পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৭৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গান করিবে, তাহার পর ফুলশয্যা হইবে,-ওঃt আর আমার প্রাণে সয় না। হায় হায়! আমার সব গেল। হঠাৎ এই সময় মা দুৰ্গাকে আমার স্মরণ হইল। প্ৰাণ ভরিয়া মাকে আমি ডাকিতে লাগিলাম। আমি বলিলাম,- “মা! তুমি জগতের মা! তোমার এই অভাগা পুত্রের প্রতি তুমি কৃপা কর। মহিষাসুরের হাত হইতে দেবতাদিগকে তুমি পরিত্রাণ করিয়াছিলে, সন্ন্যাসীর হাত হইতে তুমি আমাকে নিস্তার কর। মনসা লক্ষ্মীর কখন পূজা করি নাই, ঘেটু পূজাও করি নাই, কোন দেবতার পূজা করি নাই। কিন্তু এখন হইতে, মা প্রতি বৎসর তোমার পূজা করিব। অকালে তোমার পূজা করিয়া রামচন্দ্র বিপদ হইতে উদ্ধার হইয়াছিলেন। আমিও মা! সেইরূপ অকালে তোমার পূজা করিব। তুমি আমাকে বিপদ হইতে উদ্ধার কর।” ব্ৰজের নন্দ ঘোষের স্বজাতি কলিকাতার হরিভক্ত গোয়ালা মহাপ্রভুরা কসাইকে যখন নবপ্রসূত গলায় দড়ি দিয়া হিচড়াইয়া লইয়া যায়, তখন সেই দুধের বাছুরটি নিদারুণ কান্তরকষ্ঠে যেরূপ মা মা বলিয়া ডাকিতে থাকে, সেইরূপ কাতর স্বরে আমিও মা দুৰ্গাকে ডাকিতে লাগিলাম। জগদম্বর মহিমা কে জানে! প্ৰাণ ভরিয়া আঁহাকে ডাকিলে তিনি কৃপা করেন। জগদম্বা আমায় কৃপা করিলেন। বন হইতে হঠাৎ এক বাঘা আসিয়া কাঠুরিয়াদিগের মাঝখানে পড়িল। সুন্দরবনের মানুষখেকো প্ৰকাণ্ড ব্যাঘ!! শরীরটি হরিদ্রাবর্ণের লোমে আচ্ছাদিত, তাহার উপর কাল কাল ডোরা। এ তোমার চিতে বাঘ নয়, গুল বাঘ নয়, এ বাবা টাইগার। ইংরাজীতে যাহাকে রয়াল টাইগার বলে, এই সেই আসল রয়াল টাইগার! এক চাপড়ে একজন কাঠুরিয়াকে বাঘ ভুতলশায়ী কৃরিল, ফকীরের মন্ত্রে তাহার মুখ বন্ধ ছিল। মুখে করিয়া তাহাকে সে ধরিতে পারিল না। স্থানে শুইয়া থাবা দিয়া মানুষটাকে পিঠে তুলিতে চেষ্টা করিল। না মোটা না সরু একটা গাছ ছিল। বাঘের দীর্ঘ লাঙ্গুলটি সেই গাছের পাশে পড়িয়াছিল। একজন র একবার উপস্থিত বুদ্ধি দেখ! বাঘের লাঙ্গুলটি লইয়া সে সেই গাছে এক য়া দিল, তাহার পর লেজের আগাটি সে টানিয়া ধরিল। বাঘের ভয় হইল। বাঘ মনে কীৱৰ্ল,—মানুষ ধরিয়া মানুষ খাইয়া বড় হইলাম, আমার লেজ বাপধন ! তোমাদের একি কাণ্ড! পলায়ন করিতে বাঘ চেষ্টা করিল। একবার, দুইবার, তিনবার বিষম বল প্ৰকাশ করিয়া বাঘ পলাইতে চেষ্টা করিল। কিন্তু গাছে লেজের পাক, বাঘ পলাইতে পারিল না। অসুরের মত বাঘ যেরূপ বল প্ৰকাশ করিতেছিল, তাহাতে আমার মনে হইল যে, যাঃ। লেজটি বা ছিড়িয়া যায়। কিন্তু দৈবের ঘটনা একবার দেখ! এত টানাটানিতেও বাঘের লাঙ্গুল ছিড়িয়া গেল না। তবে এক অসম্ভব ঘটনা ঘটিল। প্ৰাণের দায়ে ঘোরতর বলে বাঘ শেষকালে যেমন এক হ্যাচােকা টান মারিল, আর চামড়া হইতে তাহার আস্ত শরীরটা বাহির হইয়া পড়িল। অস্থি মাংশের দগদগে গোটা শরীর, কিন্তু উপরে চৰ্ম্ম নাই! পাকা আমের নীচের দিকটা সবলে টিপিয়া ধরিলে যেরূপ আটিটা হাড়াৎ করিয়া বাহির হইয়া পড়ে, বাঘের ছাল হইতে শরীরটি সেইরূপ বাহির হইয়া পড়িল, কলিকাতার হিন্দু কসাই মহাশয়েরা জীবন্ত পাঠার ছাল ছাড়াইলে চৰ্ম্মবিহীন পাঠার শরীর যেরূপ হয়, বাঘের শরীরও সেইরূপ হইল। মাংসে বাঘ রুদ্ধশ্বাসে বনে পলায়ন করিল। ফকীর ও কাঠুরিয়াগণ ঘোরতর বিস্মিত হইয়া এক দৃষ্টি হাঁ করিয়া সেই দিকে চাহিয়া রহিল। বাঘের লাঙ্গুল লইয়া গাছে যে পাক দিয়াছিল, লেজ ফেলিয়া দিয়া সেও সেই দিকে হাঁ করিয়া চাহিয়া রহিল। বাঘশূন্য ব্যাঘ্ৰচৰ্ম্ম সেই স্থানে পড়িয়া রহিল। আমার কি মতি হইল, গরম গরম সেই বাঘ-ছালের ভিতর আমি প্রবেশ করিলাম। ব্যাঘ-চৰ্ম্মের ভিতর আমার সূক্ষ্ম শরীর ግእSS fi:Ilă zi, o ga se - www.amarboi conf**