পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া?” তবুও মায়া কোন উত্তর করিল না। সে ঘাড় হেঁট করিয়া রহিল। তাহার চক্ষু দিয়া জল পড়িতে লাগিল। মাঝে মাঝে আচল দিয়া সে চক্ষু মুছিতে লাগিল। সুবালা জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোন মায়া! কি হইয়াছে? তুমি কাঁদিতেছ। কেন?” মায়া। তবুও কোন উত্তর করিল না, কেবল কাঁদিতে লাগিল। মায়ার নিকট কোন উত্তর না পাইয়া সুবালা অবশেষে বালককে জিজ্ঞাসা করিলেন, — “ভুলু! তুমি কাঁদিতেছিলে কেন? তোমার মা কাঁদিতেছে কেন?” ভুল বলিল- “মা আমাকে মারিয়াছে।” তাহার মা কেন কাঁদিতেছে, ভুলু তাহা জানে না, সে প্রশ্নের ভুলু কোন উত্তর দিল না। পীড়িত ও শয্যাশায়ী হইয়া সুগ্ৰীব ঘরের ভিতর পড়িয়ছিল। সুবালা তাহা জানিতেন না। তিনি মনে করিয়াছিলেন যে, সে কাজ করিতে গিয়াছিল। বসিয়া বসিয়া অতি কষ্টে সে দ্বারের নিকট আসিয়া উপস্থিত হইল। সে বলিল,— “কাল ইহাদের কিছু হয় নাই, আজ এ পৰ্যন্ত কিছু হয় নাই। সেইজন্য ভুলু কাঁদিতেছে। যাও, দিদি, তুমি বাড়ী যাও, তোমার এ সব কথা শুনিয়া কাজ নাই।” সুবালা জিজ্ঞাসা করিলেন,- “কিছু হয় নাই, তাহার মানে কি? তুমি আমাকে সব কথা বল, না বলিলে আমি বাড়ী যাইব না।” সুগ্ৰীব উত্তর করিল, “আমি মজুরী করিয়া দিনপাত করি। রোজ আনি, রোজ খাই। আজ একমাস আমি বিছানায় পড়িয়া আছি। ঘরে ঘটি-বাটি যাহা কিছু ছিল, তাহা বেচিয়া এতদিন কোনরূপ চলিতেছিল। কিন্তু কাল আর কিছু ছিল না, সেজন্য কাল আমাদের রান্না হয় নাই।” সুবালা জিজ্ঞাসা করিলেন,- “তবে কাল তোমরা কি খাইয়াছিলে?” সুগ্ৰীব উত্তর করিল,— “আমি পীড়িত। আমার রর বড় প্রয়োজন নাই। মায়া কাল কিছু খায় নাই। দুইটি কলমী শাক তুলিয়া ভুলুকে করিয়া দিয়াছিল।” মায়া এখন কাঁদিতে কাঁদিতে বলিল,— “ রা। সকল সহ্য করিতে পারি; কিন্তু ভুলু কাল যখন “আমাকে ভাত দাও, আমাকে * বলিয়া ক্ষুধায় চীৎকার করিতে লাগিল, তখন আমার বুক ফাটিয়া যাইতে লাগি আমি ভাবিলাম যে, এ যন্ত্রণা আর সহ্য হয়। না। ছেলেটিকে বুকে লইয়া জলে १ निदे।" সুবালা জিজ্ঞাসা করিলেন, — পর আজ কি হইল?” সুগ্ৰীব উত্তর করিল,— “বেচিয়া দুই পয়সা হয়, ঘরে এমন আর কোন দ্রব্য ছিল না। পিতল-কঁাসার সামান্য যাহা কিছু ছিল, তাহা সব ফুরাইয়া গিয়াছিল। আজ দুই প্ৰহরের সময় ছেলে যখন ক্ষুধায় বড় চীৎকার করিতে লাগিল, তখন আমার হঠাৎ মনে পড়িল যে, ঘরের দ্বারে এখনও কপাট- জোড়াটি আছে। কপাট-জোড়াটি করিতে আমার দুই টাকা খরচ হইয়াছিল, কিন্তু দুর্লভ বড়াই তাহার জন্য কেবল আমাকে চারি আনা পয়সা দিল। মায়া গিয়া চৌদ্দ পয়সার চাউল, এক পয়সার লবণ ও এক পয়সার মুড়ি কিনিয়া আনিল। আমাকে ও ভুলুকে সে মুড়ি কয়টি ভাগ করিয়া দিল! ভুলু মুড়ি কয়টি খাইয়া আরও চাহিল। আমার ভাগ তখন আমি খাইয়া ফেলিয়ছিলাম, সেজন্য তাহাকে দিতে পারিলাম না। ভুলু কাঁদিতে লাগিল। মায়া তাহাকে দুইটি ভিজা চাউল দিল। কাল সমস্ত দিন, তাহার পর আজ এতক্ষণ পৰ্যন্ত উপবাস করিয়া আছে। সে বালক! সে কি জানে! ভিজা চাউল কয়টি খাইয়া, সে আরও চাহিল। না পাইয়া কাঁদিতে লাগিল। সেজন্য মনের দুঃখে মায়া তাহাকে একটি চাপড় মারিয়াছিল । সুবালা জিজ্ঞাসা করিলেন, — “এ চারি আনা পয়সায় তোমাদের কয়দিন চলিবে?” সুগ্ৰীব উত্তর করিল,- “আজ আর কাল অতি কষ্টে চলিবে । চোঁদ পয়সার চাউল আমরা ጭ]ርጭig ጭi8ጭij¥j sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro try