পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৬৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাঠের একপার্শ্বে বসিয়া পড়িলেন, বিনয় তাহার অপর পার্শ্বে বসিলেন। বিনয় বলিলেন,- “সম্পত্তির তুমি অধিকারিণী হইয়াছ, রায় মহাশয় ও তাঁহার পত্নী যদি উইল করিয়া না। যাইতেন, তাহা হইলে রায়মহাশয়ের ভ্রাতা বিজয়বাবু ইহা পাইতেন। তিনি কোন আপত্তি করেন নাই, করিবেনও না। তবে প্রতারণা আছে কি না, সে অনুসন্ধান করিয়া ফল কি?” সুবালা উত্তর করিলেন,- “প্রতারণা করিয়া আমি কাহারও সম্পত্তি ভোগ করিতে চাই না।” বিনয় জিজ্ঞাসা করিলেন, — “যদি প্রতারণা থাকে, তাহা হইলে তুমি যাহার বিষয় তাহাকে সুবালা উত্তর করিলেন, — “নিশ্চয়! কিন্তু সে কথার এখন প্রয়োজন নাই। কোনরূপ গোলযোগ আছে কি না, যদি থাকে, তাহা হইলে কি, তাহাই আমি এখন জানিতে ইচ্ছা করি। যতদিন তাহা জানিতে না পারিব, ততদিন আমার প্রাণ সুস্থির হইবে না।” চুপ করিয়া বিনয় ভাবিতে লাগিলেন। এই সম্পত্তি রায়মহাশয় কিরূপে পাইয়াছিলেন, রায়মহাশয় কিরূপ উইল করিয়াছিলেন, তাহার পর সুবালা ইহা কিরূপে পাইলেন, সে সকল কথা বিনয় পূৰ্ব্বে শুনিয়াছিলেন। কিছুক্ষণ চিন্তা করিয়া বিনয় জিজ্ঞাসা করিলেন,- “তোমার দিদিমণির বয়ঃক্রম কবে পঞ্চাশ বৎসর পূর্ণ হইয়াছিল? কবে তিনি উইল করিলেন? কবে তাহার মৃত্যু হইল?” সুবালা উত্তর করিলেন, — ২০শে শ্রাবণ তাঁহার বয়ঃক্রম পঞ্চাশ বৎসর পূর্ণ হইয়াছিল; ২১শে শ্রাবণ তিনি উইল করিলেন; ২৩শে শ্রাবণ তাঁর্ভুক্ত श्ल।” বিনয় জিজ্ঞাসা করিলেন,- “কি রোগে ভুঞ্ছার মৃত্যু হইল? কে তাঁহার চিকিৎসক আনিয়াছিলেন। শুনিলাম যে, এক প্রকার উদ্ভট প্রণালীতে শেষ কয়দিন তিনি চিকিৎসা হইয়াছিল। পূৰ্ব্বে অনেক বড় বড় ডাক্তার ও বৈদ্য তাঁহার চিকিৎসা করিয়াছিলেন। শেষে বড়ালমহাশয় কলিকাতা হইতে একজন চিকিৎসক আনিয়াছিলেন। শুনিলাম যে, এক প্রকার উদ্ভট প্রণালীতে শেষ কয়দিন তিনি চিকিৎসা করিয়াছিলেন । কলিকাতা হইতে প্রতিদিন দুই মণ করিয়া বরফ। তিনি আনাইতেন।” বিনয় বলিলেন,- “আশ্চৰ্য্য কথা! কাস রোগে বরফ দিয়া চিকিৎসা। মৃত্যুকালে তাঁহার নিকটে কে ছিলেন?” সুবালা উত্তর করিলেন, — “বড়ালমহাশয়, তাহার স্ত্রী, ধনুকধারী ও চিকিৎসক, এই কয়জন তাহার নিকট ছিলেন।” বিনয় পুনরায় চিন্তা করিতে লাগিলেন। অবশেষে তিনি বলিলেন,- “যদি কোন কথা থাকে, তাহা হইলে বড়ািলনীর মুখ হইতে তাহা বাহির করিতে হইবে। দুইজন লোককে আমি পুলিসের কনেষ্টবল সাজাইয়া আনিব। বড়ালিনীকে তাহারা ভয় দেখাইবে। ভয়ে বড়ালনী বোধ হয়, সকল কথা বলিয়া ফেলিলেন। কিন্তু বড়ালমহাশয় কি ধনুকধারী উপস্থিত থাকিলে চলিবে না।” সুবালা বলিলেন, — “বড়ালমহাশয় প্ৰাতঃকালে উঠিয়া কাজে গমন করেন। দুই প্রহর পৰ্যন্ত তিনি বাড়ীতে থাকেন না। বড়ালমহাশয়কে বলিয়া পাঁচ ছয় দিনের নিমিত্ত ধনুকধারীকে আমি কোন স্থানে পঠাইয়া দিব। তবে কথা এই, কৃত্রিম কোন বিষয় করিতে আমি ইচ্ছা করি পাপের পরিণাম। sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro SS