পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৭৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সিঁড়ি দিয়া নীচের তলায় নামিল। যে ঘরে কাঠ থাকে, সেই ঘরে প্রবেশ করিয়া, জানালার গরাদ খুলিয়া বাগানে গিয়া উপস্থিত হইল। তাহার পর হু হু শব্দ করিতে করিতে বাগানের ভিতর সে অদৃশ্য হইয়া পড়িল। চতুৰ্থ অধ্যায় শিব-মন্দির বঁশের মই সহিত সোনা-বীে মাটীতে পড়িয়া গেলেন। তিনি উঠিয়া বসিলেন না। তাড়াতাড়ি বড়ালমহাশয় তাহাকে তুলিতে গেলেন। গিয়া দেখিলেন যে, সোনা-বীে অজ্ঞান হইয়া তিনি বলিলেন,- “চলুন, ঐ ঘরে লইয়া যাই।” বিজয়বাবু মাথার দিক ও বড়ালমহাশয় পায়ের দিক ধরিলেন। স্থান সঙ্কীর্ণ। দুই জনের সে মৃতপ্রায় দেহকে বাহিরে লইয়া যাইতে কষ্ট হইতে লাগিল। সেই সময় ঘরের কোণ হইতে আর বিজয়বাবু বিস্মিত হইলেন। কিন্তু কোন কথা ধরাধরি করিয়া তাহারা সোনা-বীেকে অ’ র লইয়া খাটের উপর শয়ন করাইলেন। তাহার দাতে দাত লাগিয়াছিল। অনেক কষ্ট।” তাহার দাত কপাটী ভাঙ্গিলেন। তাহার পর তাহাকে সচেতন করিবার নিমিত্ত বিধিমতে চেষ্টা করিলেন। সোনা-বীেয়ের জ্ঞান হইল। না। অচেতন হইয়া চক্ষু বুজিয়া পড়িয়া রহিলেন । মাঝে মাঝে তাহার। সৰ্ব্বশরীর কাঁপিয়া উঠিতে লাগিল। ঘাড় ঘড় শব্দে নাক দিয়া নিঃশ্বাস প্রবাহিত হইতে লাগিল। সকলে বুঝিলেন, এ পৃথিবীতে এইবার তাঁহার দুঃখের অবসান হইল। বিজয়বাবুর সহিত পরামর্শ করিয়া বড়ালমহাশয় ডাক্তার আনিতে পাঠাইলেন। দুই ক্রোশ দূরে অন্য গ্রামে ডাক্তার বাস করেন। তাঁহাকে আনিতে বিলম্ব হইবে। সেবা-শুশ্রুষা করিবার নিমিত্ত সুবালা রোগিণীর নিকট গমন করিতে ছিলেন। বিজয়বাবু তাঁহাকে নিষেধ করিয়া বলিলেন,- “তুমি নয়। তোমার পিসীমা ও বড়ালমহাশয়েরর স্ত্রী উহার নিকট বসিয়া থাকুন।” নিকটে দাঁড়াইয়া ছিলেন। বিজয়বাবু তাঁহার প্রতি বার বার দৃষ্টি করিতেছিলেন। কিন্তু এতক্ষণ কোন কথা বলেন নাই। সোনা-বীেয়ের ঠিক হইল, তখন বিজয়বাবু সহসা তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন,- “তুমি এখানে?” মস্তক অবনত করিয়া বিনয় চুপ করিয়া রহিলেন। কোন উত্তর করিলেন না। বড়ালমহাশয় জিজ্ঞাসা করিলেন,- “আপনি ইহাকে জানেন?” মস্তক অবনত করিয়াই বিনয় ঈষৎ হাসিলেন। বিজয়বাবু কোন উত্তর করিলেন না। বিনয়ের एिक लिनि bांशिा इशिलन । ዓóቴ} দুনিয়ার পাঠক এক হও! ৩ www.amarboi.com/f46লাকনাথ রচনা সংগ্ৰহ