পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সামগ্ৰী আহার করিতেন। সেজন্য জপ তপপরায়ণা স্ত্রী তাঁহাকে ঘূণা করিতেন। “এইরূপে তাহারা স্ত্রী-পুরুষে দিনযাপন করিতেছিলেন। আমি তাহার কৰ্ম্মচারী ছিলাম। বীরু নামে রাজাবাবুর একজন প্রিয় চাকর ছিল। এক বৎসর ভদ্রমাসে নদীতে বান আসিয়াছে। প্ৰাতঃকালে সকলে দেখিল যে, এই বাগানের নিম্নে নদীর কিনারায় কৃষ্ণবর্ণের একটি লোক পড়িয়া আছে। মাথায় জটা ও গলায় রুদ্রাক্ষমালা দেখিয়া তাঁহাকে সন্ন্যাসী বলিয়া বোধ হইল। আমরা দেখিলাম যে, তিনি তখনও জীবিত আছেন। রাজাবাবু তাঁহাকে আপনার বাটীতে লইয়া আসিলেন। কয়েক ঘণ্টা পরে তাঁহার চৈতন্য হইল বটে, কিন্তু তিনি জুর-বিকার রোগ দ্বারা আক্রান্ত হইলেন। নিকটে আমাদের ভাল ডাক্তার নাই। দূর হইতে সুচিকিৎসক আনাইয়া, অনেক অর্থব্যয় করিয়া, রাজাবাবু তাঁহার প্রাণরক্ষা করিলেন। “সুস্থ হইয়া সন্ন্যাসী এই বাটীতে বাস করিতে লাগিলেন। দিনান্তে দুই সেরা দুগ্ধ ও ফল-মূল ব্যতীত অন্য কোন দ্রব্য তিনি আহার করিতেন না। সেজন্য সকলে বুঝিল যে, তিনি অতি পবিত্ৰ সাধু। গ্রামের লোকে যখন শুনিল যে, সন্ন্যাসী কেবল দুগ্ধ খাইয়া প্ৰাণধারণ করেন, তখন তাহাদের ভক্তির আর সীমা রহিল না। দলে দলে আসিয়া তাঁহার পদধূলি লইতে লাগিল। কিন্তু ভক্তি হইল সোনা-বীেয়ের! সে ভক্তির কথা আপনাকে আর কি বলিব! ভক্তিরসে তিনি একেবারে গলিয়া গেলেন । “গিলিলাম না কেবল আমি আর গলিল না বীরু, চাকর। আর গলিলেন না। রাজাবাবু নিজে। স্ত্রীর সহিত সন্ন্যাসীর ঘনিষ্ঠতা দেখিয়া রাজাবাবু চটিয়া গেলেন। বীরু, চটিয়া গেলা-সন্ন্যাসীর রামপাখী ভোজনে। রাজাবাবুর নিমিত্ত রামপক্ষী ৰু সন্ন্যাসী গোপনে তাহা বীরুর নিকট হইতে চাহিয়া লইতেন। আমি চটিল্যষ১াির্তাহার ব্ৰাণ্ডিপানে। রাজাবাবু সুরাপান করিতেন না। কিন্তু সময় অসময়ের জন্য দুই-এক বোতল ব্ৰাণ্ডি রাখিয়া দিতেন। সেই ব্ৰাণ্ডি লইতে সাধুকে আমি এ ফেলিলাম। সাধু বলিলেন যে, ইহার নাম “কারণ”; ইহা দ্রবীভূত তারা। সন্ন্যাসীদিগকে মদ্য, মাংস, মৎস্য ও মুড়ি দিয়া পূজা করিতে হয়। “সোনা-বেঁকে সন্ন্যাসী ধৰ্ম্মশিক্ষা দিতে লাগিলেন। আমরা সকলেই তাহাতে বিরক্ত হইলাম। রাজাবাবু স্ত্রীকে বড়ই ভালবাসিতেন ও তাঁহাকে সম্পূর্ণ বিশ্বাস করিতেন। সেজন্য প্ৰথম প্রথম তিনি কোন কথা বলিলেন না। কিন্তু অবশেষে সাধুকে তিনি বাড়ী হইতে দূর করিয়া দিলেন। নদীর ধারে যে শিবমন্দির আছে, সন্ন্যাসী তাহাতে গিয়া বাস করিতে লাগিলেন । “ইহার অল্পদিন পরে সোনা-বীেয়ের একটি কন্যা হইল। রাজাবাবু সেই কন্যাটির উপর প্ৰাণমন সমৰ্পণ করিলেন, কিন্তু মাতার যেরূপ স্নেহ থাকা উচিত, তাহা ছিল বলিয়া আমাদের বোধ হইল না। মাতা প্রথম তাহাকে স্তন্যপান করাইতে সম্মত হন নাই। রাজাবাবুর ভৎসনায় শেষে তিনি সম্মত হইলেন। যাহা হউক, ছয় মাসের হইয়া একদিন সহসা কন্যাটি মারা পড়িল। শিশুর শোকে রাজাবাবু অধীর হইয়া পড়িলেন। “আরও কিছুদিন গত হইল। বাটীতে এক দিন রাত্ৰিতে আমি নিদ্ৰা যাইতেছি। বড়ালিনী আমাকে জাগাইয়া বলিলেন,- “দেখ বাড়ীর ভিতর কি গোলমাল হইতেছে। শীঘ তুমি বাড়ীর ভিতর গমন কর।” “তাড়াতাড়ি উঠিয়া আমি বাড়ীর ভিতর গমন করিলাম। দেখিলাম যে কাপড়-পোড়া গন্ধে Wło fi:Ilă zi, o ga se - www.amarboi conf**