পাতা:ত্রৈলোক্যনাথ রচনাসংগ্রহ.djvu/৮৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নূতন হাঁড়ী লইয়া ঘর হইতে চুপি চুপি বাহির হইলেন। জামতলার বনের ভিতর হাঁড়ীটি লুকাইয়া রাখিয়া প্ৰস্থান করিলেন। কালিকা চলিয়া গেলে, কেষ্ট গাছ হইতে নামিল ও দেখিল যে, হাড়ীর মুখে শরাখানি কালিকা ময়দা দিয়া আঁটিয়া দিয়াছেন। কিন্তু ময়দা কাঁচা ছিল না। শরা একটু উঠাইয়া কেষ্ট দেখিল যে, হাঁড়ীটি সন্দেশে পরিপূর্ণ। কেশববাবু আসিয়া কালিকা দিদির সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছেন। সেই কথা ঢাকমহাশয়কে বলিয়া দিব না, আমি এই অঙ্গীকার করি নাই। অতএব আমি এই সন্দেশগুলি খাইব। এইরূপ মনে করিয়া কেষ্ট সন্দেশের হাঁড়ী লইয়া বন হইতে বাহির হইল। পথে দাড়াইয়া সে দেখিল যে, সম্মুখ দিকে দুইজন গ্রামের লোক আসিতেছে। পশ্চাদিকে চাহিয়া দেখিল যে, প্ৰেম চাকি ধান-বোঝাই গরুর গাড়ী লইয়া আসিতেছে। কেষ্ট ভাবিল যে, উদ্দোর বোঝা বুদের ঘাড়ে দিই, তা না করিলে আমি ধরা পড়িব । এইরূপ মনে করিয়া সে সন্দেশের হাড়ীটি গাড়ীওয়ালাকে দিয়া বলিল,- “প্রেমথুড়ো। কালিকা দিদি আমাকে সন্দেশ দিয়াছেন। আমি একেলা খাইব না। তোমাতে আমাতে দুইজনে খাইব। তুমি ঘোষেদের গঙ্গার ঘাটে গিয়া গাড়ী রােখ। একটু পরে আমি যাইতেছি।” কলিকাতার দক্ষিণে এই সমুদয় ঘটনা ঘটিয়াছিল। এ স্থানে প্রাচীন গঙ্গার গর্ত লোকে ভাগ করিয়া লইয়াছে। তাই ঘোষেদের গঙ্গা, বসুদের গঙ্গা ইত্যাদি] প্রেম চাকি সন্দেশের হাঁড়ী লইয়া গঙ্গার ঘাটে চলিল। প্ৰেম চাকি ঘাটে উপস্থিত হইয়া হাঁড়ীটি একটু খুলিয়া দেখিল যে, সন্দেশে পরিপূর্ণ। সে ভাবিল যে, আমার ছেলেদের জন্য সন্দেশ লইয়া যাইব! কেষ্টকে ভাগ দিব না। কিন্তু এই সময় দেখিল যে, দূরে কেষ্ট আসিতেছে। তুড়াতাড়ি হাঁড়ীটির মুখ পুনরায় বন্ধ করিল। গাড়ী হইতে একটি ঝুড়ি লইয়া হাঁড়ীটি পা দিয়া তাহার উপরে সে বসিয়া রহিল। কেষ্টা আসিয়া সন্দেশের ভাগ চাহিল। বলিল,— “আমার ক্ষুধা পাইয়াছিল, মুখে সন্দেশ ভাল লাগিল, আমি সব সন্দেহ ফেলিয়াছি।” দুইজনে ঝগড়া বাধিয়া গেল। এমন সময় কেষ্ট দেখিল যে দূরে । তাহাকে দেখিয়া কেষ্টা সে স্থান হইতে প্ৰস্থান করিল। 零 এ দিকে কালিকার মন সুস্থির নাই। জামতলায় সন্দেশের হাড়ী ঠিক আছে কি না, তাহা দেখিবার নিমিত্ত তিনি আর একবার বনের নিকট গমন করিলেন। সে স্থানে গিয়া দেখিলেন যে, বনের ভিতর সন্দেশের হাড়ী কে লইয়া গিয়াছে, এই বলিয়া ক্রমাগত কাদিতে व्नोिCब्लन्म । সেদিন বৈকালবেলা আমি ঢাকমহাশয়ের বাড়ী গিয়াছিলাম। ঢাকমহাশয় বলিয়াছিলেন যে, আমি নানা বিপদে পড়িতেছি। মা দুৰ্গা আমাকে রক্ষা করিতেছেন না, অতএব আর আমি মা দুৰ্গার পূজা করিব না। কথা শুনিয়া আমি থাকিতে পারিলাম না। আমি তাঁহাকে বুঝাইতে যাইলাম। আমি বলিলাম যে, মা দুৰ্গা পরম দয়াময়ী। যাহা হইবার, তাহা হইয়া গিয়াছে। ভক্তিভাবে ঘটা করিয়া দুর্গোৎসব করুন। তাহা হইলে আমাকেও যেরূপ তিনি নানা বিপদ হইতে রক্ষা করেন, আপনাকেও তিনি সেইরূপ নানা বিপদ হইতে রক্ষা করিবেন। কিন্তু প্রথম তিনি আমার কথায় কিছুতেই সম্মত হইলেন না। তাহার পর যখন আমি বলিলাম যে, পূজা বন্ধ করিলে, শিষ্য-সেবক যে বার্ষিক প্ৰদান করে, তাহার কি হইবে? তখন কি হইবে? তখন তিনি পূজা করিতে সম্মত হইলেন। আমাদের দুইজনে এইরূপ কথাবাৰ্ত্ত হইতেছে, এমন সময় কালিকার কান্নার শব্দ আমাদের f firls six g3, 3el - www.amarboicom a br GRWS0