পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৮৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্যাগ হাতে করিয়া এক ছোকরা আসিয়া উপস্থিত হইল। তাহার বয়স চব্বিশ কি পচিশ বৎসর। রঙ অল্প গীেরবর্ণ। কালো কালো গোফ আছে। দেখিতে সুশ্ৰী। ভদ্রলোকের ছেলে বলিয়া বোধ হইল । ব্যাগ হইতে চারিটি শিশি সে বাহির করিয়া বলিল,— “এইটি ম্যালেরিয়া জ্বারের আরক, এইটি অজীর্ণ রোগের ঔষধ, এইটি বহুমূত্র রোগের ব্ৰহ্মািন্ত্র; আর এইটি মুখে মাখিলে রং ফরসা হয়। প্রতি শিশির মূল্য একটাকা, চারিটি টাকা আমাকে প্রদান করুন।” আমি বলিলাম,-“ঔষধে আমার প্রয়োজন নাই। তুমি বোকা লোকদিগের নিকট গমন কর । তোমার একটিও ঔষধ আমি ক্ৰয় করিব না।” আমার কথা শুনিয়া সে চলিয়া গেল না। অতি সুমিষ্ট স্বরে সে ঔষধের গুণ ব্যাখ্যা করিতে লাগিল। সে বলিল,— “আমি তিনটা পাস দিয়াছি। যে বিদ্যা শিখিলে নানা পদার্থ মিশাইয়া উত্তম উত্তম নূতন বস্তু প্ৰস্তুত করিতে পারা যায়, আমি সেই বিদ্যা শিক্ষা করিয়াছি। সেই বিদ্যাবলে আমি এইসব ঔষধ প্ৰস্তুত করিয়াছি। ইহাদের গুণ আলৌকিক । দিন কয়েক ব্যবহার করিলেই আপনার শরীরে কান্তি ফুটিয়া পড়িবে। আপনি নব-যৌবন প্রাপ্ত হইবেন।” উত্তর করিলাম,- “আমার ম্যালেরিয়া জ্বর নাই, অজীর্ণ ও বহুমূত্র রোগ নাই। আমি বৃদ্ধ হইয়াছি, রং ফরসা হইবার সাধ নাই। তাহা ব্যতীত আমি বৃথা একটি পয়সাও খরচ করি না। তোমার ঔষধ আমি ক্রয় করিব না।” আমাদের দুইজনে এইরূপ তর্ক-বিতর্ক হইতে । কিন্তু সে ছোকরা নাছোড়বান্দা। এমনি সুমিষ্ট ভাষায় সে বক্তৃতা করিতে লাগিল আমার মন ভিজিয়া আসিল । অবশেষে সে বলিল,— “আপনি বৃদ্ধ হইয়াছেন হাড়, কিন্তু মন আপনার বৃদ্ধ হয় নাই। মনটি আপনার নব-যৌবনে ঢল ঢলা করিতেছে। ঔষধ লিউন আর নাই লাউন, আপনাকে এই রং ফরসা হইবার ঔষধটি লইতে । দিনকতক মুখে মাখিয়া দেখুন। আপনি ফট গৌরবর্ণ হইয়া পড়িবেন। সুন্দর বৎসরের যুবক হইবেন।” ছেলেবেলা হইতে ফরাসী হইবার সাধ ছিল। অনেক সাবাং মাখিয়াছিলাম। কিছুতে কিছু হয় নাই। মনে মনে ভাবিলাম,- “এই ঔষধটা পরীক্ষা করিয়া দেখি না কেন? যদি আমার রং ফরসা হয়, তাহা হইলে দুর্লভী বাগদিনী আমার রূপ দেখিয়া মোহিত হইবে।” শিশির মূল্য এক টাকা, কিন্তু সে আমাকে আট আনায় দিল। মূল্য লইয়া সে কিছুদূর গিয়াছে, এমন সময় আমার মনে এইরূপ চিন্তার উদয় হইল।—“আমি ডমরুধর! সুমিষ্ট বক্তৃতা করিয়া আমাকে ঠকাইয়া এ আট আনা লইয়া গেল। এ সামান্য ছােকরা নয়। ইহা দ্বারা কি কোনরূপ কাজ করিতে পারা যায় না?” এইরূপ ভাবিয়া আমি তাহাকে ডাকিলাম । আদর করিয়া আমার নিকট বসাইলাম। আমি বলিলাম,-“বাপু! তোমার নাম কি?” সে উত্তর করিল,- “আমার নাম শঙ্কর ঘোষ।” তাহার বাড়ী কোথায়, সে কি কাজ করে, প্রভৃতি তাহার পরিচয় গ্ৰহণ করিলাম,- “তুমি তিনটা পাস দিয়াছ। পাঁচ দ্রব্য মিশাইয়া নৃতন বস্তু প্ৰস্তুত করিতে পাের। ঔষধ বেচিয়া কি হইবে? কোন একটা লাভের বস্তু প্ৰস্তুত করিতে পার না?” কিছুক্ষণ নীরবে সে চিন্তা করিয়া আমাকে বলিল,- “কল্য আসিয়া আপনার এ কথার प्ठद्ध निद।" [छद्रz-Bलेिष्ठ sNNis viði (SS BS! ro www.amarboicom ro ክr86: