পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৮২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাছ দাও বুঝি?” দুর্লভী বাগিন্দনীকে তোমরা সকলেই জােন। হাসিতে হাসিতে একদিন তাহাকে দুই একটা তামাসা করিয়াছিলাম। আমি এমন কাৰ্ত্তিক পুরুষ! সেজন্য আমার স্ত্রীর মনে সৰ্ব্বদা সন্দেহ। আমি বলিলাম,- “এলোকেশি ও দুর্লভী নয়। আবাদ হইতে এবার আমি একটি ভূত আনিয়াছি। আমি মনে করিয়াছি যে, ভূতটি ভালরূপে পোষ মানিলে উহাকে কলিকাতায় লইয়া যাইব । যাহারা ঘোড়ার নােচ করে, তাহাদিগের নিকট ভূতটিকে বিক্রয় করিব। অনেক টাকা পাইব। কিন্তু এ ভূতটি বড় ভীরু ভূত। তুমি ঘুলঘুলির নিকট যাইও না। তোমার চেহারা দেখিলে সে ভয়ে পলাইবে।” গত বৎসর সন্ন্যাসীসঙ্কটের গল্প বলিবার সময় আমি এলোকেশীর রূপের পরিচয় দিয়াছিলাম। আমার অভ্যাস হইয়া গিয়াছে তাই, তা না হ’লে এলোকেশীকে দেখিলে ভীমসেনও বোধ হয় আতঙ্কে পলায়ন করেন। এলোকেশীর মুখ হাঁড়ি হইল। মাছ ভজিতে লাগিল, আর গজর গজর করিয়া বলিতে লাগিল,- “আমার রূপ দেখিলে ভূত ভয়ে পলাইবে! বটে!” পরদিন সন্ধ্যার সময় নবাই ঘোষের পুষ্করিণী হইতে বড় একটা মিরগেল মাছ ধরিয়া আমি এলোকেশীকে দিলাম। এলোকেশী সেই মাছ যখন ভাজিতেছিল, সেই সময় যথারীতি আমি রান্নাঘরে গমন করিলাম। ভূতটি যথারীতি ঘুলঘুলিপথে হাত বাড়াইল। মাছ লইয়া যেমন তাহাকে আমি দিতেছি, এমন সময় আমার পশ্চাতে গিয়া এলোকেশী বলিয়া উঠিল,- দুর্লভ! হারামজাদি ! তোর আম্পৰ্দ্ধা তো কম নয়!” ভূতটি একবার মাত্র এলোকেশীর মুখপানে দেখিয়া আতঙ্কে রুদ্ধশ্বাসে সে স্থান হইতে সে “করিলে কি করিলে কি!” এই কথা তৎক্ষণাৎ আমি ঘর হইতে বাহির হইয়া পড়িলাম, তৎক্ষণাৎ বাটীর ভিতর হইলাম, তৎক্ষণাৎ বাগানে গিয়া উপস্থিত হইলাম। মনে করিলাম, বুঝাইয়া-সুরাইয়ী ভূতটিকে ফিরাইয়া আনিব। বাগানে গিয়া দেখিলাম যে, ভূতটি অতি দ্রুতবেগে আমার বাগানের ঈশান কোণের দিকে দৌড়িয়া যাইতেছে। সেই স্থানে খেজুর গাছের ন্যায় অপূৰ্ব্ব গাছ ছিল। সে গাছটিতে আমি রস কাটিতে দিতাম না, সে গাছটিকে স্বতন্ত্রভাবে আমি ঘিরিয়া রাখিতাম। প্রাণভয়ে ভূতটি সেই গাছটির উপর উঠিল। আমি ভাবিলাম,--যাঃ! এইবার ভূতটির প্রাণ বিনষ্ট হইল। আমার সখের ভূত এইবার মারা গেল। মহাদেব হয়তো আমার উপর রাগ করিবেন। বিস্ময়ে পুরোহিত জিজ্ঞাসা করিলেন,- “ভূতের প্রাণ বিনষ্ট হইবে? খেজুর গাছের উপর উঠিয়া ভূত মারা পড়িবে। ভূত কি কখন মারা যায়?” ডমরুধর উত্তর করিলেন,- “পুরোহিতমহাশয় আপনি সাদাসিদে লোক, আপনি এসব কথা বুঝিতে পরিবেন না। এ সামান্য খেজুর গাছ নহে। একবার একজন ধাঙ্গড়ের সঙ্গে আমি সুন্দরবনের ভিতর বেড়াইতেছিলাম। এ স্থানে এক গাছের নিম্নে স্তুপীকৃত হাড় পড়িয়াছিল। প্রথম মনে করিলাম— মানুষের অস্থি, ব্যাঘগণ বোধ হয় মানুষ ধরিয়া এই স্থানে আনিয়া ভক্ষণ করে। কিন্তু তাহার পর আরও নিরীক্ষণ করিয়া বুঝিতে পারিলাম যে, সে সব বানরের হাড়। গাছটি দেখিলাম যে, হেঁতালও নহে, খেজুরও নহে, খেজুরের ন্যায় একপ্রকার বৃক্ষ। কিন্তু খেজুর গাছের পাতাগুলি যেমন উচ্চ হইয়া থাকে, ইহার পাতা সেরূপ ছিল না, ইহার যাবতীয় কাঁচা পাতা নিম্নমুখ হইয়া গাছের গায়ে লাগিয়াছিল। গাছের মাথায় কাদি কাদি छ#द्रष्ट-bfāछ ԵrՀՏ) sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro