পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৮৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডমরুধর উত্তর করিলেন, — কি গেরো! পিং কে, তা আমি কি করিয়া জানিব? পিং আমার জাতি নয়, জ্ঞাতি নয় যে, তাহার পরিচয় আমি তোমাকে দিব। প্ৰাণ গেলেও আমি মিথ্যা কথা বলিব না । আমার সে স্বভাব নয় । ছোট একখণ্ড কালো মেঘের উপর পিং বসিয়াছিলেন । আমি তাহার নিকট গমন করিলাম। দেখ লম্বোেদর! তোমরা আমাকে কালো কুৎসিত কদাকার বলিয়া উপহাস কর । কিন্তু পিং আমার রূপের মৰ্য্যাদা জানেন। আমাকে দেখিবামাত্র পিংকি বলিলেন শুন । পিং বললেন,- “আহা, মহাশয়ের কি রূপ! ঘোর কৃষ্ণবর্ণ, তাহার ভিতর হইতে খড়ি মাটীর আভা বাহির হইতেছে। তাহা দেখিয়া আমার উস্কো খুস্কো পালক-আবৃত কাক ভুষণ্ডীকে মনে হইল। বহুকালের প্রাচীন ছেৎলাপাড়া বীশের ঝোড়ার ন্যায় মহাশয়ের অস্থি-পিঞ্জর দেখা যাইতেছে। দধিপুচ্ছ শৃগালের পকৰ্মত-গহ্বরের ন্যায় আপনার দন্তশূন্য মুখগহবর। তাহার দুই ধারে কি দুইটি কাক বসিয়াছিল? ঐ যে ঠোঁটের দুই কোণে শুভ্ৰবর্ণের কি রহিয়াছে? আপনার টােল-পড়া গাল দুইটি দেখিয়া হনুমানের চড়-প্ৰহারিত রাবণ-মাতুল কালনেমির গণ্ডদেশ আমার স্মরণ হইল। পঙ্কচুল-পরিবেষ্টিত মস্তকের মধ্যস্থিত বিস্তৃত টাক দেখিয়া আমার মনে হইল, বিধাতা বুঝি পূর্ণচন্দ্রটিকে বসাইয়া তাহার চারিদিকে শুভ্ৰবর্ণের মেঘ গাঁথিয়া দিয়াছেন। ফলকথা, মহাশয়কে যখন দূরে দেখিলাম, তখন মনে করিলাম যে, ময়ুরে চড়িয়া টাক-চূড়ামণি কেলে-কাৰ্ত্তিক জগৎ আঁধার করিয়া আসিতেছেন।” পিঙের সুমিষ্ট স্তবে গ্ৰীতিলাভ করিয়া আমি তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম,- “আমি আকাশে পিং উত্তর করিলেন,- “সমুদ্রকুলে বালুকস্ট্রের ন্যায়। ইহার পর আরও কোটি কোটি ব্ৰহ্মাণ্ড আছে। কিন্তু ব্ৰহ্মার কোন অণ্ডই অ্যােঞ্জর ওপারে আপনি গিয়া অশ্বাও দর্শন করুন। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম,- “অ } কিরূপে? সে কোথায়?” পিং উত্তর করিলেন,- “অল্পদিন হইল ব্ৰহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বরের নিকট গিয়া যম আবেদন করিলেন যে, — “বঙ্গদেশের বিটলে কপট স্বদেশভক্তগণ শীঘই প্রেতত্ব হইবে। তাঁহাদের প্রেতকে আমার আলয়ে আমি স্থান দিতে পারিব না। তাঁহাদের কুহকে পড়িলে আমি উৎসন্ন যাইব । ছেলেখেকো বক্তারাও শীঘ্ৰ প্রেত হবে। তাহাদিগকে আমি স্থান দিব না। আমার ছেলেগুলি তাহা হইলে গোল্লায় যাইবে। স্বদেশী প্ৰবঞ্চকদিগের প্রেতীকেও আমি স্থান দিতে পারিব না। আমার আলয়ে আসিয়া তাহারা হয়তাে কোম্পানী খুলিয়া বসিবে। তখন যমনীকে হাতের খাড়ু বেচিয়া শেয়ার কিনিতে হইবে। তাহার মহাপ্রভুরা এককড়া কণাকড়িও উপুড়হস্ত করিবেন না। আপনারা ইহার ব্যবস্থা করুন। ব্ৰহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া ইন্দ্ৰেয় ঘোড়া উচ্চৈঃশ্রবাকে এক ডিম্ব প্রসব করিতে বলিলেন। বিশ্বসংসারের ওপারে, এই অণ্ড আছে। ইহাতে বিটলে স্বদেশভক্ত, ছেলেখেকো বক্তা ও স্বদেশী প্ৰবঞ্চকগণের প্ৰেত বাস করে। মহাশয় গিয়া অশ্বাণ্ড দর্শন করুন।” পিং আরও বলিলেন যে, অশ্বাণ্ডের দ্বারে এক প্রহরী আছে। প্রহরী যে কথা আমাকে জিজ্ঞাসা করিবে ও তাহার উত্তরে কি বলিতে হইবে, পিং আমাকে শিখাইয়া দিলেন। পিঙের নিকট হইতে বিদায় লইয়া পুনরায় আমি শূন্যপথে চলিতে লাগিলাম। সমুদ্রকুলে বালুকারেণুর ন্যায় কোটি কোটি ব্ৰহ্মাণ্ড পার হইয়া যাইলাম। অবশেষে বিশ্ব-সংসারের ওপারে [छाद्रष्ट-कृष्टि sNAls viði (SS BS! ro www.amarboi.com ro brరి