পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিন্তু গ্রামের লোকের আর নিদ্রা হইল না। ভয়ে শঙ্কিত হইয়া দেবতাদিগকে ডাকিয়া সকলে রাত্রি যাপন করিল। পরদিন গ্রামের লোক পরস্পর চুপি চুপি বলাবলি করিতে লাগিল,— “পুরুষপুরুষানুক্রমে আমরা এ স্থানে বাস করিতেছি। এরূপ বিষম ব্যাপার গ্রামে পূৰ্ব্বে কখন ঘটে নাই। ভূতের কণ্ঠস্বর খোনা হয় সত্য, কিন্তু ভূত যে খাদা হয় তাহা কখন আমরা শুনি নাই। তাহার উপর ঘোর রাত্ৰিতে এই ভয়ানক শব্দ! এরূপ ভয়াবহ শব্দ কেহ কখন শ্রবণ করে নাই। ভূস্বামীর পাপে এই সকল অমঙ্গল ঘটিয়াছে। রাজাবাবুর সময়ে আমরা পরম সুখে কালযাপন করিতেছিলাম। কোথা হইতে একটা অনাহুত হতভাগা লোক আসিয়া আমাদের সর্বনাশ করিল। এ গ্রামে আর আমাদের ভদ্রস্থ নাই। পরদিন প্ৰাতঃকালে রাইচরণ রায়মহাশয় তাহার কৰ্ম্মচারী বড়ালমহাশয়কে ডাকিতে পাঠাইলেন। ভূতের ভয়ঙ্কর চীৎকার সম্বন্ধে দুই জনে অনেক কথাবাৰ্ত্ত হইল। বড়াল বলিলেন, — “না মহাশয়! আমাদের গ্রামে পূৰ্ব্বে খাদা ভূতের উপদ্রব ছিল না। রাত্রি দুই প্ৰহরের সময় এরূপ ভয়ঙ্কর চীৎকারও কেহ শ্ৰবণ করে নাই।” সেইদিন রায়মহাশয় আপনার স্ত্রীকে বলিলেন, “দেখ রায়ণী ! আমার মনে কিরূপ একটা আতঙ্ক উপস্থিত হইয়াছে, খাদা ভূত প্ৰথমে আমার বাটীতে আসিয়াছিল। তাহার পর আমার তেঁতুল গাছ হইতে সে বিকট শব্দ করিয়াছে। বিজয়কে প্ৰবঞ্চনা করিয়া আমরা এই বিষয় লইয়াছি। আমি দেখিতেছি যে, ইহাতে আমাদের ভাল হইবে না। আমাদের সর্বনাশ করিবার নিমিত্ত খাদা ভূতের আবির্ভাব হইয়াছে।” স্বামীকে ধমক দিয়া রায়ণী বলিলেন,- “ ( র সাহস থাকে। কিন্তু তোমার মত ষষ্ঠ অধ্যায় ঘোর অনুতাপ সে বৎসর খাদা ভুতকে আর কেহ দেখিতে পাইল না। আর সেরূপ ভয়ঙ্কর শব্দ হইল না। কিন্তু অল্পদিন পরে রায়মহাশয়ের জামাতা রোগ দ্বারা আক্রান্ত হইলেন। সেই রোগে তাঁহার হইল । "এক কন্যা ব্যতীত রায়মহাশয়ের অন্য সন্তান ছিল না। সেই কন্যা বিধবা হইল, কন্য এখনও অল্পবয়স্কা, এখনও তাহার সন্তান-সন্ততি হয় নাই। রায়মহাশয় ও তাঁহার গৃহিণী গভীর শোক-সাগরে নিমগ্ন হইলেন। এত কাণ্ড করিয়া সম্পত্তি লাভ করিলেন, সে সম্পত্তি এখন কে ভোগ করিবে? গৃহিণীর অন্তঃকরণেও ঘোর অনুতাপ উপস্থিত হইল। মিথ্যাকথা,নীচতা, নিষ্ঠুরতা, প্রবঞ্চনা প্রভৃতি পাপকাৰ্য্য করিলে, মানুষ যে তাহার প্রতিফল পায়, এখন তাহার মনে নিশ্চয় বিশ্বাস \სტ8\სტ দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.comপূির্ড"*?)".*********