পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৮৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গালের ভিতর এক কষে রাখিত কি কোথায় রাখিত, জানি না। কিন্তু লম্বোদর! তোমরা আর আমাকে দেখিতে পাইতে না । লম্বোদর বলিলেন,- “ইস্, তাই তো।” সকলে বলিলেন,- “ইস্, তাই তো।” ময়ুর এই ঘটনার পর নক্ষত্ৰবেগে পৃথিবীর দিকে ধাবিত হইল। সন্ধ্যা হয় হয়, এমন সময় আমি সমুদ্রের উপর আসিয়া উপস্থিত হইলাম। অল্পক্ষণের মধ্যেই সুন্দরবনের উপর আসিলাম । ময়ূর আমার বাসার দিকে ধাবিত হইল। তখনও ভূমি হইতে প্রায় একক্রোশ উচ্চে শূন্যপথে ময়ুর উড়িতেছিল। আমি ভাবিলাম, এ স্থান হইতে আমার বাসা প্রায় আর দুই ক্রোশ আছে, বাসার ঠিক উপরে যাইলেই সেই দ্বিতীয় মন্ত্রটি পড়ব। তখন ময়ূর আমাকে ধীরে ধীরে আমার বাসায় নামাইয়া দিবে। কিন্তু সে দ্বিতীয় মন্ত্রটি কি? সৰ্ব্বনাশ! আমি সে মন্ত্রটি ভুলিয়া গিয়াছি। মন্ত্রটি মনে করিতে না পারিলে ময়ুর আমাকে সাত সমুদ্র তের নদী পারে লইয়া লোকালোক পৰ্ব্বতের ওপারে অন্ধকার গহবরে ফেলিয়া স্বস্থানে চলিয়া যাইবে। তাহা ভাবিয়া প্ৰাণ আমার আকুল হইল। মন্ত্রটি কি? গুম্বজ? না, তা নয়! জলটুঙ্গী? না, তা নয়, ঝাপড়দা-মাকড়দা? না, তাও নয়। তবে কি? এ কথা নয়। সে কথা, নয় এ কথা—ক্রিমাগত ভাবিয়া মন্ত্রটি স্মরণ করিতে চেষ্টা করিলাম। কিন্তু তাহার একটি বর্ণও আমার মনে উদয় হইল না। এমন কি, হতভম্ব হইয়া আমি দুৰ্গা নামটি পৰ্যন্ত মনে করিতে পারিলাম না । আমি ভ যে, যাঃ ডমরুধর! এইবার তোমার সব লীলা-খেলা ফুৱাইল। যাহা হউক, অনেক চিন্তু ব্লয়া অবশেষে আমার মনে হইল যে, মন্ত্রটিতে জি আছে, ল আছে আর কি আছে। পর সেই অক্ষর কয়টি যোড়তাড় করিয়া লম্বোদর বলিলেন, — “এতও তুমি জান। এ কোন ভাষা?” ডমরুধর উত্তর করিলেন,- “তা জানি না ভাই, এ ভিন্ন আমার আর কিছু তখন মনে श्न मां ।" মন্ত্রটি এইরূপ ঠিক করিয়া আমি ভাবিলাম, একবার পরীক্ষা করিয়া দেখি, উচ্চৈঃস্বরে আমি বলিলাম,- জিলেট জিলেকি সিলেমেল কিলোকিট কিলোকিশ । সেই কিচ-মিচ শব্দ শুনিয়া ময়ুর ভাবিল,- "কৈলাস পৰ্ব্বতে ভূত-প্ৰেত্য-দানা-দৈত্যের সহিত আমার বাস। অনেক তন্ত্র মন্ত্র শুনিয়াছি। এরূপ বিদঘুটে কখনও শুনি নাই। এ লোকটার ভাব-গতিক ভাল নহে। বাসায় লইয়া গিয়া আমাকে হয় তো এইরূপ ভীষণ পালকহার্ষণ মন্ত্রবলে খাচায় পুরিয়া বন্ধ করিয়া রাখিবো। আগে থাকিতে সাবধান হওয়া ভাল।” এইরূপ ভাবিয়া গাঝাড়া দিয়া ময়ূর আমাকে শূন্য দেশে ফেলিয়া দিল। তাহার পর শো শো করিয়া কৈলাস পৰ্ব্বতের দিকে উড়িয়া গেল। আমি তখন ভূমি হইতে প্ৰায় একক্রোশ উচ্চে আজকাল উড়োকাল হইতে মানুষ যেমন পড়ে, আমি সেইরূপ হু হু শব্দে শিশার ন্যায় নীচে পড়িতে লাগিলাম। হু হু, হু হু, হু হু, কানে আমার বাতাস লাগিতে লাগিল। আমি ভাবিলাম যে, brv°ዕ8 দুনিয়ার পাঠক এক হও! ~ www.amarboi.comাির্ড” “ৰ