পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৮০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এই কথা শুনিলেই ইতার-ভদ্র সকলেই গিয়া তাহার পদলেহন করে, সকলেই তাহার পায়ে তৈলমৰ্দ্দন করে, রিও একবার আমার টাকা হউক, তখন দেখিব যে, তুমি বাছাধন আমার বাড়ীতে ফ্যান চাটিতে যাও কি না।” অবশ্য এসব মনের চিন্তা প্ৰকাশ করিলাম না, কিন্তু যথাকলে আমার সে ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হইয়াছিল। আমার শ্বশুর মহাশয়ের রাগের আর একটি কারণ ছিল, মালতীকে আমি যে পাঁচশত টাকার গহনা দিয়াছিলাম, তাহা একশত টাকায় ক্রয় করিয়াছিলাম। দুইখানি ব্যতীত সমুদয় অলঙ্কার কেমিক্যাল সোনার অর্থাৎ গিল্টির গহনা ছিল। সুতরাং গহনাগুলি পাইয়া গোলোকবাবুর বিশেষ লাভ হয় নাই । করিয়াছিলাম । সেই সময় আবা সম্বন্ধে আমার অভিজ্ঞতা জনিল। কিছুদিন পরে যখন হ্যাণ্ডনেটের ভয় যাইল, তখন নিজের জন্য আমি একটি আবাদ খুঁজিতে লাগিলাম। খুঁজিতে খুঁজিতে শুনিলাম যে, দূরে নিবিড় বনের নিকট এক আবাদ সুলভ মূল্যে বিক্রয় হইবে। যাহার আবাদ, তাহার নিকট গিয়া সমুদয় তত্ত্ব আমি অবগত হইলাম। তিনি বলিলেন যে, এই আবাদ তিনি পাঁচ হাজার টাকায় ক্রয় করিয়াছিলেন। নোনাজল প্ৰবেশ নিবারণের নিমিত্ত ইহাতে তিনি ভেড়ি অর্থাৎ বাঁধ বাধিয়াছিলেন, পানীয় জলের নিমিত্ত পুষ্করিণী খনন করিয়াছিলেন, বন পরিষ্কার করিয়াছিলেন; দুই-চারি ঘর প্রজাও বসাইয়াছিলেন, কিন্তু সহসা তাহার বাধ কয়েক স্থানে ভাঙ্গিয়া গেল, আবাদের ভিত্রু নােনাজল প্ৰবেণুকুরিল, প্ৰজাগণ পলায়ন করিল, সে আবাদ পুনরায় বনে আবৃত হইয়া পড়িল । পুনরায় স্টুঠি এক্ষণে এক হাজার টাকা পাইলে ছাড়িয়া দিবে। দেখিতে যাইলাম। কিন্তু বাঘের ভয়ে মার্চ ইহঁতে নীচে নামিলাম না। এ অঞ্চলে তখন অধিক ಡಿ হইতে স্থানটি দেখিয়া আমার ত হইল। মনে ভাবিলাম যে, একটু বিপদের আশঙ্কা না। থাকিলে এরূপ সম্পত্তি হাজার টাকায় পাওয়া যায় না। মোহর প্রদান করিয়া ভগবান আমার প্রতি কৃপা প্ৰকাশ করিয়াছেন। আমার পড়তা খুলিয়া গিয়াছে। একটু যত্ন করিলেই এই আবাদে পরে সোনা ফলিবে। আরও ভাবিলাম যে, আমার কাছে পূৰ্ব্ব হইতেই তেরশত টাকা ছিল। তাহার পর আবাদে কাজ করিয়া আরও পাঁচশত টাকা সঞ্চয় করিয়াছি। এক হাজার টাকা দিয়া সম্পত্তি ক্রয় করিলে আমার কাছে আটশত টাকা থাকিবে। ভেড়ি। বঁধিতে, বন কাটিতে, প্রজা বসাইতে এই আটশত টাকা খরচ করিব। তাহার পর মাছের তোলে মাছ ভাজিব, অর্থাৎ ইহার আয় হইতেই বাকী ভূমি উঠিত করিব। এইরূপ ভাবিয়া-চিন্তিয়া সে বিষয় আমি ক্রয় করিলাম। তাহার পর শুন বিপত্তির কথা । আবাদে কাজ করিবার সময় একজন সাইয়ের সহিত আমার আলাপ হইয়াছিল। মন্ত্রবলে যাহারা বাঘ দূর করিতে পারে, এরূপ লোককে সীই বলে। বড়গাছের একখানি নীেকা ভাড়া করিলাম। তাহাতে ছয়জন মাঝি ছিল। আবাদে কোথায় কি করিতে হইবে, তাহা দেখিবার নিমিত্ত সাঁই ও আমি যাত্রা করিলাম। আমার আবাদের পাশেই এক গাঙ ছিল। এই নদী দিয়া পূৰ্ব্ব ও পশ্চিমবঙ্গের নীেকা যাতায়াত করিত। আমি, সঁই ও তিনজন মাঝি লাঠিসোটা লইয়া নীেকা হইতে নামিলাম। আবাদের এদিক-ওদিক্‌ কিয়ৎপরিমাণে ভ্ৰমণ করিলাম। অনেক ভূমি উ****ত দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.com ~ br○○