পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৭৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নরম মাংস ফেলিয়া তোমার ও ঔটকো মাংস সে খাইবে না। ও গো! ব্ৰহ্ম-রাক্ষস অতি ভয়ানক বস্তু। ছোট হরিদাস ব্ৰহ্ম-রাক্ষস হইয়াছে—এইরূপ মনে করিয়া জগন্নাথে থাকিতে মহাপ্রভুর সঙ্গিগণও ভয়ে জড়সড় হইয়াছিল। এক দিন জগদানন্দ স্বরূপ গোবিন্দ । কাশীশ্বর শঙ্কর দামোদর মুকুন্দ৷ সমুদ্র স্নানে গেলা সবে তবে কথোদূরে। হরিদাস গায়েন যেন ডাকি কণ্ঠস্বরে৷ মনুষ্য না দেখি মধুর গীত মাত্র শুনে। গোবিন্দাদি মিলি সবে কৈল অনুমানে৷ বিষ খাদ্ঞা হরিদাস আত্মহতি কৈল। সেই পাপে জানি ব্ৰহ্ম-রাক্ষস হইল৷” উচ্চৈঃস্বরে গুরুঠাকুর এই কথা বলিয়া ক্ৰন্দন করিতে লাগিলেন। জনশূন্য গভীর জলে নিমগ্ন প্রান্তর মাঝে খাদা ভূত কোথা হইতে আসিল? সুবালা শিব-মন্দিরে নাই। সুবালা তবে কোথায়? সন্ধ্যার সময় শিব-মন্দিরে কে উকিঝুকি মারিয়াছিল? আমগাছে উঠিয়া শাখাপল্লবের ভিতর লুক্কায়িত থাকিয়া একদৃষ্টিতে নিদ্রিতা সুবালার দিকে কে চাহিয়াছিল? সে এখন কোথায়? সুবালা এখন কোথায়? ള് সন্ধ্যার সময় যে উকিঝুকি মারিয়াছিল, তাহার পর আমগাছে উঠিয়া যে সুবালাকে দেখিতেছিল, সে ধনুকধারী; অন্য কেহ নহে। সুবালার ইচ্ছায় বড়ালমহাশয় ধনুকধারীকে কাৰ্যোপলক্ষে অন্য গ্রামে প্রেরণ করিয়াছিলেন। আজ সে বাটী প্রত্যাগমন করিতেছিল। বর্ষাকালে বন্যা আসিলে, এ অঞ্চলের লোক এ গ্রাম হইতে সে গ্রাম, অনেক স্থানে এমন কি, এ বাড়ী হইতে সে বাড়ী, নীেকার সহায়তা ভিন্ন গমনাগমন করিতে পারে। সেজন্য অনেকের বাড়ীতে নীেকা অথবা তালগাছের ডোঙা থাকে এবং সকলেই প্রায় নীেকা পরিচালিত করিতে পারে। সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে বান আসিল । কোন লোকের নিকট হইতে ধনুকধারী একখানি নীেক চাহিয়া লইল । যে গ্রামে সে গিয়াছিল, তাহা নদীর উত্তর দিকে ছিল। ধনুকধারী নিজেই নীেকা পরিচালিত করিয়া স্বগ্রাম অভিমুখে আসিতে লাগিল। স্রোতের প্রবলবেগে ভাসিয়া শীঘ্রই সে শিব মন্দিরের নিকট উপস্থিত হইল। দুই বোতল মদ ধনুকধারী সঙ্গে আনিয়াছিল। মদের বোতল সে বাড়ী লইয়া যাইত না। শিবমন্দিরের ভিতর প্রাচীর-গাত্রে একটি গৰ্ত্ত ছিল। প্ৰাচীন ভগ্ন মন্দিরে গহবর আপনি হইয়া ”পের পরিপক্ষ দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.com ~ CMS)