পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৮৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এইবার আমার দফা রফা হইল। হুহু হুহু শব্দে পড়িতে লাগিলাম, অবশেষে খপ করিয়া কাদার ন্যায় কি একটা কোমল বস্তুর উপর পড়িলাম। কোমল বস্তুর উপর পড়িলাম, সেজন্য আমার অস্থি মাংস চুৰ্ণ হইয়া গেল না, সেজন্য আমার প্ৰাণ বিনষ্ট হইল না। যখন আমার হৃদয়ের ধড়ফড়ানি কিছু স্থির হইল, তখন আমি এদিকওদিক চাহিয়া দেখিলাম, তাহাতে আমার চক্ষুস্থির হইল। আমি দেখিলাম যে, পৰ্ব্বতপ্ৰমাণ প্রকাণ্ড এক ব্যাঘের মুখগহ্বরে আমি পতিত হইয়াছি। ব্যাঘটি বৃদ্ধ হইয়াছিল। সেজন্য তাহার দন্ত ছিল না। দাঁত থাকিলে শূলসদৃশ্য দন্তে বিদ্ধ হইয়া তৎক্ষণাৎ আমার মৃত্যু হইত। আমার সকল কথা মনে হইল। পীর গোরাচাঁদের ফকীরদিগের অভিশাপে আমি পড়িয়াছি। এ সেই পীর গোরাচাঁদের ব্যাঘ। যে বাঘ চড়িয়া তিনি দেশভ্ৰমণ করিতেন। তোমার যে-সে ব্যাঘ নহে। এ রয়েল টাইগারের বাবা! এ মহারাজ ব্যাঘ । লোকে বলে যে, ঘুমন্ত সিংহ হাঁ করিয়া থাকিলে, তাহার মুখে মৃগ প্রবেশ করে না। সে ঠিক কথা নহে। রাজসাপ নামে এক প্রকার সর্প আছে। সে সাপ হী করিয়া থাকিলে তাহার মুখে অন্যান্য সাপ প্ৰবেশ করে। এ বৃদ্ধ ব্যােন্ত্র তাঁহাই করে। আকাশ-পাতাল জুড়িয়া হাঁ করিয়া থাকে। আর ইহার মুখে মৃগ প্রবেশ করে। আমি বসিয়া থাকিতে থাকিতে একটা বন্য মহিষ, চারিটা হরিণ ও দুইটা বরাহ ইহার মুখের ভিতর প্রবেশ করিল। তখন ব্যাঘ একেবারে কোৎ করিয়া আমাদের সকলকে গিলিয়া ফেলিল । ব্যাঘের পেটের ভিতর ঘোর অন্ধকার। আমি বিরস তাহার এককোণে গিয়া বসিলাম । বসিয়া ভাবিতে লাগিলাম।-- “এখন করি কি? प्रेग नाश्। qशनि श्छाभ श्शा यांश्द। আমার চিহ্নমাত্ৰ থাকিবে না। দুই চারিদিন পরে মল হইয়া বাহির হইব ।” নিতান্ত সঙ্কটে পড়িলে মানুষের অনেক জোগায় । একবার কোন ডাক্তারের নিকট শুনিয়াছিলাম যে, জীবের উদর হইতে অম্নরস বাহির হয়; তাহাতেই খাদ্য গলিয়া পরিপাক পায়। তোমরা জান যে, অম্বলের সোডা ব্যবহার করি। ভাগ্যক্রমে আমার পকেটে কাগজে মোড়া খানিকটা ছিল, সেই সোডা উত্তমরূপে আমি গায়ে মাখিয়া বসিয়া রহিলাম। ব্যাঘের পেট হইতে অম্নরস বাহির হইয়া মহিষ, হরিণ, শূকর সব গলিয়া পরিপাক হইয়া গেল, কিন্তু সোডার প্রভাবে আমার শরীর গলিয়া গেল না, আপাততঃ আমার প্রাণ বাচিয়া গেল । তা যেন হইল। কিন্তু সে আর কয়দিন? ব্যাঘের উন্দর হইতে বাহির না হইতে পারিলে মৃত্যু নিশ্চয়, আজ হউক, কাল হউক, মৃত্যু নিশ্চয়। কিন্তু কি করিয়া বাহির হইব? মা দুর্গার নাম এখন আমার মনে হইল। একান্ত মনে তাঁহাকে ডাকিতে লাগিলাম। পীর গোরাচাদকে অনেক সিন্নি মানিলাম। মা ভগবতীর ও পীর সাহেবের আমার প্রতি কৃপা হইল। বাঘের পেটের ভিতর এককোণে বসিয়া গালে হাত দিয়া ভাবিতেছি, এমন সময় হঠাৎ কে যেন আমাকে বলিয়া দিল,— তোমার পকেটে কাগজ ও পেনসিল রহিয়াছে, আবাদের কৰ্ম্মচারীকে পত্র লেখ না। কেন? আমার তখন ভরসা হইল। পকেট হইতে কাগজ পেনসিল বাহির করিয়া আমি আমার কৰ্ম্মচারীকে এইরূপ এক চিঠি লিখিলাম,- “পীর গোরাচাঁদের কোপে আমি পড়িয়াছি। সেই ব্যাঘের উদরে আমি আছি। যদি কোনরূপে আমাকে উদ্ধার করিতে পাের, তাহার চেষ্টা কর।” আমার কৰ্ম্মচারী বুদ্ধিমান লোক। আমার চিঠি পাইবামাত্র সে দুই জোয়ারের পথে যে স্থানে "' firls it: gas xel - www.amarboicom a ኩy(5)ርኑ