পাতা:দর্পচূর্ণ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হারানোর চেয়ে মরণ ভাল ; তার পরেও বেঁচে থাকা শুধু বিড়ম্বন। अभि उों भांनेि 6न । মানো নিশ্চয়ই, বলিয়া বিমলা হাসিয়া ফেলিল। তাহার সহসা মনে হইল, এ সমস্তই পরিহাস। সত্যই তা পরিহাস ভিন্ন নারীর মুখে ইহা আর কি হইতে পারে। কহিল, কিন্তু তাও বলি বেী, আমার কাছে যা মুখে আসে বলছি, কিন্তু দাদার সামনে এ-সব নিয়ে বেশী চালাকি করো না। কেননা পুরুষমানুষ যতই বুদ্ধিমান হোন, অনেক সময়ে কি-অনেক সময়ে ? তামাশা কি না, ধরতে পারে না । সে তার কাজ। আমি তা নিয়ে দুর্ভাবনা করি নে। কিন্তু আমি যে না ভেবে থাকতে পারি। নে বেী ! ইন্দু জোর করিয়া হাসিয়া প্রশ্ন করিল, কেন বল ত ? বিমলা একটুখানি ভাবিয়া বলিল, রাগ ক’রো না বেী ; কিন্তু সেই "অসুখের সময় আমার সত্যিই মনে হয়েছিল, দাদা যে তোমাকে পাবার জন্য একসময় পাগল হয়ে উঠেছিল, সেই যে কি বলে ‘পায়ে কঁাটা ফুটলে বুক পেতে দেওয়া-কিন্তু, সে-ভাব আর বুঝি নেই। হঠাৎ ইন্দুর সমস্ত মুখের উপর কে যেন কালি লেপিয়া দিল ; তার পরে, সে জোর করিয়া শুকনো হাসি টানিয়া আনিয়া কহিল, তোমাকে সহস্র ধন্যবাদ ঠাকুরঝি, তোমার দাদাকে ব’লো, আমি ভ্ৰক্ষেপও করি নে। আর তুমিও ভাল করে বুঝে, আমার নিজের ভালমন্দ নিজেই সামলাতে জানি। তা নিয়ে পরের মাথা গরম করাটাও আবশ্যক মনে করি। নে । ফিরিয়া আসিয়া ইন্দু স্বামীর ঘরে ঢুকিয়াই প্রশ্ন করিল, আমি মেদিনীপুরে গেলে তোমার ব্যামো হয়েছিল ? নরেন্দ্র খাতা হইতে মুখ তুলিয়া ধীরে ধীরে বলিল, না, ব্যামো নয় --সেই ব্যথাটা । খরচ বঁাচাবার জন্যে ঠাকুর ঝির ওখানে গিয়ে পড়েছিলে ? SG