকা এক হাঁড়ি বাহির হইয়া পড়িল। সারা খুলিয়া দেখি যে, তাহার ভিতর আমার মুণ্ড!! আমার স্কন্ধ হইতে ভূত তখন সৰ্ব্বাঙ্গ সুন্দরীর মুণ্ড তুলিয়া লইয়া আবার আমার নিজের মুণ্ড সেই স্থানে বসাইয়া দিল। নিজের মুণ্ড যদি না পাইতাম, তাহা হইলে কি করিয়া যে গাজা খাইতাম, তাহাই ভাবি; সে হাঁ-করা দাঁত বাহির করা মুখ দিয়া গাঁজায় দম দিতে পারিতাম না।” কিনু বলিলেন,- “আশ্চৰ্য্য! তাহার পর।” ছকু বলিলেন,- “ভূত তখন হাওয়া হইয়া কিন্তু হাওয়া হইবার পূৰ্ব্বে সে আমাকে আর একটু খুঁড়িতে বলিয়া গেল। আর খুঁড়িয়া প্ৰায় একঝুড়ি মাটি আমি তুলিয়া ফেলিলাম। তাহার পর দেখি যে, নিম্নেরুইহঁত্রিকটি কাঠের বাক্স রহিয়াছে, আর সেই বাক্সের উপর। প্ৰকাণ্ড এক ব্যাঙ বসিয়া N গা হইতে একপ্রকার লালা নিৰ্গত হইতেছে। আর সেই লালা আগুনের মত লাফ দিয়া ব্যাঙ গৰ্ত্তের উপর গিয়া বসিল। আমি ভাবিলাম যে, ভূতের কল্যাণে আমি আমার নিজের মুণ্ড ফিরিয়া পাইলাম। ভূত আমাকে বােধ হয় যাকের ধন দিয়া গেল। যাকের টাকায় শুনিয়াছি সাপ থাকে, ভূত মহাশয় সাপ লইয়া গিয়াছেন। আহারের নিমিত্ত সাপ ব্যাঙটি যোগাড় করিয়াছিলেন। এইরূপ ভাবিতে ভাবিতে সাবলের চাড়া দিয়া বাক্সর ডালা আমি খুলিলাম। তখন আমার যে কি আনন্দ হইল, তাহা তোমাদিগকে আর কি বলিব। বাক্সটি টাকায় পরিপূর্ণ ছিল। চকচকে নূতন টাকা। কেবল একধারে একতাড়া কাগজ ছিল। ব্যাঙের আলোতে আমি দুই-চারিটি টাকা নাড়িয়া-চাড়িয়া দেখিতেছি, এমন সময় আমার শ্বশুর মহাশয় দোতলায় তাহার শয়নঘরের জানালা হইতে বলিয়া উঠিলেন, — “কে ও! চালাতে-তলায় কে ও!” আমি তাড়াতাড়ি বাক্সর উপর মাটি চাপা দিতে লাগিলাম। ব্যাঙ দুই-চারি লাফে সে স্থান হইতে পলাইয়া গেল। ব্যাঙ অভাবে চলাতেতলা অন্ধকারময় হইয়া গেল । সেইজন্য ভাই, ছোড়ারা আমায় ক্ষেপায়; বলে,-ধন ফেলে ব্যাঙ পালালো। ছকু ভায়ার ঠ্যাঙটি গেল৷ ay sti'] ମୃତ୍ୟୁ W\9) sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro