পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিমলা কাছে আসিয়া তাহার পায়ের ধূলা মাথায় লইয়া একটা চৌকির উপর বসিল । আচ্ছা, দুপুরবেলা অত রাগ করে চলে গেলি কেন বল ত ? আমি অন্যায় সইতে পারি। নে ? কেন তুমি অতঅত কি বল ? ইন্দুর দিক থেকে একবার চেয়ে দেখ দেখি ? আমি ত তাকে সুখে রাখতে পারিনি ? সুখে থাকতে পারার ক্ষমতা থাকা চাই দাদা ! সে যা পেয়েচে, এত কজন পায় ? কিন্তু সৌভাগ্যকে মাথায় তুলে নিতে হয় ; নইলে - কথাটা শেষ করিবার পূর্বেই বিমলা লজ্জায় মাথা হেঁট করিল। নরেন্দ্র নীরবে স্নিগ্ধ-সস্নেহ দৃষ্টিতে এই ভগিনীটির সর্বাঙ্গ অভিষিক্ত করিয়া দিয়া, ক্ষণকাল পরে কহিল, বিমলা, লজ। কারিস নে দিদি, সত্য বল ত, তুই কখনো ঝগড়া করিস নে ? উনি বলেচেন বুঝি ? তা ত বলবেনই । নরেন্দ্ৰ মৃদু হাসিয়া বলিল, না, গগনবাবু কিছু বলেননি-আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করচি । বিমলা আরক্ত মুখ তুলিয়া বলিল, তোমাদের সঙ্গে ঝগড়া করে কে পারবে বল ? শেষে হাতে-পায়ে পড়ে-ওখানে দাড়িয়ে কে ? আমি, আমি-গগনবাবু! থামলে কেন-বলে যাও। ঝগড়া করে কার হাতে-পায়ে কাকে পড়তে হয়-কথাটা শেষ করে ফেল । যাও-যে সাধু-পুরুষ লুকিয়ে শোনে, তার কথার আমি জবাব দিই নে। বলিয়া, বিমলা কৃত্রিম ক্রোধের আড়ালে হাসি চাপিয়া দ্রুত পদে প্ৰস্থান করিল। নরেন্দ্ৰ সুদীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিয়া মোটা তাকিয়াট। হেলান দিয়া বসিল । গগনবাবু বলিলেন, এ-বেলায় কেমন আছ হে ? ভাল হয়ে গেছি। এবার বিদায় দাও ভাই । বিদায় দাও ? ব্যস্ত হয়ে না হে-দু’দিন থাকে । তোমার এই SG ܓ݁ܶܝܘܚ72f