পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৭৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি তাহাকে কখন দেখি নাই। উদ্ধাব ঘোষের জামাতা সেই ছোড়ার সহিত সড় করিয়া চোর বলিয়া আমাকে বাধিয়া ফেলিল। তাহার পর মারিতে মারিতে কুতবপুরের মহকুমাতে আমাকে লইয়া গেল। কিন্তু সে আবার একটি স্বতন্ত্র গল্প।” শঙ্কর ঘোষ জিজ্ঞাসা করিলেন,- “এই বিপদ?” ডমরুধর উত্তর করিলেন, — “রাম রাম! এ সামান্য কথা ইহা অপেক্ষা ঘোরতর সঙ্কটে আমি পড়িয়াছিলাম। সেই সঙ্কট হইতে মা দুৰ্গা আমাকে রক্ষা করিয়াছিলেন।” দীর্ঘনিঃশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া ডমরুধর পুনরায় বলিলেন,- “কুতবপুরে ঘটকীর সহিত আমার সাক্ষাৎ হইল, পুনরায় বিবাহ করিতে সে আমাকে প্রবৃত্তি দিল। আমি বাড়ী ফিরিয়া আসিলাম। বিবাহের কথাবাৰ্ত্তা চলিতে লাগিল। টাকায় কি না হয়? বঁাশপুরের এক বয়স্কা কন্যার সহিত বিবাহ স্থির হইল। তিনিই আমার বর্তমান গৃহিণী।” লম্বোেদর বলিলেন,- “সে কথা আমরা জানি, আমরা বরযাত্রী গিয়াছিলাম।” ডমরুধর বলিলেন,- “কন্যার মাতা-পিতা অর্থহীন বটে, কিন্তু আমার নিকট নগদ টাকা চাহিলেন না। তবে ঘটকী বলিল যে, বিবাহের সমুদয় খরচা আমাকে দিতে হইবে এবং কন্যার শরীরে যেখানে যা ধরে, সেইরূপ অলঙ্কার দিতে হইবে। তোমরা জান যে, আমি কখন একটি পয়সা বাজে খরচ করি না। লোক পাছে অলস হইয়া পড়ে, সেই ভয়ে ভিখারীকে কখন মুষ্টিভিক্ষা প্ৰদান করি না। সেকরার পেট ভরাইতে প্ৰথম আমি সম্মত হইলাম না। আমি বলিলাম যে, গহনার পরিবৰ্ত্তে কন্যার আচলে নোট দিব। কিন্তু কন্যার মাতা-পিতা সে প্ৰস্তাবে সম্মত হইলেন না। অবশেষে আমি ভাবিয়া যে, আমার বয়স পয়ষট্টি বৎসর, তাহার পর আমাকে দেখিয়া কেহ বলে না যে, কন্দৰ্প-পুরুষ। নিজের কথা নিজে বলিতে ক্ষতি নাই—এই দেখ, আমার &বর্ণটি ঠিক যেন দময়ন্তীর পোড়া শোউল মাছ। দাঁত একটিও নাই, মাথার মাঝখানে চারিদিকে চুল, তাহাতে একগাছিও কাঁচা চুল নাই, মুখে ঠোঁটের দুইপাশে সাদা কি হইয়াছে। এইসব কথা ভাবিয়া গহনা দিতে আমি সম্মত হইলাম। যতদূর সাধ্য সাদা-মাটা পেটা সোনার গহনা গড়াইলাম; কিন্তু তাহাতেও আমার অনেক টাকা খরচ হইল। ফৰ্দ অনেক। একবাক্স গহনা হইল।” শঙ্কর ঘোষ বলিলেন,- “তা বটে। কিন্তু বিপদটা কি?” ডমরুধর বলিলেন,- “ব্যস্ত হইও না। শুনা।” ‰፧ তৃতীয় পরিচ্ছেদ গাছে-ঝোলা সাধু ডমরুধর বলিলেন, — “গ্রামের প্রান্তভাগে বিন্দী গোয়ালিনীর যে ভিটা আছে, সে জমি আমার । কিছুদিন পূৰ্ব্বে বিন্দী মরিয়া গিয়াছিল। তাহার চালাঘরখানি তখনও ছিল। দুইজন চেলা সঙ্গে কোথা হইতে এক সাধু আসিয়া সেই চালাঘরে আশ্ৰয় লইল। সে সাধুকে তোমরা সকলেই দেখিয়াছ, তাহাকে সকলেই জান। সাধুর দুইটি চক্ষু অন্ধ। চেলারা বলিল যে, তাহার বয়স - firls six g3 &g a www.amarboicom a ԳԵ՞Ց